দোহাজারীতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

এস.এ.এম. মুনতাসিরঃ

জ্বালানিসংকটে ইউরোপসহ পৃথিবী জুড়ে বিদ্যুতের ঘাটতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মোমবাতির আলোয় চলছে ইউরোপের কোনো কোনো দেশে রেস্টুরেন্টের কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও অর্থনৈতিকভাবে স্বস্তিতে নেই। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মন্দা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এই লক্ষ্যে চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলা দোহাজারী পৌরসভা এলাকায়ও এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত রেখেছেন দোহাজারী পৌরসভা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ। আজ ১১ মার্চ শনিবার দুপুরে দোহাজারী পৌরসভাস্থ হতে দোহাজারী পৌরসভা আ.লীগের উদ্যোগে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন দোহাজারী পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি আবদুস শুক্কুর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহাজারী পৌরসভা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বশীর উদ্দিন খান মুরাদ। দোহাজারী পৌরসভা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদুর রহমান সুমন ও শওকত খান এর যৌথ সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা আ.লীগের আহবায়ক কায়ছার উদ্দিন চৌধুরী,আ.লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বেগ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী হিরু,উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নবাব আলীসহ ইউনিয়ন আ.লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন,২০১৭ সালের ১১মে দোহাজারীকে ইউনিয়ন থেকে পৌরসভায় উন্নীত হওয়ার পর বিগত চার বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৮ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন এলাকার নাম তালিকা করে প্রকল্প গ্রহণে পৌর প্রশাসক ও প্রকৌশল বিভাগের কাছে তুলে ধরার জন্য পৌর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।

চট্টগ্রামে সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীসহ ১০ তরুণ আলোচনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই গণহত্যার বিচার ও নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখনো কয়েকটি দলের ‘শর্তসাপেক্ষ’ থেকে মুক্ত না হলেও ইতিমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী বাছাই ও ঘোষণা করেছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে দৃশ্যমান আনুষ্ঠানিক কোনো তৎপরতা শুরু না হলেও ভেতরে ভেতরে হোমওয়ার্ক সেরে নিচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। অক্টোবরে তা দৃশ্যমান হতে শুরু করবে বলে জানা গেছে।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বিষয়ে জেন-জির মনোভাবকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাছাইয়ের মানদণ্ডে। এক্ষেত্রে ক্যারিশমেটিক ও ইতিবাচক উদ্যমী তরুণদের দিয়ে চমক দিতে পারেন বিএনপির হাইকমান্ড।

এ ছাড়া এলাকায় জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা, দলীয় সাংগঠনিক দক্ষতা, দলের প্রতি আনুগত্য, বিগত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক- এসব প্রথাগত মানদণ্ড তো বিবেচনায় থাকছেই।

তারই আলোকে দেশের বিভিন্ন আসনে বিএনপির অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর বিষয়ে দলীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে ইতিবাচক মনোভাব উঠে আসছে নানাভাবে। তারা এলাকায় এমনকি জাতীয় ও পেশাগত পর্যায়ে কাজ করছেন জোরেশোরে। তাদের মধ্যে অনেকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এবং গণমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে বেশ আলোচনায় এসেছেন ইতিমধ্যে।

বিভিন্ন মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে আটটি আসনের সম্ভাব্য ও আলোচনায় আসা তরুণ প্রার্থীর নাম এসেছে ঢাকাটাইমসের হাতে। তাদের মধ্যে প্রথম দিকে আছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২)। বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ ও গণমাধ্যমে সমান সক্রিয় ছিলেন জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদের এই অন্যতম শীর্ষ নেতা।

এ ছাড়া সাংগঠনিক দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ বিবেচনায়ও এগিয়ে রাখছে সুবক্তা কাদের গনি চৌধুরীকে। আগামী নির্বাচনে কাদের গনি চৌধুরী চট্টগ্রাম-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ধানের শীষ প্রতীক পাবেন, এমনটাই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে কেন্দ্রে।

মহানগর ও জেলার বিভিন্ন আসনে আরও যাদের নাম প্রাথমিক বিবেচনায় ওপরে দিকে আছে বলে জানা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই তরুণ। নিজেদের যোগ্যতার পাশাপাশি বাবার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবেও মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন তারা। তাদের প্রত্যেকের বাবা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সুপরিচিত মুখ।

চট্টগ্রাম-৫ আসনে আছেন সাবেক মন্ত্রী মীর নাসিরের ছেলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এই আসনে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির সাবেক এমপি ওয়াহিদ উদ্দিনের মেয়ে ব্যারিস্টার ফারজানা। চট্টগ্রাম-৭ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও মন্ত্রী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী আছেন শীর্ষে।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু আছেন আলোচনার কেন্দ্রে। ইসরাফিল বিএনপির পররাষ্ট্র উপকমিটির সদস্য।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে তরুণ প্রার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ আসনে আছেন দীর্ঘদিন আয়নাঘরে নির্যাতিত সৈয়দ সাদাত আহমেদ। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির এই সাবেক সদস্য দলের চেয়ারপারসনের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা এবং চট্টগ্রাম-৩ আসনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক রফি উদ্দিন ফয়সাল ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন আছেন সম্ভাব্য তালিকায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি