1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
শশুর শাশুড়ীকে হত্যা করে ডাকাতির নাটক সাজায় প্রবাসীর স্ত্রী!! আটক ৩ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৪:১৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
ডেমরায় ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন টিআই মৃদুল পাল বরিশালের জিএস ল্যাবরেটারীজ আয়ুর্বেদিক এর কথিত চেয়ারম্যান, এমডি ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে এলএমএল পদ্ধতিতে ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত করার অভিযোগ শার্শায় ওষুধ ফার্মেসীতে দু:সাহসিক চুরি সংগঠিত রফিকুল ইসলাম সিয়াম ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত ডিপিডিসি’র উপসচিব আসাদুজ্জামানের সম্পদ দেশ-বিদেশে: আছে অর্থ পাচারের তেলেসমতি যাত্রাবাড়ীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা সাজ্জাদ হত্যার পরিকল্পনাকারী দেলোয়ার  কর্তৃক সাংবাদিকের হুমকির প্রতিবাদে  মানববন্ধন বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে বোমা হামলা সুপ্রীম কোর্টে কজলিস্টে অভিনব জালিয়াতি
শশুর শাশুড়ীকে হত্যা করে ডাকাতির নাটক সাজায় প্রবাসীর স্ত্রী!! আটক ৩

শশুর শাশুড়ীকে হত্যা করে ডাকাতির নাটক সাজায় প্রবাসীর স্ত্রী!! আটক ৩

মাহফুজ বাবু;
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সুবর্ণপুর গ্রামের পল্লিচিকিৎসক সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সফুরা খাতুনকে হাত–পা বেঁধে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করেন পুত্রবধূ নাজমুন নাহার চৌধুরী, তাঁর খালাতো ভাই জহিরুল ইসলাম মজুমদার ও তাঁদের সহযোগী মেহেদী হাসান । আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. আবদুর রহীম।

তিনজনের মধ্যে নাজমুন নাহার (২৫) নিহত দম্পতির বড় ছেলে দুবাইপ্রবাসী সৈয়দ আমানউল্লাহর স্ত্রী। নাজমুনের খালাতো ভাই জহিরুল ইসলামের (১৯) বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে। আর তাঁদের সহযোগী মেহেদী হাসানের (১৮) বাড়ি কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দক্ষিণ জয়কামতা গ্রামে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৫ সেপ্টেম্বর রাত আটটায় নাজমুন তাঁর খালাতো ভাই জহিরুলকে কয়েক বন্ধুসহ সুবর্ণপুর গ্রামে আসতে বলেন। রাত নয়টায় জহিরুল তাঁর বন্ধু মেহেদীকে নিয়ে নাজমুনের শ্বশুরবাড়ি যান। নাজমুন দরজা খুলে দিলে তাঁরা ঘরে ঢোকেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাজমুন তাঁর ওড়না দিয়ে সফুরা খাতুনের মুখ চেপে ধরেন। এরপর তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলেন জহিরুল ও মেহেদী। সফুরাকে খাটে ফেলে দেন তাঁরা। এরপর কম্বলচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করেন নাজমুন। ঘটনার সময় বিল্লাল হোসেন বাড়িতে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর তিনি ফেরেন। এ সময় তাঁকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়।

ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবে ওই তিনজন ঘরের আসবাব তছনছ করেন। নাজমুনকে বেঁধে রেখে তাঁর মুঠোফোন নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চলে যান জহিরুল ও মেহেদী। তখন নাজমুল তাঁর হাতের রশি খুলে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ঘরে ডাকাতি হয়েছে। আশপাশের লোকজন এসে দেখতে পান, বিল্লাল হোসেন ও সফুরার লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।

পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নাজমুনকে আটক করে নিয়ে যায়। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত দম্পতির বড় মেয়ে সৈয়দা বিলকিছ আক্তার। মামলায় নাজমুনের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন নাজমুন। একই সঙ্গে দুই সহযোগীর নামও প্রকাশ করেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কুমিল্লা নগরের দক্ষিণ চর্থা এলাকা থেকে জহিরুল ও বরুড়া উপজেলার আড্ডাবাজার থেকে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে। তিন আসামিকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় বেরিয়ে আসে খুনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পুরো কাহিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »