দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ পাহাড় গড়েছেন রাজউকের পরিকল্পনাবিদ নুর-ই খোদা

আলম শেখ: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের নগর পরিকল্পনা বা উন্নয়ন যথাযথ না হলেও এক পরিকল্পনাবিদের পরিবারিক ও ব্যক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে আকাশসম। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় বহির্ভূত সম্পদের পাহাড়ে আহরণ করছেন তিনি। গড়েছেন ফ্লাট, প্লট, বাগিয়েছেন একাধিক কোম্পানির শেয়ার, স্ত্রী’র নামে রয়েছে ইট ভাটা পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও নগদ অর্থ। তিনি রাজউকের অঞ্চল-১ এর উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ নুর ই খোদা।

সুত্র মতে, মোহাম্মদ নুর ই খোদা একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে আইন বহির্ভূত অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন করেছেন। নামে বেনামে এসব সম্পদ আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার পরিজনদের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছেন। কোটি কোটি টাকার এসব প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ থেকে ব্যাট ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং চাকরিবি ধি অমান্য করে সরকারের চোখে ফাঁকি দিয়ে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডার, আত্মীয়স্বজনের নামে নগদ টাকা ও জমি। তার আত্মীয় আলমগীর, শাকিল ও জামিল এসব সম্পদ অর্থের রক্ষণাবেক্ষণের সহযোগী বলে জানা গেছে। স্ত্রীর নামে রয়েছে একটি ইটের ভাটা। সাভারে আছে দুধের কারখানা, ইসলামপুরে ফুট প্রসেসিং এবং নারায়ণগঞ্জে ওয়াশিং প্ল্যান্ট, দেওয়ানগঞ্জ রাইস ফ্যাক্টরি সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এছড়াও রাজধানী সহ বিভিন্ন স্থানে তার রয়েছে প্লট ফ্লাট ও ফসলি জমি।

তার গোপন রাখা অবৈধ সম্পদের পুরো গল্প জানেন এ্যাকাউন্ট অফিসার রাজিব।

এএসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনের একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি মুঠোফোনে খোদ খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর দেননি।

দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার সম্পদের বিস্তারিত আমলনামা নিয়ে থাকছে পরবর্তী প্রতিবেদনে…….

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা সম্পত্তি ভোগদখলের অভিযোগ

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ৮৪ শতক জমি দখলের অভিযোগ

সিলেট জেলা সংবাদদাতাঃ সিলেটে বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর‘ সাজিয়ে ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ৮৪ শতক পারিবারিক সম্পত্তি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আরেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের সুযোগে জোরপূর্বক জমি দখলে নিয়ে নামফলকও বদলে দিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

এ নিয়ে সোমবার (৩০ জুন) সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সিলেট মহানগর ২৬ ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাহী সদস্য তাজুল ইসলাম টিপুর মা সোনারা বেগম।
তবে অভিযুক্ত বেলাল আহমদ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‌‘এটি আমার মায়ের সম্পত্তি। তাজুল ইসলামের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দীর্ঘদিন তাদের দখলে ছিল।’

বেলাল আহমদ সিলেট বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি।

ভুক্তভোগী বিএনপি নেতার মা সোনারা বেগম জানান, তার স্বামী মরহুম মো. আফরোজ বক্সের নামে থাকা দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা মৌজায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ৮৪ শতক সম্পত্তি ৩৫ বছর ধরে ভোগদখল করছেন। সেখানে ‘আফরোজ ম্যানশন’ নামে একটি বহুতল মার্কেটও রয়েছে। ওই মার্কেট থেকে প্রতি মাসে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়।

৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালান বেলাল আহমদ। দখলের পর ‘আফরোজ ম্যানশন’ মার্কেটের গেটের ওপর ‘মাহমুদ কমপ্লেক্স-২‘ নামে একটি নামফলক বসিয়ে দেওয়া হয়।

সোনারা বেগম আরও জানান, ২০১৪ ও ২০২৩ সালে বেলাল আহমদের আত্মীয় হাওয়ারুন নেছাসহ কয়েকজন আদালতে স্বত্ব ভাটোয়ারার দুটি মামলা করেন এবং ওই জায়গায় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের দাবি নামঞ্জুর করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ২৭ মার্চ তার সন্তান তাজুল ইসলাম টিপুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যায়িত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২৮ মার্চ বেলাল ও তার সহযোগীরা আফরোজ মার্কেট ও জমি দখলের চেষ্টা চালান।
এ ঘটনায় তাজুল ইসলাম টিপু আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বেলাল আহমদসহ মদিনা মার্কেট এলাকার নিবাস সি-২০ নম্বর বাসার মৃত মাহমদ আলীর ছেলে আবদুল মনির ও আবদুল মুমিনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম টিপুর মা বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেলালের নেতৃত্বে ২৪ জুন ফের আফরোজ মার্কেট দখলের চেষ্টা ও হামলা করা হয়। অথচ হামলার শিকার হওয়ার পরও পুলিশ এ বিষয়ে মামলা নেয়নি। উল্টো টিপুসহ ১৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। বেলাল ও তার সহযোগীদের একের পর এক হুমকি ও জায়গা দখলের অপচেষ্টার পরও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বেলাল আহমদ বলেন, ‘এই সম্পত্তি আমার নানার ক্রয় করা সম্পত্তি। তাজুলের চাচা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এতদিন তাদের দখলে ছিল। ৫ আগস্টের পর আমি যখন এখানে অফিস করি, তখন এটি নিয়ে ঝামেলা হয়। কিন্তু তারা জমির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।’

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম