সারজিসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা

সারজিসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা

গাজীপুর সংবাদদাতা:

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গাজীপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক আলমগীর আল মামুনের বেঞ্চে মামলাটির আবেদন করেন বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ। তিনি মানহানির অভিযোগে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

তানভীর সিরাজ অভিযোগ করে বলেন, অপরাধী চক্রের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু সারজিস আলম কোনো তদন্ত ছাড়াই ফেসবুকে এ ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়েছেন, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

তিনি আরও জানান, জিএমপি কমিশনার ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছেন এবং জানিয়েছেন, এতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন এবং ন্যায়বিচারের আশা করছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনুষ্ঠানে হট্টগোল ধস্তাধস্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনুষ্ঠানে হট্টগোল ধস্তাধস্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানের দিবসের বর্ষপূর্তি পালন অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব ও সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদকে বক্তব্য দিতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হট্টগোল হয়েছে। এনিয়ে প্রায় ২০ মিনিট ধরে অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ হট্টগোল হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোচনা সভার এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য বিলুপ্ত জেলা কমিটি সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদকে বক্তব্য দেয়ার জন্য ডাকা হয়। এসময় বক্তব্য দিতে বাধা দেয় আরেক জুলাইযোদ্ধা ইসমাঈল হক সিরাজীসহ তার সমর্থকরা। এনিয়ে সাব্বির ও ইসমাঈলের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল ও ধস্তাধস্তি হয়।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বেশ কিছুক্ষণ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এসময় মুখোমুখি অবস্থান নেয় জুলাই আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের দুটি পক্ষ। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরর প্রধান ও জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এনিয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, সম্প্রতি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের তালিকায় ভুয়াদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ করায় একাংশ ক্ষুব্ধ হয়েছে তার ওপর। এরই জের ধরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অনুষ্ঠানে তাকে বক্তব্য দিতে বাধা দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন, তাদের মনমতো ব্যক্তিকে দাওয়াত দিয়েছে। আমাকে বক্তব্য দিতে বলার পরই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জুলাই আন্দোলনকে বিতর্কিত করতেই এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের আপত্তি থাকলে তা জেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে অনুষ্ঠানে এমন হট্টগোল করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এনিয়ে ইসমাইল হোসেন সিরাজী অভিযোগ করে বলেন জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আ.লীগ দোসরদের মঞ্চে স্থান দেয়া ও বক্তব্য দিতে দেয়ার প্রতিবাদ করা হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের বাদ দিয়ে বৈষম্য রাখায় এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই হট্টগোল হয়েছে। এছাড়াও গত বছরের ৫ আগস্টের আগে জুলাই যোদ্ধাদের যে তালিকা করা হয়েছিল, সেটি পরে বদলে যায়। নতুন তালিকা করে জুলাই যোদ্ধাদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সাব্বিরকে বক্তব্য দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। এনিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম