সাধারণ জনগণ কি হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সী দের কাছে কি জিম্মি

 

মোঃ মোক্তার হোসেন,সৌদি আরবিয়াঃ

উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।

لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

এই একটি ধ্বনি পৃথিবীর প্রত্যেক মুমিন মুসলমানদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু প্রতিবছর হাজারো লাখো মুমিন মুসলমানরা এই ধ্বনি নিয়ে হাজির হয় পবিত্র কাবা শরীফ মক্কা মুকারামায় পবিত্র হজ্জ ও উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এ পবিত্র কাজ গুলো সঠিকভাবে পালন করার এবং করানোর ক্ষেত্রে যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করে তারা হলো ট্রাভেল এজেন্ট বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত হজ্জ এবং ওমরা ট্রাভেল এজেন্ট যতগুলো আছে তার থেকেও বেশি অনুমোদিত ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ট্রাভেল এজেন্ট আছে এই ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নাম মাত্র এজেন্সি গুলোর অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে ভুক্তভোগী অনেক বাংলাদেশী হাজীদের অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্ট ভোগ করতে হয় এজেন্সি গুলোর এমন ব্যবহার মনে হয় যেন বাংলাদেশ থেকে তারা তাদেরকে ফ্রি কোন সেবা দিচ্ছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা বাংলাদেশী হজ ও ওমরা প্রত্যাশীদের যেভাবে লুণ্ঠন এবং শোষণ করছে তা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে আছে মনে হয় না কেননা গত ৮ ই মার্চ ২০২৩ ইং ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে স্বশরীরে সৌদি আরবিয়া থেকে যে অভিজ্ঞতা নিয়ে আসলাম তা আসলে অনেক বেদনাদায়ক শুধুমাত্র একমাত্র বাংলাদেশি হাজিরা ই এত কষ্ট করে কেননা কিছু সংখ্যক ট্রাভেল এজেন্ট গুলো তাদের কথা ও কাজের সাথে কোন মিল রাখে না কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে হজ ও ওমরার যে খরচ ও ব্যয়বহুল তা অনেকটা বেশি ।পার্শ্ববর্তী দেশ যাদের সাথে আমরা তুলনা করি আমাদের সবকিছু ইন্ডিয়া পাকিস্তান সেসব দেশের নাগরিকদের সাথে আলাপ এবং নিজ অভিজ্ঞতা যতটুক জানতে পারলাম তারা ওমরায় আসতে নামমাত্র কিছু টাকা ব্যয় করতে হয় সেবার দিক দিয়ে তারা অনেক উন্নত সেবা নিয়ে তাদের ওমরা কার্যক্রম সম্পাদন করে তারা তাদের দেশে ফিরে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ হলেও সব সময় ব্যয়বহুল এবং সিন্ডিকেট দের হাতে জিম্মি আমাদের সাধারণ জনগণ।
সাধারণ হাজীদের সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে জানতে পারলাম এবং তাদের মতামত যারা সামনে ওমরা পালানোর উদ্দেশ্যে সৌদি আরবিয়াতে আসবেন তারা যেন প্রকৃত সরকার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট এবং সেবার মান সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দিবে এমন ট্রাভেল এজেন্টের শরণাপন্ন হয় কেননা থার্ড পার্টি ব্যাঙের ছাতার মত হজ্জ ও উমরাহ এজেন্ট গুলো তাদেরকে কষ্ট দিবে এবং প্রতারণা করবে এবং করে যাচ্ছে।
তার জন্য তারা যেন ধৈর্য সহকারে এই পবিত্র কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে যারা ১০০% নিশ্চয়তা দিবে এমন ট্রাভেল এজেন্টের শরণাপন্ন হয় এবং তার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা এবং মনোনিবেশ করবেন সাধারণ হজ ও ওমরা প্রত্যাশীদের যেন কোন কষ্ট না হয় তাদের কষ্ট যত টাকা নিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ যেন প্রতারণা করতে না পারে।
এই জন্য বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি আইন করা দরকার।

ভিজিট ভিসায় মানবপাচার চলছেই

স্টাফ রিপোর্টার॥
মালয়েশিয়া সহ মধ্যপাচ্চে ফের শুরু হয়েছে মানবপাচার। সক্রিয় রয়েছে দেশি-বিদেশি পাচার চক্র। কাজের উদ্দেশ্যে টুরিস্ট ভিসায় আসা থেকে বিরত থাকতে সচেতন করা হলেও পাচার চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছে অনেকে।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ ছিল। চলতি মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে দেশটি। এরই মাঝে দালালচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠেছে।

একটি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়া দূতাবাস পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্যাদি ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা ইস্যু না করলেও দালালচক্র সৌদি আরব, দুবাই মালয়েশিয় দূতাবাস থেকে ই-ভিসা ইস্যু করছে দেদারছে। এক্ষেত্রে জনপ্রতি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে দালাল চক্র। তবে ফ্লাইটের আগে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মানবপাচার চলছে।

সূত্র জানায়, ১ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ শ’রও বেশি বাংলাদেশি এ চক্রের হাত ধরে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় মানবপাচার রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সচেতনতা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন প্রবাসীরা।

এদিকে জোরপূর্বক শ্রম ও মানব পাচাররোধে মেগা অপারেশন অব্যাহত রেখেছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে যেকোনো দেশি বা বিদেশি কর্মীকে নিয়োগকর্তা বা কোনো ব্যক্তি জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করলে অথবা এ উদ্দেশ্যে পাচারের শিকার হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে ‘অপস ব্যানতেরাস’ নামের এই মেগা অপারেশন টিম।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত ৪৪৬ আইনের অধীন মোট ১ হাজার ২৮৫টি তদন্তমূলক ডকুমেন্ট খোলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩৫ জন নিয়োগকর্তার ১০ লাখ ৭ হাজার রিঙ্গিতের জরিমানাসহ মামলা করা হয়েছে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান