নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া

স্টাফ রিপোর্টার॥
মাসের উপর সময় থাকতেই রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট, ব্যাংকে এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা-এ ধরনের নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ ধরনের সিন্ডিকেটের হাতেই জিম্মি সাধারণ ক্রেতা। রমজানের পণ্য আনতে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য সরকার বাকিতে পণ্য আমদানির সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত এলসি খোলার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সুফল ব্যবসায়ীরা ভোগ করছেন। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। নিত্যপণ্যের দাম শুধু বাড়ছেই। মূল্যবৃদ্ধির প্রমাণ দিচ্ছে খোদ সরকারি একাধিক সংস্থা। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, রোজায় আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়বে ৩০ ভাগ।

অপরদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এখনই গড়ে পণ্যের দাম ৫৯ শতাংশ বেশি। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের প্রভাব আরও প্রকট। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কৌশল পালটেছে। আগে রোজা শুরু হলে দাম বাড়ত। তখন চারদিক থেকে রব উঠত। সরকারের তৎপরতা আরও বেড়ে যেত। ফলে সিন্ডিকেট বেশিদূর যেতে পারত না। এসব কারণে এখন তারা রোজার দেড়-দুই মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। প্রথম রোজা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। ব্যবসায়ীদের কৌশলের কারণে ক্রেতাদের সাবধান হতে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, কেউ যেন একসঙ্গে অনেক বেশি পণ্য না কেনে। তাদের মতে, ক্রেতারা সাবধান হলেও এখন থেকেই কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে হবে। অন্যথায় রোজার আগে পণ্যের দাম আরও বাড়বে। ১৫ রমজান পর্যন্ত এটা চলতে থাকবে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের রমজান কাটবে অস্বস্তিতে

 

 

 

লাউ সবজির উপকারিতা ও অপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

লাউ শীতের সবজি হলেও এখন সারা বছরই ফলন হয়। এই সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ডায়েটারি ফাইবার আছে। দ্রবণীয় ডায়েটারি ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং হজমসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। এ ছাড়া নিয়মিত লাউ খেলে গলা-বুক জ্বালা করা, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা, অজীর্ণ ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।

লাউয়ের পুষ্টিগুণ-

লাউ গাছের আগা, ডগা, ফল সবই অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশের গ্রাম কিংবা শহরের সকল মানুষের কাছে পরিচিত ও ব্যাপক জনপ্রিয় ও সুস্বাদু সবজি লাউ। এটা সর্বত্র সারা বছরই পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন এ সবজি তাই আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। লাউ-এর আদি নিবাস আফ্রিকা। পরে তা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। লতানো জাতীয় উদ্ভিদ লাউয়ে ভিটামিন বি.সি. শর্করা ও খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়। এর পাতায় এ.সি. ও ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বীজে থাকে ৪৫% ফ্যাট এসিড, প্রোটিন, অ্যামাইনোএসিড ইত্যাদি। বীজের তেল মাথাব্যথা দূর করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী লাউ গাছের পাতায় খাদ্য উপাদান হ’ল- প্রোটিন ২.৩ গ্রাম, শর্করা ৬.১ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম, ৮০ গ্রাম, ক্যারোটিন ১৮৭ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ৯০ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩৯ কিলোক্যালরি।

১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী লাউ-এ খাদ্য উপাদান হ’ল- জলীয় অংশ ৮৩.১ গ্রাম, প্রোটিন ১.১ গ্রাম, শর্করা ১৫.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৬ গ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, খনিজ পদার্থ ০.৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ১০.০৩ মিলিগ্রাম, বি ২.০১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.০২ মিলিগ্রাম। তাছাড়া এতে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ওমেগা ৬, ফ্যাটি এসিড আছে। এছাড়া লাউয়ের নানা ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে নিয়মিত লাউ খেলে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হন। তারা লাউ খেয়ে উপকার পাবেন।

লাউ গাছের পাতা শাকও খুবই উপকারী। যাদের খাবার কম হজম হয় বা অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে, তাদের জন্য লাউ খুবই উপকারী সবজি। নিয়মিত খেলে কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়। যাদের শরীর গরম বা মাথা গরম থাকে, তারা লাউ খেলে উপকার পাবেন। হৃদরোগে আক্রান্ত ও হাই-প্রেসারের রোগীরা নিয়মিত লাউ খেলে উপকার পাবেন। লাউ খেলে শরীরের চামড়ার আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফলে শীতকালে চামড়ার টান টান ভাব কমে যায়।

কানের ব্যথায় লাউ গাছের নরম ডগার রস দিলে উপকার পাওয়া যায়। লাউ গাছের পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে জন্ডিস রোগে উপকার হয়। যাদের ঘুম কম হয় তারা রাতে লাউ খেলে রাত জাগার প্রবণতা কমে ঘুম আসতে পারে। যাদের সব সময় মাথা গরম থাকে তারা লাউ এর বীজ বেটে মাথার তালুতে রাখলে বা ভরণ দিলে উপকার পাবেন। খাওয়ায় অরুচি হ’লে লাউ-এর সবজি বা লাউ-এর বাকলের ভাজি খেলে সমস্যা কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

লাউয়ের ক্ষতি/অপকারিতা-

গরমের মৌসুমে লাউয়ের রস খাওয়া খুব উপকারী বলা হয়, কিন্তু আর্দ্র মরসুমে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। লাউয়ে ১২ % পর্যন্ত জল এবং প্রচুর ফাইবার থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই বোতলের লাউয়ের জুস পান করলে অ্যালার্জি হতে পারে। যদি বোতলের লাউয়ের রস বিষাক্ত হয় তবে এটি পান করার পরে চুলকানি হতে পারে।
ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি