মহাসড়কে ডিবি পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে প্রাইভেটকারে তুলে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সাভারে গভীর রাতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে প্রাইভেটকারে তুলে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে চাঁদা দাবি ও আদায়ের অভিযোগে কথিত দুই সাংবাদিক, পুলিশের এক কনস্টেবলসহ চাঁদাবাজ চক্রের তিন সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।

এর আগে রবিবার দিবাগত ভোর রাতে সাভারের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিবি পরিচয়ে প্রাইভেটকারে তুলে অর্থ আদায়ের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুর থানা এলাকার আলোকদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪১), তার গলায় দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকার পরিচয় পত্র পাওয়া গেছে। শরীয়তপুর জেলার পালং থানার মাহমুদপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে এনামুল হক শামীম (৩৬),তার গলায় দৈনিক আজকের সংলাপ পত্রিকার পরিচয় পত্র পাওয়া গেছে। রাজবাড়ী জেলার পাংসা থানার পিপুল বারিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৭), তিনি ব্যাংকটাউন এলাকার নিরাপত্তায় নিয়োজিত লাইন্স পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত।

তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির আদায়কৃত নগদ টাকা, একটি প্রাইভেটকার, হ্যান্ডকাপ ও ২ টি প্রেসকার্ড উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

এসময় চাঁদাবাজ চক্রের সোহেল (৩০) নামে একজন পালিয়ে যায়। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাকে সনাক্ত করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী মোঃ শাওনের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি ঢাকা জেলার সাভার থানার ভরারি নতুনপাড়া এলাকার তমিজ উদ্দিনের ছেলে।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম সাংবাদিকদের জানান, রোববার দিবাগত ভোর রাতে একটি অপরাধী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়মিত মামলা রুজু করে তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

নয়াটোলা মাদরাসায় শিক্ষকদের উদাসীনতায় বন্ধ ফাযিল ও কামিলের ক্লাস

আকাশমনি :

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র রমনা মগবাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়াটোলা এ ইউ এন মডেল কামিল মাদরাসা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এই মাদরাসায় বেশ কয়েক বছর বন্ধ রয়েছে ফাযিল ও কামিলের (সমমান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) নিয়মিত ক্লাস। এমনকি সরেজমিনে খোঁজ করলেও ক্লাস রুটিন ও হাজিরা খাতা তারা দেখাতে সক্ষম হয়নি। মাঝে মাঝে ছাত্রদেরকে লোক দেখানো অনুষ্ঠানে উপস্থিত করানো হয়। শুধুমাত্র সেন্টার পরীক্ষায় তাদের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মাদরাসার অফিসসূত্রে জানা যায় ফাযিল ও কামিলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা দুই শতাধিক। তাদের পাঠ দানের জন্য নিয়োজিত আছেন দশজন নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষক। শিক্ষকগণ নিয়মিত বেতন গ্রহণ করলেও উদাসীনতা রয়েছে নিয়মিত ক্লাস নিতে। শিক্ষকদের উদাসীনতায় ছাত্র-ছাত্রীরাও আর ক্লাসে আসতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্রের মাধ্যমে জানা যায়, হোস্টেলেও রয়েছে ফাযিল ও কামিলের বেশ কয়েকজন ছাত্র, অথচ শিক্ষকদের উদাসীনতায় তারাও ক্লাসে আসেন না। শিক্ষকগণ চাইলে তারা অবশ্যই ক্লাস করবেন এবং মাদরাসার আশে পাশে ছাত্রাবাসে বসবাসকারী ছাত্ররাও ক্লাসে অংশ নিবেন বলে জানান। তথ্যসূত্রে এও জানা যায় আবাসিকের অনেক ছাত্ররা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস করে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তারা ব্যক্তিগত টিউশনি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। শিক্ষকদের নিয়মিত অনুপস্থিতি ও ছাত্রদের অনুপস্থিতির বিষয় নিয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো: রেজাউল হকের নিকট টেলিফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমাদের নিয়মিতই ক্লাস হয় এবং শিক্ষকগণও নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। ছাত্র উপস্থিতি কম হলেও আমরা ক্লাস বন্ধ রাখি না। তিনি আরও বলেন, যে অভিযোগটি এসেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। আবাসিকের ছাত্ররা নিয়মিত ক্লাস করে। কিন্তু রিপোর্ট তৈরির পূর্বে আজ আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে উক্ত মাদরাসায় উপস্থিত হলে ফাযিল ও কামিলের কোনো ক্লাসরুমের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, এমনকি ফাযিল ও কামিলের কোনো ছাত্রকেও উপস্থিত পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম