জন্মসনদ পেল যৌনপল্লীর শিশুরা

জন্মসনদ পেল যৌনপল্লীর শিশুরা

ফরিদপুর সংবাদদাতা:

ফরিদপুরে যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের সন্তানদের মধ্যে জন্মসনদ দেওয়া শুরু করেছে ফরিদপুর পৌরসভা। এ উপলক্ষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান শাপলা মহিলা সংস্থার উদ্যোগে। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফরিদপুর শহরের রথখোলা ও ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় অবস্থিত দুটি যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের ৩৫ জন শিশুর হাতে জন্মসনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন।

শাপলা মহিলা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের এ দুটি যৌনপল্লীতে ৩৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছে। তাদের শিশু সন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। এই জন্মসনদ বিতরণের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হবে। বাবার নাম ও পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এই জন্মসনদের মাধ্যমে শিশুরা সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে। এছাড়া তাদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, দ্য ফ্রিডম ফান্ডের বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার, শাপলা মহিলা সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমুখ।

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

ডেস্ক রিপোর্ট:

মাদারীপুরের ডাসারে অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ ও তার স্ত্রী প্রভাষক চম্পা রানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বছরের অধিকাংশ সময় ভারতে বসবাস করেও বাংলাদেশে কলেজ থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

দুর্লভানন্দ বাড়ৈ শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী চম্পা রানী মণ্ডল সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই শিক্ষক দম্পতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে একটি বাড়ি কিনেছেন এবং সেখানেই দীর্ঘ সময় বসবাস করছেন। যদিও অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী বর্তমানে মেডিকেল ছুটিতে সেখানেই (ভারতে) রয়েছেন। দুই দফায় তিনি ৬ মাস ছুটি নিয়েছেন এবং সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ী চলছে।

স্থানীয়দের দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী ভারত চলে যান। কিছুদিন পর অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ দেশে ফিরলেও তার স্ত্রী এখনো ভারতে অবস্থান করছেন। যাওয়ার আগে চম্পা মণ্ডল চেকে স্বাক্ষর করে রেখে যান, যার মাধ্যমে পরবর্তীতে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রশাসনিক দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় গত ১৮ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উভয়ের এমপিও বাতিল করা হয়। আদেশে স্বাক্ষর করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী সচিব দীপায়ন দাস শুভ। অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিমল পান্ডে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের শিক্ষকরা জানান, এই দম্পতি কলেজ গভর্নিং বডি ও প্রশাসনিক মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সহযোগিতা করছেন অফিস সহায়ক সজল সরকার।

নবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা প্রেমান্দ সরকার বলেন, দুর্লভানন্দ বাড়ৈ চাকরি নিয়েছেন অনিয়ম করে। তিনি ভারতের কল্যানীতে বাড়ি করেছেন। সেখানেই তার স্ত্রী-সন্তানরা রয়েছে। অথচ বেতন তুলছেন বাংলাদেশে। নাম মাত্র মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন। বেসরকারি কলেজে এক মাসের বেশি ছুটি হয় না। অথচ তিনি ছুটি নিয়েছেন ৬ মাসের।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে। কোনো অনিয়ম করে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ-উল আরেফীন বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম