এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৪৪ টাকা কমল

অনলাইন ডেস্কঃ

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

রোববার (০২ এপ্রিল) বিইআরসির হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।

তিনি জানান, গত মার্চ মাসে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল এক হাজার ৪২২ টাকা। এপ্রিল মাসের জন্য ২৪৪ টাকা কমিয়ে এক হাজার ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ (রোববার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

জানা গেছে, বিইআরসি প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সাড়ে পাঁচ কেজি, ১২, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম কমেছে। এলপিজির পাশাপাশি গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমেছে, প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ টাকা ৯০ পয়সা।

এদিকে সরকারি পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন হয়নি। সেটি আগের মতো ৫৯১ টাকাই রয়েছে।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ১ হাজার ২৩২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে মার্চ মাসে ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৯৮ টাকা থেকে ৭৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪২২ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিইআরসির সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।

এনআইডি নিয়ে ভোগান্তির মাত্রা কমেছে: ইসি সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট:

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, এনআইডি নিয়ে ভোগান্তির মাত্রা কমেছে। আগামী তিন মাসে এটা আরও কমে আসবে, মানুষের হয়রানি আর থাকবে না।

বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে এসব তথ্য জানান ইসি সচিব।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা কাজটা করেছি। সবাই ধন্যবাদ পেতেই পারেন। এনআইডি সংশোধন নিয়ে যে হয়রানি সেটা আর থাকবে না। তবে বর্তমানে ৭৬ হাজার ৬৯৪টি এনআইডি আবেদন এখনও অনিষ্পন্ন আছে।

ইসি সচিব বলেন, আমারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নানা বিষয়ে কাজ করি। নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা ও বয়স ইত্যাদি সংশোধন করা হয়। আমরা কাজ করছি গুরুত্ব দিয়ে। কমিশন সিদ্ধান্তে এসেছে সংশোধন জিরো লেবেলে আনা যায় কি না। তবে এটা জিরো লেভেল সম্ভব না। তবে কাজটি সন্তুষ্টির পর্যায়ে আনতে চাই। এক হিসেবে কোন পেন্ডিং আবেদন নেই বলা চলে। কারণ বিগত ৬ মাসে গড়ে প্রতি মাসে ১ লাখ ৯২০টি আবেদন জমা পড়েছে। তবে এটা বর্তমানে কমে ৮০ হাজার হয়েছে। আমরা বিগত সাত মাসে কোনোভাবেই অনিষ্পন্নের সংখ্যা তিন লাখের নিচে নামাতে পারছিলাম না। ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ বছরে আমাদের কাছে ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১৪টি সংশোধন আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২০টি সংশোধন হয়েছে। বাকি ৭৬ হাজার ৬৯৪টি সংশোধন আবেদন এখনও নিষ্পন্ন হয়নি।

মাঠ পর্যায়ে অনিয়ম প্রসঙ্গে সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে ভোগান্তির বিষয়টি বলার আগে বলতে চাই। মাঠ পর্যায় থেকে অনেকে আমাকে তথ্য পাঠাচ্ছেন। হয়রানির তথ্য আমাদের কাছে আসছে। ঘটনা সত্য হলে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবো।

রাজনীতিবিদদের মধ্যে এনআইডি লক কতজনের এ প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, এই প্রশ্নের উত্তরটা রেডিমেট না। এই প্রশ্ন হবে আমি আশা করিনি। এনআইডি লক হতেই পারে। শুনেছি আমারটাও লক করা আছে, এটা বিভিন্ন কারণে। কারণ কি! মিস ইউজ, অ্যাবিউজ যেন না হয়। এটা আমি শুনেছি সত্য-মিথ্যা কি জানি না। আমি এটা যাচাই করতে যায়নি। এটার প্রয়োজনও হয়নি। কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে তথ্য না নেওয়াটাই ভালো।

তিনি আরও বলেন, আমারটা শুনেছি আই এম নট কনফার্ম। আমার নিশ্চিত করার কোনো ব্যাপার নেই। যদি লক হয়ে থাকে ভালো তো! ডাটা অ্যাবিউজ হবে না।

নির্বাচন কমিশনারদের এনআইডি লক আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমি আমারটা বলেছি। ডিজি (এনআইডি) সাহেব উত্তর দেবে কেন? আমার উত্তর আমি দিচ্ছি। ডিজি সাহেবকে দিয়ে যাচাই করার কি আছে, তার মানে আমার কথার সত্যতা আপনার কাছে নেই। আমি আমারটা বলছি। ব্যক্তি পর্যায়ে তথ্য নেওয়া উচিত না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, এনআইডি পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, এনআইডি পরিচালক (পরিচালনা) মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম