বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে মাটিতে ছুড়ে ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী

ডেস্ক রিপোর্ট:
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে সকাল সোয়া ৫টার দিকে তিনি শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি ফটক দিয়ে বের হন। তাকে স্বাগত জানান তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এ সময় তারা ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন বলে স্লোগান দেন।

সে সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটকের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেছেন, আমার ওপর শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। সবচেয়ে বেশি অপমানিত বোধ করেছি যখন বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখে তা তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এটা আমাকে ভীষণভাবে আক্রান্ত করেছে। এ অপমানের বিচার আমাদের আদায় করে নিতে হবে।

ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কঠিন সময় গেছে জানিয়ে শহিদুল আলম বলেন, আমাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তখন আমাদের কঠিন সময় গেছে। কিন্তু গাজাবাসীর ওপর যা হয়েছে তার তুলনায় আমাদেরটা কিছুই না। যতক্ষণ ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে ততক্ষণ আমাদের সংগ্রাম চলতে হবে।

তিনি বলেন, গাজা এখনো মুক্ত হয়নি। গাজার মানুষ এখনও আক্রান্ত। এখনও তাদের ওপর নির্যাতন চলছে এবং সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শেষ হয়নি। ফ্লোটিলায় যাওয়ার পর বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের জন্য দোয়া করেছেন, ভালোবাসা পাঠিয়েছেন। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। টার্কিশ এয়ারলাইন্স আমাকে দেশে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাই। দেশের সরকার যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।

শহিদুল আলম বলেন, আমি আবারও বলব আমাদের আসল সংগ্রাম বাকি আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে; ততক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। আমি যেতে পেরেছি। অনেকে যেতে পারেনি। যারা যেতে পারেনি, তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি মনে করি আরও হাজারও ফ্লোটিলা গাজায় যাওয়া দরকার।

ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে আমরা এগোচ্ছি: সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে আমরা এগোচ্ছি। আমাদের টাইম লাইন ডিসেম্বর এটা মাথায় রেখে কাজ করছি। ডিসেম্বরে ভোট হলে অক্টোবরে সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। টাইম লাইন যাতে মিস না করি সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি।

সোমবার (১০ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি।

নির্বাচনের ট্রেনে উঠেছেন কি? এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যেদিন ঘোষণা দিয়েছেন সেদিন থেকে আমরা জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা দেবেন।

সিইসি আরও বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের প্রস্তুতি জানিয়েছি। আমরা তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছি। প্রার্থীর এজেন্ট ও পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে সহায়তা চেয়েছি। তারা আমাদের হেল্প করতে চান, কী ধরনের সহযোগিতা লাগবে তারা জানতে চেয়েছেন।

সিইসি বলেন, উনারা জানতে এসেছিল পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে, আমরা কোন পর্যায়ে আছি কী ধরনের প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের বিষয়ে যুক্তরাজ্য আমাদের সহায়তা করতে চায়। বিদেশি পর্যবেক্ষক সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন আমরা সব কিছু জানিয়েছি। আমরা যা কিছু করছি জানিয়েছি। ভোটার নিবন্ধন ও পার্টির নিবন্ধন বিষয়ে আমরা জানিয়েছি। বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের কাজ সময়মতো করবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম