প্রতিবারের ন্যায় প্রাণবন্ত জাতীয় কবিতা উৎসব

অনলাইন ডেস্কঃ

মহামারীতে দুই বছর বন্ধ থাকার পর কবিতার ঝুলি নিয়ে দেশ-বিদেশের কবিদের পদচারণায় আবারও প্রাণবন্ত জাতীয় কবিতা উৎসব।

বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী।

‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’ স্লোগান নিয়ে দুই দিনের এই উৎসব স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে। কবিতা পাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতে ফুটে ওঠে স্বাধীনতার ‍মর্মবাণী।

আয়োজকেরা জানান, এবারের উৎসবে দেশের প্রায় তিন শতাধিক কবি অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়া দেশের বাইরে দিল্লি থেকে কবি অরুণ কমল, মুম্বাই থেকে কবি হেমন্ত দিভতে, কলকাতা থেকে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত, কবি বিথী চট্টোপাধ্যায়, কবি কাজল চক্রবর্তী, কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য এবং আবৃত্তিশিল্পী সৌমিত্র মিত্র, আসাম থেকে কবি অনুভব তুলসি, ত্রিপুরা থেকে কবি রাতুল দেব বর্মণ, নেপাল থেকে কবি ইন্দু থারু, অস্ট্রিয়া থেকে কবি ওয়ালি রি, ইরান থেকে বি মাজিদ পুইয়ান অংশ নিচ্ছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, “একটি দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ওই দেশকে এগিয়ে নেয়। তাই কবি সাহিত্যিকদের মূল্যায়ন করতে হবে।

“দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে, এখন আমাদের সমাজ ও সাহিত্যের উন্নতি দরকার। আমরা জাতি হিসেবে দিন দিন লোভাতুর হয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের ভাবতে কষ্ট হয়, আমরা ভাষা আন্দোলন করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি কিন্তু লোভ ছাড়তে পারছি না।”

কাগজের দাম কমানোর অনুরোধ জানিয়ে আসাদ চৌধুরী বলেন, “কাগজের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে দেশের কবি, সাহিত্যিকেরা হারিয়ে যাবে, কিছু লিখতে পারবে না, পাঠক কিছু জানবে না। কাগজের দাম কমলে জ্ঞানীদের কাছ থেকে আমরা জ্ঞানের কথা জানতে পারব।”

কবিতা উৎসবের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “সকল সুন্দরের শ্রেষ্ঠ সুন্দর হলো কবিতা। তাই তুলনা করতে গিয়ে আমরা বলি, গল্প বা উপন্যাসটি যেন একটি সুন্দর কবিতা, রূপসী মেয়েটি দেখতে ঠিক যেন একটি নিটোল কবিতা, একটি সুন্দর বক্তৃতাকে তাৎক্ষণিক তুলনা করি অসাধারণ কবিতা বলে।

“ভাষার সুন্দরতম রূপ এই কবিতার সঙ্গে যে কোনো মহৎ সৃষ্টির তুলনা নতুন নয়। যে কোনো অনন্য সৃজনের স্রষ্টা মাত্রই একেকজন শ্রেষ্ঠ কবি। কবি উপাধিটি সমাজের কীর্তিমান মানুষদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের স্বীকৃতি জ্ঞাপক।”

এবারের কবিতা উৎসব স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে কবি সামাদ বলেন, “সব কবির সৃষ্টির প্রধান পাথেয় স্বপ্ন, সাহস ও ভালোবাসা। আশৈশব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন, অসম সাহস ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসাই প্রধান পাথেয় ছিল বঙ্গবন্ধু মুজিবের। তার শিল্পশৈলীসমৃদ্ধ রাজনীতির সোনালি ফসল এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে এক অনুপম সৃষ্টি ও মহত্তম কবিতা।

“তাই বাংলার স্বাধীনতা আমার, আপনার ও অনাগত কালের সব বাঙালির এক প্রিয়তম কবিতা। আসুন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে ঘিরে আয়োজিত আজকের জাতীয় কবিতা উৎসবে, বাঙালি জাতির সমবেতকণ্ঠ হয়ে, বাঙালির মুক্তির আনন্দে সব কবিকণ্ঠে গেয়ে উঠি — বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা।”

কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, আমাদের প্রত্যাশা—বাংলা ভাষাসহ আরো বেশ কয়েকটি ভাষার কবিদের লেখা ও উচ্চারণের মধ্য দিয়ে মহামারী, যুদ্ধ, লক্ষ লক্ষ শরণার্থীর দুর্দশা কবলিত অশান্ত পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষের পাশে আমাদের কবিতা মোমের শিখা হয়ে জ্বলবে এই উৎসবে ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কবি ও প্রাবন্ধিক আমিনুর রহমান সুলতান, ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কবি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, আহ্বায়কের ভাষণ দেন কবি শিহাব সরকার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধিতে ফুল দেন কবিরা।

সূত্রঃ বিডি নিউজ 24

খিলক্ষেত ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল দুর্নীতি, ঘুষনীতি, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার রুখবে কে!!

স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিস। বহিরাগত দালালের আখড়া পরিণত এমনি অভিযোগ উঠেছ। দালাল ছাড়া ফাইল লড়ে চড়ে না। ভুক্তভোগীদের দাবি ডিজিটাল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এখানেই ভয়। সরিষার ভিতরে ভূতের আসর থাকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাধাগ্রস্ত হবে না তো আমাদের দেশ?অভিযোগ পাওয়া গেছে কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ইতিপূর্বে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নানান দুর্নীতি অপরাধ কর্মের কারণে।অর্থলোভী কয়েকজন কর্মকর্তার কারণে এমনইটাই হতে যাচ্ছে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিস।অভিযোগ উঠেছে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল মাস্টার রোলে চাকরি করেন যারা তারাই অফিসের লালন পালনকর্তা।আরো বহিরাগত দালাল চক্র সাইফুল বাহিনী, তার বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। এসিল্যান্ড অফিসে আশেপাশে কথা উঠেছে পিচ্ছি সাইফুল কে নিয়ে।এসিল্যান্ড মহোদয় নাম ভাঙ্গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে বোকা বানিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে তিনি। দিল হাসিল করছে সাইফুল। কারিশমার ধারায় কাগজের কার্যক্রম তিনি সমাধান করে থাকেন,ডিসি অফিস এবং সকলের সাথে তা রয়েছেন অন্তরঙ্গার সম্পর্ক ।সরজমিনে অনুসন্ধান দেখা যায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নানান পেশার মানুষকে সাইফুল বাহিনী কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে। তাদের হিংস্র থাবা থেকে সংবাদকর্মীরাও রক্ষা পায়নি।এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মী রকি পাটোয়ারী।আর দেখা যায় আশেপাশে কিছু দালালের ভূমিকা দেশি রাজহাঁস মত যেভাবে পায় সেভাবেই খেতে চায়।নিয়ম-কানুন ভুলে গেছে তারা কি! কি দায়িত্ব! এমনি কার্যক্রমের ভিডিওফুটেজ দেখা যায়।খিলক্ষেত দালালের খপ্পরে ভরে গেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিস। ইতিপূর্বে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান।অপরাধীদের কর্মকান্ড কারণে ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি। নানান দুর্নীতি অপরাধ কর্মের কারণে এমনইটাই হতে যাচ্ছে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে।যা মহোদয় জালাল সাহেবের জানা নেই। নানান অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষনীতি, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তোলার খবর পদ্মার আড়ালে রয়ে যায় অজানা কাহিনী।
সার্ভেয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (মিজান)গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ খান। মিজানের সাথে অন্তরঙ্গ সু সম্পর্ক দালালও বহিরাগতদের সবুজ নিয়ন্ত্রণ করে সার্ভেয়ার
মিজানের আইডি।তিনি শুধু নির্দেশ দাতা।অভিযোগ রয়েছে শুধু মিজান নয়।বহু মিজান মনগড়া মত। অফিস পরিচালনায় ব্যস্ত যেখানে নেই কোন নিয়ম-শৃঙ্খলা,রয়েছে শুধু অনিয়ম দুর্নীতি। ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এর মিজানের ভিডিও ফুটেছে স্পষ্ট সেবা মান কতটুকু সুরক্ষিত।কয়েকজন গ্রাহক প্রতিবেদকে বলেন স্যার বর্তমান এসিল্যান্ড’র ভালো মনের মানুষী ও সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে নিজস্ব সিন্ডিকেট, একক সেচ্চাচারীতা ও সর্বোচ্চহারে ঘুষ আদায়ের এক পৈচাশিক আবাসস্থল গড়ে তুলেছেন। টাকা ছাড়া এই চার’জনের কাছে থেকে সেবা না পাওয়া ভূমি জোতদারদের ভাষ্যমতে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব এসিল্যান্ডের সার্ভেয়ার মিজান (৫০) ( সাইফুল (৩২) বহিরাগত ডিসি অফিস নিয়ে সর্বক্ষণে ব্যস্ত থাকেন সে।নাম্র কাজে নয়।অন লাইন (বাবুল) নামে পরিচিত একটি দোকান খুলে বসেছেন তিনি স্থানীয়রা বলছেন এটা শুধুই বাবুলের সাইনবোর্ড। এসিল্যান্ড অফিসের প্রত্যেকটি কার্যক্রমের সাথে উনি সংযুক্ত কয়েকজন অভিযোগ করেছে। অফিসের ভিতরের এক নামে পরিচিত বাবুল।(৩৫) আরো জানা যায় সাইফুলের আলতাভুক্ত এক ডজন বেশি বহিরাগত দালাল রয়েছে। প্রতিটি দালাল যেন মহাক্ষুধার্ত রাঁজহাস! বিগত সাত আট বছরের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট এসিল্যান্ড অফিসে এরকম সিন্ডিকেটধারী, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখেঁকো একত্রিত হতে পারেনি। উত্তরা, খিলক্ষেত, ক্যান্টনমেন্ট,স্থানীয় এলাকাবাসী।আগে কখনো দেখেনি! অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন দালালচক্র এসিল্যান্ডের সরল মন-মানসিকতার কারণে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তারা নগদ টাকা পেলে কাজ করে, টাকা না পেলে নানান অযুহাত এনে নির্ভেজাল কাজও ভূমি সহকারী কমিশনার বরাবর না মঞ্জুরের সুপারিশ করে পাঠায়। ভূমি অফিসের দুজন সিনিয়র ব্যক্তি’র (সার্ভেয়ার ও কানুনগো) মাধ্যমে যখন কোনো নামজারি নথি এসিল্যান্ড বরাবর না মঞ্জুরের সুপারিশ করা হয়, তখন ভূমি সহকারী কমিশনার মহাদয়ের আর কিছুই করার থাকে না। কমিশনার সাহেবও তখন তাদের তালে তাল মিলিয়ে সাক্ষর করেন সার্ভেয়ার ও’র ভাষ্যমতে নামজারি ও জমাভাগের কেইসটি না মঞ্জুর করা হলো! এই যদি হয় ভূমি সেবা! মানুষ যাবে কোথায়? ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসে সেবা নিতে আসা অসহায় ভূমি মালিকদের মুখে মুখে শোনা যায় ‘অত্র অফিসের ঘুষখোর প্রাণির নাম সার্ভেয়ার (মিজান) অল লাইন (বাবুল) পিচ্ছি সাইফুল অরফে (দালাল)নামজারি নথি বা কেইস বাতিল করে যেন ভবিষ্যতে কোনো জবাবদিহির মখোমুখি না হতে হয় তারও বহু কৌশল তাদের নিজস্ব ফরমেটে তৈরি করা আছে। একটা নির্ভেজাল কাজে তাদের চাহিদা মতো টাকা না পেলে নামজারি বাতিলের সুপারিশ এমন ‘মূল কাগজপত্র বা দলিল প্রদর্শন না করায় অত্র নামজারি না মঞ্জুর করা যেতে পারে’! অথচ, তাদের সিন্ডিকেট বাহিনির বেলায় এ ধরনের কোনো অযুহাত নেই এবং সারাদিনে দু চারটি মূল দলিল বা মূল কাগজ দেখেছে এরকম নজির খুবই কম। আবার হয়তো কারো কারও নামজারি নথিতে মনগড়াভাবে লিখে রাখে নকশা, পেন্টা লাগবে বিধায় না মঞ্জুরের সুপারিশ! আবেদনকারী নিজে উপস্থিত না থাকায়; না মঞ্জুরের সুপারিশ! অথবা দলিল দাতার/গ্রহিতার বাবার/মায়ের নামের এক অক্ষর ভুল বা এ-কার নাই। আ-কার নাই বা ও-কার নাই, এইসব নিয়েও না মঞ্জুরের সুপারিশ! ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট ছয় থেকে এক বছরের পুরোনো হলেই তারা সরকারি নির্দেশনা দেখাবে যে- চলবে না, নিম্নতম তিন মাসের আপডেট লাগবে। সাধারণ পাবলিকের কাজে এরকম আপডেট কাগজ না থাকলেও নামজারি বাতিলের সুপারিশ করা হয়! অথচ, এমনও খারিজ ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে; যার ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট একদম জাল, ফুটপাত থেকে বানানো, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তা কোনো স্থানীয় চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত নয়! শুধু তাই নয়। ২০২৩ সালের নামজারিতে ২০১০ সালের হাতে লেখা সম্পূর্ণ এনালক পদ্ধতির ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট লাগিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খারিজ করে দেওয়ার কূ-কীর্তির অভিযোগ শোনা যায়। সেবাপ্রার্থী লোকজনের মুখ থেকে জানা যায় ‘তারা এখানে আসছে শুধু টাকা কামাতে, এখান থেকে যা পারে কামিয়ে নিয়ে অন্য কোথাও বদলি হয়ে যাবে’। একই কাগজ বা দলিল পর্চা দিয়ে আবেদনকৃত বহু নামজারি কেইস বাতিল হয়েছে শুধুমাত্র নির্ধারিত ঘুষের টাকা না দেওয়ার কারণে। সেই একই কাগজপত্র ও দলিল পর্চা দিয়ে পূনরায় আবেদন করে যথাযথভাবে সার্ভেয়ার। নির্ধারিত ফি পরিশোধে খারিজ ডেলিভারি নেওয়ার নজির আছে শত শত! তাদের সেই নির্ধারিত ফিস গ্রহণের জন্য আছে নিজস্ব জনবল ও গোপন হিসাবের খাতা। সে খাতা এবং নগদ টাকা জমা রাখেন সিন্ডিকেট বাহিনী। ওদের ভিতরে বিশ্বাসতো ক্যাশিয়ার হিসাব রাখে।বহিরাগত যিনি নন অফিসিয়ালম্যান হয়েও বীরের মতো কাজ করছেন। এসিল্যান্ড অফিসে মাষ্টাররুলে চাকরি করাবস্থায় দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো! সেই ছেলেটিই। ভাই মিজানের বিশ্বস্ত কর্মী বলে অভিযোগ সীমাহীন। তার ভাই আবারও এসিল্যান্ড অফিসে! ভাবা যায়? নিজেদের লোক সেটিংস এর সুবিধার্থে পুরাতন মাষ্টাররুলে চাকুরীরত লোকদের বিভিন্নভাবে বিতাড়িত করে পাকাপোক্তভাবে গড়েছেন ঘুষ দুর্নীতির আখড়া! উপরে বর্ণিত অপরাধগুলো খুবই সামান্যতম মনে হবে যদি শোনা যায় কাজের ধরন বুঝে ঘুষের টাকার অংক নির্ধাারণ করে দেওয়া হয়! ডিসিআর ফি সরকার নির্ধারিত ১১৫০ টাকা বর্তমানে অনলাইনে জমা নিলেও নাজির শাখায় এক্সট্রা ৫০০-৭০০ টাকা জমা দিয়ে তারপর আগত ও চলমান জোত খতিয়ান পোষ্টিং নিতে হয়। নামজারির সর্বশেষ ধাপে এসে উক্ত বর্ণিত নামজারির ফি বাদে এক্সট্রা টাকাটা না দিলে জোত খতিয়ান আর পোষ্টিং দেওয়া হয় না। ফলে অনলাইন থেকে ডিসিআর এর ১১৫০ টাকা জমাদানের যে সরকারি ম্যাসেজ, তা আর গ্রাহকের মোবাইলে আসে না! কয়েকদিন পরে গ্রাহক জানতে পারে, পেন্ডিং জটিলতার কারণে তার নামজারি জমাভাগের প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে! এই সমস্যাটি ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল এসিল্যান্ড অফিসে বর্তমানে মারাত্মক ভয়াবহ ও মহামারীর রুপ ধারণ করেছে! এর সম্পূর্ণ দায়ভার ও দোষ চাপানো হচ্ছে সাধারণ জনতার কাঁধে। বলা হচ্ছে- সময়মত ডিসিআর ফি জমা না দেওয়ায় অটো বাতিল হয়েছে! অথচ, ডিসিআর ফি জমা দেওয়ার কোনো ম্যাসেজ-ই আসেনি। মূলত অফিসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে বড় বাবু সাহেব যাকে যেখানে যেভাবে সেটিং করে দিয়েছে, সে সেভাবেই তাদের সিন্ডিকেটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। জনগণের কথা ভাবার মতো সময় তাদের নেই। সে জন্য নেজারত শাখায় ঢুকলেই দেখা যায় এখানে কেউ হয়তো কাজ করতে আসেনি, মনে হয় সবাই বিকাশ, রকেট ও নগদের ডিলারশীপ নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করছেন। সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র সাথে কাজ করা একজনের সাক্ষাৎকারে জানা যায় (যা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত), ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ পুরো এসিল্যান্ড অফিসটাকে আঙ্গুলে তুলে নাচাচ্ছেন ৩ জন অথবা৪ জন। সরকারি অফিসিয়ালি স্টাফ। কেউ প্রতিবাদ করলে হুংকার দিয়ে বলেন এসিল্যান্ডকে আমি বুঝাবো, আপনার কিছু বোঝার দরকার নাই, অফিস কিভাবে চালাতে হয়, আপনে শুধু দেখবেন। এসিল্যান্ড স্যার খুব ভালো ও সরল সোজা হওয়ার জন্যে সার্ভেয়ার-(মিজান) অনলাইন( বাবু)( দালাল (সাইফুল) (শিপন) তার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে পারছে। আগেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল (শিপন) তবুও বহাল তবিয়তে গাপটি মোড়ে বসে আছে ক্যান্টেমেন্ট রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে শিপন। বদলি হয়েছে শিপন তবুও অজানা রহস্যময় কারণে এখানেই রয়ে যায় তিনি।অনুসন্ধানে চঞ্চল আরো তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায় টেবিলে বিভিন্ন কাজের রেট। বি আর এস খাস দাগ ১৫ হাজার টাকা। এস এ, আর এস ৮নং রেজিস্টার দাগ হলে ১৫ হাজার টাকা, এল এ দাগ ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা,খ তালিকা হলে ৩ থেকে ৫ হজার টাকা, নির্ভেজাল প্রতি পিছ কাজের রেট ১ হাজার টাকা! তাদের ঔদ্ধোত্বপূর্ণ আচরণ ও অহমিকামূলক কথাবার্তায় বোঝা যায়; তারা এসিল্যান্ড অফিসে রাজ করতে এসেছে।লুট করতে এসেছে, শোষন করতে এসছে! তারা কোনো পাবলিক সেবা দিতে আসেনি!

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের