বিএনপি শুধু ধ্বংস করে- প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিসঃ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতা এসেছিলেন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে ক্ষমতা থেকে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন। জনগণের ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। কিন্তু বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারা পছন্দ করে না। আজ গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

রোববার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

চট্টগ্রামের কথা সবসময় মনে পড়ে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাবা জেল থেকে বের হলেই চট্টগ্রামে নিয়ে আসতেন। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আসতে পারেনি, তাই আজ হাজির হয়েছি। এই লালদিঘীর সামনে ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি আমাকে হত্যা করতে গুলি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। সেই হত্যাকারী পুলিশ অফিসারকে প্রমোশন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা ধ্বংস করে, আমরা সৃষ্টি করি। আমরা উন্নয়ন করি আর ওরা মানুষ খুন করে।

এদিন ভাষণের শুরুতেই জনসভায় যোগ দেয়া দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বসাধারণের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘অনারা ক্যান আছন, গম আছননি?’ (আপনারা কেমন আছেন, ভালো আছেন?)

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, বিজয়ের মাসে আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিজয়ের মাসে এগুলো চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমার উপহার।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে মারার হিসাব একদিন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দিতে হবে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এই চট্টগ্রামে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।’

এ সময় চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সিনিয়র নেতাদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা।

আ. লীগের দুঃশাসন নিয়ে ছবি বানিয়ে হুমকির মুখে তিশা

বিনোদন ডেস্কঃ 

গত বছরের ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘৮৪০’। মুক্তির পর থেকেই বেশ আলোচনায় উঠে আসে সিনেমাটি। দর্শকপ্রিয়তাও পাচ্ছে। তাই দর্শক চাহিদা মেটাতে এবার সিনেমা হলের চলার পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দায় আসছে ‘৮৪০’।

টেলিভিশনে দর্শকরা ৮ পর্বের বর্ধিত সিরিজ হিসেবে দেখবে এটি। আগামী ৩ জানুয়ারি দেশের তিনটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখানো হবে রাজনীতিভিত্তিক এই স্যাটায়ার। সে উপলক্ষে বুধবার (১ জানুয়ারি) এক সম্মেলনে মুখোমুখি হন সিনেমার প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা। আর সে আয়োজনেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের পর অভিনেত্রী জানান, দুঃশাসনের চিত্র নিয়ে তৈরি এই সিনেমা প্রচারের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি পেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিশা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের চিত্র নিয়ে তৈরি এই সিনেমা মুক্তির পর প্রযোজক হিসেবে হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে অভিনেত্রীর ফোন নম্বরটাও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সিনেমাটি দর্শক পছন্দ করছে এটাই তার জন্য বড় বিষয়।

টিভির পর্দায় সিনেমা মুক্তি প্রসঙ্গে তিশা বলেন, একটি সিনেমা মুক্তির পর সিনেমা হলের পাশাপাশি দেশের তিনটি চ্যানেলে একই দিন থেকে প্রচার হতে যাচ্ছে- এমনটা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।

দর্শকদের কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, দর্শক সিনেমাটি দেখতে চায়।

৩ জানুয়ারি থেকে চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভি ও আরটিভিতে একযোগে ধারাবাহিকভাবে এই সিরিজটি সম্প্রচার হবে, শেষ হবে ১০ জানুয়ারি। এর মধ্যে চ্যানেল আইয়ে দেখানো হবে রাত ৮টা ২০ মিনিটে ও পুনঃপ্রচার হবে পরদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে। আরটিভিতে রাত ৮টায় ও পুনঃপ্রচার হবে পরদিন সকাল ৮টায়।

আর দীপ্ত টিভি অনএয়ার করবে রোজ রাত সাড়ে ১০টায় ও পুনঃপ্রচার হবে পরদিন দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।

সিনেমা তথা সিরিজটি প্রযোজনা করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, সহ-প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর। চিত্রগ্রহণ করেছেন শেখ রাজিবুল ইসলাম, সংগীত পরিচালনায় ছিলেন পাভেল আরিন ও সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ। সম্পাদনায় তাহসিন মাহিম ও শিল্প পরিকল্পনা ছিলেন ইব্রাহিম এইচ বাবু। পোশাক পরিকল্পনায় পূজাঞ্জলি চৌধুরী ও মেকআপে ছিলেন খাইরুল ইসলাম।

 

সবা:স:জু- ৬১৬/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম