স্ত্রীকে আনতে গিয়ে ডাকাত সন্দেহে পিটুনি খেলেন যুবক

ওমর ইউসুফ রুবেলঃ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তিন বন্ধুকে নিয়ে নিজ স্ত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলেন হেলাল উদ্দিন নামে এক যুবক। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে পালিয়ে যান তিনি। তবে ধরা পড়ে যান তার তিন সঙ্গী। তাদের ডাকাত সন্দেহে পিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার তিনজন হলেন, একই ইউনিয়নের শহীদনগরের মো. মাইনউদ্দিন (২১), মো. ফরহাদ (১৯) ও ফারুক হোসেন সুকু (১৮)। তারা তিনজনই পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক নানা বিষয়ে তার স্ত্রীর কলহ চলছিল। তাই ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে চলে যান। রোববার সন্ধ্যায় তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আত্মীয় রফিক মিকারের বাড়িতে বেড়াতে যান। খবর পেয়ে রাতে সেখানে যান স্বামী হেলাল। তিনি বন্ধুদের নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় হেলালের স্ত্রী চিৎকার শুরু করলে মুহূর্তেই (ডাকাত পড়েছে) বলে চারদিকে চিৎকার শুরু হয়। একপর্যায়ে মসজিদের মাইকেও এ বিষয়ে ঘোষণা দেন মুয়াজ্জিন। আশপাশের লোকজন ছুটে এলে স্বামী হেলাল উদ্দিন দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে তার তিন বন্ধুকে ধরে পিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা।

আটক তরুণদের একজন মো. মাইনউদ্দিনের ভাষ্য, তারা শহীদনগরের পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। হেলাল তাদের বন্ধু। স্ত্রীকে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নেওয়ার জন্য এসেছিলেন হেলাল। বন্ধু হিসেবে তাদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন, তাকে (হেলালের স্ত্রী) সুপারিশ করার জন্য। কিন্তু বন্ধুর স্ত্রী বিষয়টি সহজে না নিয়ে ডাকাত বলে চিৎকার দেন। তাই গ্রামবাসী তাদের ডাকাত ভেবে আটক করে পিটুনি দেয়। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের ভাষ্য, সংবাদ পেয়ে আটক তরুণদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সোমবার দুপুরে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পরে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর উপর হামলা: তদন্তে গিয়ে সিসিটিভি আবদার করলো পুলিশ!

 

স্টাফাঃ রিপোর্টার

গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীয়ী সাজ্জাদুল ইসলাম মনির, তার স্ত্রী শিল্পী বেগম ও তার কলেজ পরুয়া মেয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে স্থানীয় এরশাদ নগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চার জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী শিল্পী বেগম। ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার উপ পরিদর্শক সাফায়েত ওসমান ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা উপঢৌকন হিসেবে চেয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। যদিও পুলিশের দাবী এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি মুন্না ওরফে ইয়াবা মুন্না, রায়হান ওরফে গেড়গেড় রায়হান, বেসতি রনির বউ মুনমুন ও হযরত ওরফে ফর্মা হযরত।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল ইসলাম মনির ও তার পরিবারের কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা দাবী করে আসছিল মুন্না বাহিনী। বরাবরই চাঁদা দিতে অস্বীকার করে আসছিলেন তিনি। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে বারটার দিকে মুন্নার নেতৃত্বে গেড়গেড় রায়হান মুনমুন ও হযরতসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে ব্যবসায়ী মনিরের বাসার সামনে দাড়িয়ে তার কাছে দাবীকৃত ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলেন। তিনি রাজী না হওয়ায় তার উপর অতর্কিত হামলা করে অভিযুক্তরা। এসময় তার স্ত্রী শিল্পী বেগম ও মেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধরক মারধর করে সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা তাদের কাছ থেকে নগদ ১লাখ ৭৭ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন তদন্তে যান টঙ্গী পূর্ব থানার উপ পরিদর্শক সাফায়েত ওসমান। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে উপঢৌকন হিসেবে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা দাবী করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে উপ পরিদর্শক সাফায়েত ওসমান বলেন, তার কাছে কোন উপঢৌকন চাওয়া হয়নি। নিরাপত্তা স্বার্থে আরো চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, কোন সিসি ক্যামেরা চাওয়া হয়নি নিরাপত্তার স্বার্থে আরো সিসি ক্যামেরার স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম