বহু অপকর্মে নোমান গ্রুপ জামায়াতি নুরা এখন আওয়ামীলীগ হোতা : ঘুষ কান্ডে টাকার পাহাড় বানান কমিশন কাশেম

স্টাফ রিপোর্টারঃ

২০০৪ সালের আগে থেকেই দৈনিক নয়া দিগন্তের শেয়ার হোল্ডার ছিলেন নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। একদিকে কাওরান বাজারে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার একটি জমিতেও নাম আছে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন ও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বা ছু রাজাকার এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। এখনও জামায়াতের সাথে সম্পর্ক রাখলেও মুজিবকোর্ট গায়ে দিয়ে থাস আওয়ামী লীগ নেতা বনে গেছেন নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। স্পনীয় (লোহাপড়া) জামায়াত নেতাদের সাথে এখনও মাঝে মাঝে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়। এলাকার তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত আবুদগর ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিণ চলে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাসাটি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত। একইসাথে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত বহু সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের ব্যাংক লুটের টাকায় বর্তমানে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন। নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নামি দামী রং বেরংয়ের ১০/১২টি গাড়ী ব্যবহার করেন। যার একেকটি গাড়ীর দাম দুই কোটি টাকা থেকে ১০ দশ কোটি টাকা মূল্যের। ঢাকা পূর্বাচল তিনশ ফিট এলাকায় জনগিড়ি নামক এক বিশাল বাংলো বাড়ী ও জায়গা জমি আছে। যার আনুমানিক মূল্য তিনশ কোটি টাকার উপরে। এছাড়াও ঢাকার গুলশান, বনানী, বাড্ডা, খিলগাঁও, আরামবাগ, মতিঝিল, ধানমণ্ডি, উত্তরা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আছে শত শত কোটি টাকার জায়গা জমি, বাড়ী ও অসংখ্য প্লট। নোমান গ্রুপের বিরুদ্ধে জঙ্গী স দেবারও অভিযোগ রয়েছে। নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সরাসরি জামায়াতের ডোনার হিসেবে বেশ প্রশংসিত এবং পরিচিত। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের বড় একটা অংশ জামাতের ফান্ডে চলে যায়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ইতোমধে জঙ্গি মদদদাতা এবং অর্থের যোগান দাতাদের একটি তালিকা করেছে যেখানে নাম আছে নোমান গ্রুপের। জামায়াতি প্রতিষ্ঠান ইসলামি ব্যাংকের তথ্য মতে তাদের প্রথম সারির ফ গ্রহিতা নোমান গ্রুপ। এই ব্যাংক বিগত সময়ে জামায়াতের ডোনারদের আর্থিকভাবে স্বছল করার যে প্রয়াস গ্রহ করেছিল তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগি নোমান গ্রুপ।

এই নুরুল ইসলামের ব্যাপারে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য যাচাই করতে যেয়ে রীতিমত অবাক হয়েছেন কারন একসময়ের সামান্য কাপড় বিক্রেতা থেকে আজ দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ীর তকমা লাগিয়ে দিব্যি গোপনে তাদের ধর্মের নামে নৈরাজ্যের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নুরুল ইসলামের বয়স ৫ সন্তান শিা সম্পন্ন করেছেন জামায়াতি ঘরনার প্রতিষ্ঠান থেকে। বিদেশের বিভিন্ন দেশের সাথে তাদের বিনিয়োগের আড়ালে কোটি কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করছেন জুবায়ের ও ফাতেমা নামের দুই সন্তান। জুবায়ের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী এবং নিজের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় দাপিয়ে বেড়ায়। নিজ গ্রাম লোহাগড়ায় বিএনপির আব্দুল আওয়াল মিন্টুর ছোট ছেলের সাথে সার্বনিক থাকেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোমান গ্রুপের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, প্রথমে বুঝতে পারিনি জুবায়ের জামায়াত-শিবির করে।

কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু অভিযোগ:লাখ টাকার মাধ্যমে রফাদফা!

মুহা: শরীফ সুমন :

কুমিল্লা আল-নূর হসপিটালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ১৭ মাস বয়সের শিশু নূর মোহাম্মদ মারা গেছে এমনটাই অভিযোগ নিহত শিশু পরিবারের। থামছে না পরিবারের আহাজারি আর কান্নার রোল । ঘটনাটি ঘটে (২ সেপ্টেম্বর ২০২৩) শনিবার সন্ধ্যায়।পরের দিন রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৩৩ ঘন্টার পর শিশুর লাশ রফাদফা মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে যায় ভুক্তভোগী পরিবার।
নিহত শিশু নূর মোহাম্মদ বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মো.সবুজ মিয়ার ছেলে।তার নানার বাড়ি বাকশীমূল উত্তরপাড়া।
কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও আল-নূর হসপিটালের সামনে লাশবাহি গাড়ীতে রবিবার সন্ধ্যায় ৭টা পর্যন্ত শিশুর লাশ ছিল।
ঘটনার বিষয়ে কর্তব্যরত কোন চিকিৎসকের সরাসরি বক্তব্য না পাওয়া গেলেও জেলা সিভিল সার্জন কার্য্যালয় বলছে অভিযোগ পেলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা। বলছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা:নাজমুল আলম ।
শনিবার সকাল ১০ প্রস্রাবের রাস্তার সমস্যা হলে মোঃ হেলালের মাধ্যমে কুমিল্লা আল-নূর হসপিটালে ভর্তি করান একমাত্র ছেলে নূর মোহাম্মদকে। ডাক্তার বলেছে অপারেশন করলে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে তাই রাতে অপারেশনের জন্য অগ্রিম দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা।
অপারেশনে সময় ডাক্তার দেবাশীষ চক্রবর্তী একটি ইনজেকশন দিলে শিশু নূর চোখ বন্ধ করলে আর খুলেনি। এমটাই অকপটে স্বীকার করে নিহতের স্বজনরা।ওই রাত সাড়ে নয়টায় ডাক্তার জানায় শিশু নূর মোহাম্মদ মারা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন জানান- ডাক্তারা অপরেশন করেছে তা ডাক্তার বলতে পারবে। আমরা কিছু বলতে পারি না। তবে নিহত শিশুর মা তানিয়া আক্তার জানান,আমার শিশু ছেলেকে তারা ভূল চিকিৎসায় মেরে ফেলেছে।আমরা ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত করে যায়।
এদিকে শিশুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা ঘটনাটি দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে ধামাচাপা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সচেতন নাগরিকরা বলছেন একটি শিশু লাশের মূল্য কি দেড় লক্ষ টাকা। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের অবেহেলা নিয়ে সমালোচনা চলছে সর্বত্র।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান