খুলনা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কাগজী

খুলনা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আমিরুল ইসলাম কাগজী

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

খুলনা-৬ (পাইকগাছা–কয়রা) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় থাকা সিনিয়র সাংবাদিক ও সমাজসেবক আমিরুল ইসলাম কাগজী দলের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাতের জন্য ডাক পেয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রেরিত এই সাক্ষাতের আহ্বানকে তিনি রাজনীতিতে তার দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মকাণ্ড ও জনগণের আস্থা অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন।

দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে আমিরুল ইসলাম কাগজী সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন নিরপেক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে। সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তার এবং মানবিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে এসেছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপির আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অনুগত থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে জনগণের কাছাকাছি অবস্থান তৈরি করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে খুলনা-৬ আসনের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে নারী, তরুণ ও নতুন ভোটারদের মধ্যে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরতে তিনি মাঠপর্যায়ে নিরলস কাজ করছেন।

এলাকার স্থানীয় জনগণ জানান, আমিরুল ইসলাম কাগজী একজন মানবিক ও নীতিনিষ্ঠ মানুষ। সাংবাদিকতার মাধ্যমে যেমন তিনি সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন, তেমনি রাজনীতিতেও তিনি মানুষের সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়নের গতি বাড়বে বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

সাক্ষাতের ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে আমিরুল ইসলাম কাগজী বলেন, আমি সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। জনগণের ভালোবাসা ও বিশ্বাসই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। বিএনপির প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রয়েছে। সাক্ষাতের আহ্বান পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ, তবে এটাকে আমি দায়িত্বের অংশ হিসেবেই দেখি। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করে যেতে চাই।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানে সৎ, ত্যাগী ও তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় খুলনা-৬ আসনে আমিরুল ইসলাম কাগজী অন্যতম আলোচিত নাম হিসেবে উঠে এসেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবন, সামাজিক সংযোগ, তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ও ইতিবাচক ভাবমূর্তির কারণে তিনি খুলনা-৬ আসনে বিএনপির জন্য একটি শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারেন। যদি দল তাকে মনোনয়ন দেয়, তবে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে নতুনভাবে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, বিএনপি যদি আমিরুল ইসলাম কাগজীকে মনোনয়ন দেয়, তবে খুলনা-৬ আসনে একটি প্রতিযোগিতামূলক, সৎ ও আদর্শভিত্তিক নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে উঠবে।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইন্জিনিয়ার গুলফাম

আজিজুর রহমান বাবু, জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর : নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে। তবে এককাট্টা সমর্থক হয়ে এমন কিছু বলা উচিত হবে না। যা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকেরা আহত হতে পারেন।

গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভোটিং সিষ্টেম একটি নাগরিক অধিকার। একটি ভোটের মাধ্যমে দেশের যে কোন স্হানীয় নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর প্রতিফলন ঘটে থাকে। সেই প্রতিফলনে বাধা সৃষ্টি হলে কট্টর ভোটাররা মানসিক হতাশায় ভোগেন – ভাবনা পড়েন। মনে মনে উভয় সংকটে পড়েন – কী জানি কী হয় ? আবার কখনো পদ পদবী হারানোর ভয়ে স্নায়ু চাপে আতংকিত হন।

নির্বাচন পরবর্তী কোন বিজয়ী প্রার্থী কিন্তু ভোটারদের পরিবারকে কামাই রুজি করে খাওয়ায় না। তাঁরা নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়ে উত্সব মুখোর আমেজে ভরপুর থাকে। এঁরা আনন্দের সাথে নির্বাচনের সকল মুভমেন্ট উপভোগ করে – জয় পরাজয় নিশ্চিত করে।

বিগত উপজেলা নির্বাচনে হুমায়ুন কবির মোল্লা দু-দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে দু’বার ই বিজয়ী হয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন গুলোর উন্নয়ন খাতে উপজেলা পরিষদের বাজেট থেকে কোন বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদ পেয়েছে কিনা কখনো শুনিনি। জনমনে এমন প্রশ্ন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

হয়তো কেউ বলতে পারেন – আমাদের শরীয়তপুর-০২ এর গর্বিত অভিভাবক মাননীয় সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম এমপি মহোদয় কতৃক তো হচ্ছেই – আর দরকার কী ? এসব ধোপে টিকবে না কারণ জননেতার কৃতিত্ব জননেতাই ফিডব্যাক পাবেন।

তারপরও বলবো উপজেলা পরিষদের একটা নির্দিষ্ট বাজেট এবং কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে। সেটির বাস্তবায়ন কী কোন ইউনিয়নে হয়েছে ? কেউ বলতে পারবেন ?

জনগণ বিশ্বাস করে, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব হুমায়ুন কবির মোল্লা একজন বিচক্ষণ রাজনৈতিক সংগঠক, তৃনমূল পর্যায়ে তাঁর দূরদর্শিতাও রয়েছে। তা অস্বীকার করবার জো নেই…. তবে তিনি বিগত দুই টার্মে নির্বাচিত হয়ে জনতার প্রকৃত সেবক হিসেবে দৃষ্টান্ত স্হাপন করতে পারেননি।

অপরপক্ষে নবাগত উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইন্জিনিয়ার জনাব ওয়াছেল কবির গুলফাম তৃনমূল পর্যায়ে এক্কেবারে নতুন হওয়ায় তাকে জনগন লুফে নিয়েছে। কারণ তাঁর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্ন ইমেজ নির্বাচনের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। জনগণ এতটুকু আস্হা রাখতে পারছে যে, তাঁকে ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাতে পারলে – আর কিছু দিতে পারেন আর না পারেন কমপক্ষে ভালো আচরণ প্রদর্শন করে আগত উপকার ভোগীদের সম্ভাষণ জানিয়ে বুকে টানতে ভুল করবেন না।

একজন সুশিক্ষিত নেতা জনগনের কাছে সবচেয়ে বেশী আদরনীয় এবং কাংক্ষিত। কারণ উক্ত নেতা তাঁর শিষ্টাচারের মাধ্যমে এলাকার আবালবৃদ্ধবনিতার কাছে ভালোবাসার পাত্র।

মানবতা, মনুষ্যত্ব আর নাগরিক সচেতনতা যে নেতার অন্তরে বসবাস করে। তিনি কখনোই জনবিচ্ছিন্ন হতে পারেন না। ইতিহাস বারবার সেই সাক্ষী ই বহন করে আসছে।

জনগণ সকল ক্ষমতা প্রদানের হাতিয়ার। তাই বিশ্বাসী প্রার্থী ” ইন্জিনিয়ার জনাব ওয়াছেল কবির গুলফাম ” – মনে করেন ভেদরগঞ্জের সকল শান্তি প্রিয় জনতা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে না । সততার টানে, বিশ্বস্ততার টানে আগামীর ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জনগণ বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম