প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক আনিছুর রহমানের দুর্নীতি ও নারী কেলেংকারী ফাঁস!

 

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নারী কেলেঙ্কারীসহ সীমাহীন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে। সুত্র জানায়,একের পর এক দুর্নীতি ও নিয়ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা। যার একক নেতৃত্বে বিশ্ব ব্যাংক পর্যন্ত প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও নতুন করে আবারও তিনি প্রকল্প পরিচালক পদ পেয়েছেন। এ যেন সাপে বরের মতো অবস্থা।
সূত্র জানায়, প্রকল্প পরিচালক আনিছুর রহমান সম্প্রতি ২৩টি গ্রুপের দরপত্র আহবান করেন তার নিয়ন্ত্রনাধীন প্রকল্প থেকে। কিন্তু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারদের মনগড়া শর্ত জুড়ে দেয়ায় প্রত্যেক টেন্ডারের বিপরীতে একটি করে দরপত্র জমা পড়ে যা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলেই এমনটি। বর্তমানে তাদেরকে কার্যাদেশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়া প্রকল্পের বিল্ডিং নির্মাণ হওয়ার আগেই তিনি ৪ কোটি টাকার ফার্ণিচার ক্রয়ের দরপত্র আহবান করে সরকারী বিধি উপেক্ষার মাধ্যমে অনভিজ্ঞ ও অখ্যাত একটি ফার্ণিচার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়ে তাদের কাছ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা কমিশন আদায় করেছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অটবি ফার্ণিচার কোম্পানীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে জমা দেওয়া হয়েছি। যে টি এখন তদন্ত চলছে।
প্রকল্প পরিচালক আনিছুর রহমান এনভিএন এন্ড ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রকল্পের প্রকিউরমেন্ট অফিসার থাকাকালীন সময় কেনাকাটা চরম অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন যে কারণে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে তাকে পানিশমেন্ট বদলি হিসেবে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বদলি করা হয়। গাজীপুরের কাপাসিয়া থাকাকালীন সময় তিনি নারী কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনা জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষ তাকে তড়িঘড়ি করে সিরাজগঞ্জে বদলি করে দেয়। পরে সেখান থেকে প্রভাবশালীদের তদবিরে সিবিএইচে বদলি হয়ে আসেন।
প্রকল্প পরিচালক আনিছুর রহমান সিবিএস এ কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তিনি রুমে বসে মদ্যপান করা অবস্থায় তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ফেরদাউস আহমেদ দেখতে পান এবং সাথে সাথে তাকে বদলীর সুপারিশ করেন।
এ সকল অনিয়মের পরেও প্রকল্প পরিচালক আনিছুর রহমান বহাল তবিয়াতে। পরে প্রভাবশালী মহলের সহযোগীতায় এ অসাধু কর্মকর্তা পুরস্কৃত হয়ে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পান।
সুত্র আরো জানায়, প্রকল্প পরিচালক আনিছুর রহমান বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের প্রকিউরমেন্ট অফিসার থাকাকালীন সময় অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন যা দিয়ে তিনি রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার রাজাবাজারে বিলাসবহুল ফ্লাট কেনেন এবং বসুন্ধরা আবাসিকে ২ হাজার স্কয়ার ফিটের বিলাশ বহুল ফ্লাট কিনে বর্তমানে বসবাস করছেন। যার আনুমানিক মূল্য আড়াই কোটি টাকার অধিক। তদন্ত করলে এ সকল ঘটনার প্রমাণ মিলবে বলে সুত্রটি দাবি করে।
তবে এমন অসৎ কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক থাকা নিয়ে অনেকের মাঝেই বিভিন্ন রকমের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। দ্রুত এ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে প্রকল্প পরিচালকের উপর থেকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত পুর্ব্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা।
তারা আরো জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এমন নারী লোভী মাতাল এবং দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে থাকলে অধিদপ্তরের উন্নয়ন যেমন ব্যাহত হবে অন্যদিকে সরকারের সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে। তাই তাকে অতিদ্রুত অপসারণ করা উচিত ।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং একটি পক্ষ এ সব অপপ্রচার করছে বলে তিনি দাবী করেন।

গুলশান বনানী এলাকায় অধিকাংশ বাড়ি এখন পতিতা পল্লী ও নারী পাচারকারীদের অভয়াশ্রম

সুজন শেখঃ

গুলশান ও  বনানী এলাকায় অধিকাংশ বাড়ি এখন পতিতা পল্লী ও নারী পাচারকারীদের অভয়াশ্রম নারী পাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ী হোতা হাসি,বাহার, পাপ্পু, রত্না, শাওন, কুদ্দুস, তাজু, মেঘলা, শাহ আলম, মোস্তফা, ইব্রাহিম, সুমন, আরো অনেকেই। জানা যায় রাজধানীর গুলশান থানাদিন গুলশান -১ গুলশান -২ ও বনানী এর আশেপাশে এলাকায় সমূহ এখন ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে স্পা ম্যাসেজ পার্লারের নামে দ্বিতীয় টানবাজার পতিতা পল্লী হিসাবে।জানা যায় এক শ্রেণীর নারী পাচারকারী দালালচক্রের রাহুগ্রাসে জিম্মি হয়ে দিনের পরে দিন ১০ বছরের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের গৃহবধূ পরঁ্যন্ত বন্ধ চার দেওয়ালে তিলে তিলে ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে এই এলাকায়।কঠোর প্রহরা বেষ্টীত এসব বন্দিশালা থেকে নির্যাতনে বাধ্য করে যৌন কর্মে। বাসা- বাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলও সরবরাহের মাধ্যমে বাধ্য করা হয় এ কাজে।অভিযোগ রয়েছে কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল,কিছু রাজনৈতিক নেতা কর্মী ও অসাধু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার ছত্র ছায়ায় চালানো হচ্ছে অনৈতিক কর্মকান্ড। প্রশাসনের কাছে নির্যাতিতরা লিখিত অভিযোগ করলেও কার্যকারী নেই তেমন কোন পদক্ষেপ।ফলে এসব এলাকার চার দেওয়ালে এখন মুখ বুজে যেন নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে শত শত অসহায় শিশু যুবতী নারীরা। জানা যায় এদিকে প্রায় এক বছর আগে নারী পাচারকারী স্পা ম্যাসেজ পার্লারের মালিক পাপ্পুর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে ছদ্মনাম নাম লায়লা আক্তার ( ১৪)আটকিয়ে নারী ব্যবসায়ী জালে লায়লা জানায় গাজীপুর একটি গার্মেন্টসে কাজ করার সময় পাপ্পুর এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছর কোরবানির ঈদের আগে পাপ্পু তাকে দেহ ব্যবসায়ী অ্যারোমা,ইসমাইল, লোটাস, থাই স্পা ম্যাসেজ পার্লারের মালিক হাসি কাছে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সে জানতে পারে ঐ প্রতারক প্রেমিক তাকে হাসির কাছে বিক্রি করে গেছে।এরপর থেকে হাসি অঘোষিত পতিতালয়ের পণ্য হিসাবে নিয়মিত ব্যবহার হতে হয় তাকে। প্রতিদিন তাকে মেটাতে হতো কমপক্ষে ১০ জনের যৌন চাহিদা। শারীরিক কোনো অসুস্থতায় কোন বন্ধ থাকতো না ঐ যৌন বর্বরত।নারী পাচারকারী হাসির রক্ত চক্ষু এবং আরো ও নির্যাতনের ভয়ে মুখ বুজে সহ্য করতে হয় যৌন নির্যাতন। লায়লা আরো জানায় সে একাই নয় গুলশান-১গুলশান-২ বনানী এলাকায় একই ধরনের অপরাধীদের শতাধিক স্পা মেসেজ পালারে বন্দি রয়েছে আরো শিশু ও যুবতী নারীর গুলশান -১ গুলশান -২ ও বনানী ঘরে ঘরে প্রতিনিয়ত চলে এসব শিশুদের আহাজারি। স্পা মেসেজ পালার ছাড়া বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসা-বাড়িতে ও আবাসিক হোটেলে তাদের সর্বহারের মাধ্যমে বাধ্য করা হয়। একাজে স্থানীয় ও থানা ম্যানেজ থাকায় ঐ সব শিশুদের কনো আর্তনাদ ঘরের বাইরে বের হয় না। নারী পাচারকারীর সদস্য স্পট গুলো হাসির তিন টি অ্যারোমা, ইসমেইল, লোটাস, অ্যাভেঞ্জার, থাই স্পা, পাপ্পুর হিল্টন থাই স্পা, রত্নার হ্যাপি থাই স্পা, শাওনের আছে ৪টি সেভেন ডোর, লেগি সার্চ, হিল্টন, আরো দুইটি থাই স্পা আরও যারা আছে সব
স্পা মেসেজ পালারের ব্যবসায়ী মালিক। হাসি,বাহার, পাপ্পু,শাওন, কুদ্দুস, তাজু, ইব্রাহীম,মোস্তফা, মামুন,মেঘলা, শাহ আলম, মান্নান, সুমন, সহ আরো অজ্ঞাত শতাধিক।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে