মানুষ কেন্দ্রে এলে নৌকায়ই ভোট দেবে: মোহাম্মদ এ আরাফাত

অনলাইন ডেস্কঃ

সুষ্ঠু পরিবেশে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, মানুষ কেন্দ্রে এলে নৌকায়ই ভোট দেবে। তাই জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানান।

সোমবার (১৭ জুলাই) গুলশান মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, আমি সকাক্লে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। গুলশান-বনানী-বারিধারার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। এখানকার ভোটাররা একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে ভোট দিতে আসেন। কিন্তু কালাচাঁদপুর, নর্দা, শাহজাদপুরে অনেক ভোটার এসেছে। ভাষানটেক, করাইলেও অনেক ভোটার এসেছে। এখন পর্যন্ত পরিবেশ ভালোই মনে হচ্ছে।

মোহাম্মদ এ আরাফাত আরও বলেন, আমরা বলেছি, আপনারা ভোট দিতে আসুন। ভোট দিন। আমরা কিন্তু বলিনি নৌকায় ভোট দিন। কারণ আমরা জানি, মানুষ ভোট দিতে আসলে ভোট নৌকায় পড়বে। ডানে-বামে, সামনে-পিছে সবদিকে শুধু নৌকার ভোটার। আমাদের প্রচেষ্টা হলো, মানুষকে ভোট দিতে নিয়ে আসা। অল্প দিনের নির্বাচন বলে মানুষের একটি অনাগ্রহ-অনীহা থাকতে পারে। মানুষকে ভোট দেয়ার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছি। যথেষ্ট পরিমাণ ভোট আমরা সংগ্রহ করতে পারবো বলে আশা করি। নৌকা বিজয়ী হবে, এর কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশে।

কাফরুলে আ.লীগ নেত্রীর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, বাড়ির সংস্কার কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা: রাজধানীর কাফরুলের সেনপাড়ায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে একটি বাড়ির সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বনানী থানা ২০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেত্রী রাবেয়া, তার বোন জগেন ওরফে যোগী ও তার ছেলে আপন ও ভাগিনা অপূর্ব ও তাদের লোকজন। এর আগেও এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ এবং জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী ওই বাড়ির মালিক গোলাম কিবরিয়া।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সেনপাড়া হোল্ডিং নং-৩৭৯/১ প্লটটিতে এই ঘটনা ঘটায় রাবেয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।

ওই বাড়ির মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা বলে জানা গেছে, কাফরুলের সেনপাড়ায় ৩৭৯/১ নম্বর বাড়িটির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সূত্রে বাড়ির মালিক হন গোলাম কিবরিয়া।

বাড়ির মালিক ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাড়িটি কেনার পর থেকে দুই বোন রাবেয়া ও যোগীর যন্ত্রণায় সদা তটস্থ থাকতে হয়। এর আগেও তাদেরকে চাঁদার টাকা দিতে হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি তারা আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।পরবর্তীতে আমি নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ ও জিডি করেছি। পরে থানা থেকে রাবেয়া ও যোগীকে আমার প্লটটির সামনে যেতে বারণ করা হয়। কিন্তু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেত্রী রাবেয়া ও তার বোন, ছোলে-ভাগ্নে মিলে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে চাপ দিচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে আমি আমার বাড়ির সামনে গেলে রাবেয়া ও যোগীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আবার চাঁদা দাবী করে। শেষে নিরুপায় হয়ে তখনই কাফরুল থানায় গিয়ে ওসি সাহেবকে বিষয়টি জানাই। এর কিছুক্ষণ পরই রাবেয়া-যোগীরা আমার ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে বাড়িতে তালা দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম বলেন,
আমি শুনেছিলাম আজ (সোমবার) সকালে বাড়ির মালিকসহ কয়েকজন সেখানে গিয়েছিল। রাবেয়া-যোগীরা তাদের বাধা দেয় ও গন্ডগোল করে। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘর থেকে বের করে তালা দেওয়ার কথা আমি জানতাম না।
আমি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ওখানে টিম পাঠাচ্ছি।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি কাফরুল থানায় একই বিষয়ে একটি অভিযোগ ও সাধারণ ডাইরি করেন জমির মালিক গোলাম কিবরিয়া।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাবেয়া আক্তারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, রাবেয়া আমার থানার ২০ নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। বনানী থেকে এত দূরে গিয়ে তার চাঁদাবাজির বিষয়টি দুঃখজনকই নয়, এটা রীতিমতো ধৃষ্টতা। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম