জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সভায় আদর্শিক ঐক্য বৃদ্ধিসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সভায় আদর্শিক ঐক্য বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সংগঠনটিকে নিজস্ব স্বকীয়তা অর্থাৎ জাতীয়তাবাদী চেতনায় এগিয়ে নেয়া, দেশব্যাপী সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি , পাক্ষিক সাহিত্য সভা ও শরতকালীণ কবিতা উৎসব আয়োজন, মাসিক সাহিত্য সাময়িকী এবং অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ।
ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন প্রবাসী কবি ও সম্পাদক রাজ মাসুদ ফরহাদ। সাধারণ সম্পাদক কবি ও শিক্ষাবিদ ড. শহীদ আজাদের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ আয়োজনে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি সৈয়দ রনোর পরিচালনায় মোট ৩৮ জন কবি ও লেখক বক্তব্য রাখেন। যারা বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, সংগঠনের সহসভাপতি বিশিষ্ট লেখক জামাল উদ্দিন জামাল, সহসভাপতি বিশিষ্ট ছড়াকার আতিক হেলাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক জামাল উদ্দিন বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. আলো আরজুমান্দ বানু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কবি শান্তা মারিয়া, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ জাহিদ হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক মঈন মুরসালিন, সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য শাওন আজগর, জেসমিন দীপা, আবুল খায়ের, হাসান কামরুল, মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন, শাহিন রিজভী, রি হোসাইন , দিপাশ আনোয়ার, শাওন আশরাফ, জালাল খান ইউসুফী, রবিউল মাশরাফি , আলম বাঙ্গালী, এটিএম ফারুক আহমেদ, এম এম শাহানুর, জোসেফ জাহাঙ্গীর, আলমগীর সরকার লিটন, নুরুল হোসেন কাইয়ুম, খালেদা সরদার, নিয়াজ আহম্মেদ, সরকার হুমায়ুন, আতিকুজ্জামান খান, পায়সার আলী, সালাহউদ্দিন তুহিন, পরিমল বন্ধু বসাক, জাবেদ পাটোয়ারী, মতিউর রহমান, শোভা চৌধুরী, আবিদ আনোয়ার খান, ইসলাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আজিম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কবি শাহীন রেজা বলেন, লেখক ফোরামের যাত্রা একটি আদর্শের যাত্রা। এ যাত্রায় যারা সাথী হবেন তারা নিশ্চিত ভাবে একটি পরিবারে পরিণত হবেন। যে পরিবারের বন্ধন আমৃত্যু অটুট থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক কবি ড. শহিদ আজাদ বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত যে কোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে।
বিশেষ অতিথি কবি রাজ মাসুদ ফরহাদ লেখক ফোরামের সাথে যুক্ত থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, লন্ডনে সংগঠনের দায়িত্ব তিনি নিজ কাঁধে তুলে নেবেন। তিনি বলেন, আগামী একমাসের মধ্যে জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের ইউকে শাখা গঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কবি রাজ মাসুদ জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সদস্য ফরম ক্রয়ের মাধ্যমে সদস্য ফরম বিক্রয়ের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

তিন দিনব্যাপী কংশনগরে বইমেলা শুরু

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কংশনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চলছে বইমেলা। গতকাল সোমবার পাঁচ ফেব্রুয়ারি এই মেলা উদ্বোধন করেন কথা সাহিত্যিক ও পুলিশ সুপার রহমান শেলী ( মিজানুর রহমান)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আব্দুল মান্নান, পুলিশ সুপার, কুমিল্লা। মেলাটি চলবে সাত ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
কথা সাহিত্যিক রহমান শেলী বলেন, বই হচ্ছে মানুষের মনের খোরাক। মনকে সুন্দরকেমকরতে হলে বই পড়তে হবে। মুখে স্নো পাউডার দিলে যেমন চেহারা সুন্দর হয়, তেমনি আই পড়লে মন সুন্দর হয়। মন সুন্দরকে দেখতে হলে তার আচার-আচরণকে দেখতে হয়। যে সুন্দর করে কথা বলে, যে বড়ের সম্মান করে, যে ছোটদের স্নেহ করে। তাদের মন সুন্দর হয়। যে নিজের কাজ নিজে করে, যে তার নিজের ঘরটিকে পরিস্কার করে রাখে, যে মা-বাবাকে সাহায়্য করে। সে ভালো মনের অধিকারী হয়।
আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেখি নি, নজরুল ইসলামকে দেখি নি। কিন্তু তার বই আমরা পড়ি থাকি। তার মানে কি দাঁড়াল? তাদেরকে না দেখলেও তাদের বই পড়ে তাদের যে চিন্তা তাদের যে ভাআনা ছিল সমাজ ও মানুষকে নিয়ে তা আমরা জানতে পারি। তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, আমাদের প্রত্যেকের মনে তারা বসআাস করে
বিশ্ববিখ্যাত অনেক লেখকের বই আমরা এখন সহজেই বইমেলায় পেয়ে যাই। বিষয়টা কতো দারুণ! সবাই এখন চাইলেই বই পড়ে বিশ্ববিখ্যাতদের জানতে পারি। বইমেলায় অনেক সুন্দর সুন্দর বই আছে। ছাত্র- ছাত্রীদের উদ্যোশ্যে রহমান শেলী বলেন, তোমরা বই কেনার পাশাপাশি বাবা-মা ও ভাই-বোনদের বইমেলায় নিয়ে আসবে। তাহলে সবাই বইকে আনন্দের সাথে উপভোগ করতে পারবে।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান পিপিএম বার বলেন, একাডেমির বাইরেও প্রচুর বই পড়তে হবে। গল্প কবিতা উপন্যাস পড়লে ক্লাসেও ভালো স্টুডেন্ট হওয়া যায়। ক্লাসের পড়ার আগ্রহ বাড়ে। একটি জাতি গঠনে ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা অনন্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতি করেন, স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান। বইমেলা ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, স্কুল হেড টিচার বাহালুল কবির ও স্কুল টিচার আবু ইউসুফ ও অন্যান্য।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম