ফরিদপুরে বিএনপির চার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে বিএনপির ৪ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফরিদপুর সাংবাদদাতা:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কলেজ রোডে অবস্থিত চুয়াল্লিশের মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকন, উপজেলা যুবদলের কর্মী রমজান মোল্যা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী ও আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, শুক্রবার রাতে হামলার অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলার আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকনসহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের চারজনকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা বনি আমিন। এ মামলায় বনি আমিনসহ আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য এ কে এম উজ্বল হোসেনকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়।

জন্মসনদ পেল যৌনপল্লীর শিশুরা

জন্মসনদ পেল যৌনপল্লীর শিশুরা

ফরিদপুর সংবাদদাতা:

ফরিদপুরে যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের সন্তানদের মধ্যে জন্মসনদ দেওয়া শুরু করেছে ফরিদপুর পৌরসভা। এ উপলক্ষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান শাপলা মহিলা সংস্থার উদ্যোগে। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফরিদপুর শহরের রথখোলা ও ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় অবস্থিত দুটি যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের ৩৫ জন শিশুর হাতে জন্মসনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন।

শাপলা মহিলা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের এ দুটি যৌনপল্লীতে ৩৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছে। তাদের শিশু সন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। এই জন্মসনদ বিতরণের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হবে। বাবার নাম ও পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এই জন্মসনদের মাধ্যমে শিশুরা সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে। এছাড়া তাদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, দ্য ফ্রিডম ফান্ডের বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার, শাপলা মহিলা সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমুখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম