মানিকনগরে সমাজ কল্যাণ সোসাইটি উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

প্রিয়া চৌধুরী:

মানিকনগর সমাজ কল্যাণ সোসাইটি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মোহাম্মদ সাহেব আলী চেয়ারম্যান ভরসা হাউজিংএন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড উদ্যোগে ৭ নং ওয়ার্ড বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাটের মালিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, মুগদা থানার ইনচার্জ, তদন্ত অফিসার, ফাঁড়ি ইনচার্জ ও সাংবাদিক বৃন্দ নিয়ে মানিকনগর সমাজকল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে মত বিনিময় সভা মানিকনগর মডেল হাই স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গ্যাস, মাদক, বাজার, রাস্তা মেরামত, কমিউনিটি সেন্টার নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরিচালনা করেন মানিকনগর সমাজকল্যাণ সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভরসা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড চেয়ারম্যান ও মানিকনগর সমাজ কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠিাতা সভাপতি শেখ মো: সাহেব আলী তিনি বলেন আমাদের এলাকায় সরকারি অনুমতি যে গ্যাস লাইন আছে সারাদিন কোন গ্যাস থাকে না একটি কমিউনিটি সেন্টার নাই একটি ভালো বাজার নাই মানিকনগর বাসী বাজার করতে হয় যাত্রাবাড়ি, মতিঝিল বা মুগদাতে যা মানিক নগরবাসীর জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। মানিকনগর বসবাসকারী প্রায় ৪০ হাজার, তাদের কোন সামাজিক অনুষ্ঠান করার কমিউনিটি সেন্টার নেই মানিকনগর রাস্তায় প্রায়ই রাস্তা কাটা থাকে গ্যাসে ,পানি ও বিদ্যুতের লাইন টানা এই কাজ অনবরত সারা বছর চলতেই থাকে যা চলাফেরা কষ্ট হয়। সিটি কর্পোরেশন যদি কোন জায়গা দেয় সেখানে তার নিজ খরচে মৃত ব্যক্তি লাশ গোসল খানা বানিয়ে দিবে।কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় তার মৃত দেহ দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ যোগান দিতে পারে না। সে ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে তার হৃদয় ভেঙ্গে যায় তাকে সবাই সান্তনা দিবে, না সেখানে
তার আত্মীয় কিভাবে দেশে নেবে সবার দ্বারে দ্বারে হাত পাততে হয় যা একটি অমানবিক। আজকে থেকে কোন ব্যক্তি মারা যায় অর্থের জন্য লাশ বাড়িতে না নিতে পারে মানিকনগর সমাজকল্যাণ সোসাইটি সমস্ত খরচ বহন করবে। সবাই যদি একত্রিত হই তাহলে বাজার, কমিউনিটি সেন্টার, বাস্তবায়ন করা সম্ভব। মানিকনগরের সব বাড়িওয়ালা ফ্লাট মালিক গন সবাই সহযোগিতা এগিয়ে আসলে সব এলাকায় ছোট ছোট করে রাতে নিরাপত্তা প্রহরী দেওয়া সম্ভব।আমরা সবাই মিলে এই সমিতির মাধ্যমে ঢাকার বাইরে মাছের ঘের রিসোর্ট বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা মালিক হয়ে পরিচালনা করা সম্ভব। মুগদা থানা ০৪ থেকে০ ৫ লক্ষ লোক বসবাস করে এত অল্প পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যায় না আমরা সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো এবং পুলিশকে সহযোগিতা করব। বক্তব্য রাখেন মুগদা থানা ইনচার্জ তিনি বলেন মুগদা থানা কে মাদকমুক্ত থানা করব আমার এই থানায় কোন সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি। প্রাইম ডেভলভার্স লিমিটেড স্বত্বাধিকার আব্দুর রাজ্জাক তিনি জানান এই উদ্যোগ নেওয়া নতুন আশার দিগন্ত ফুটে উঠেছে আমরা সবাই মিলে যার যার এলাকায় এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় পরবর্তী প্রজন্ম কে সুস্থ সমাজ উপহার দিতে পারব।সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কিশোর বলেন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সমাজকে নতুন প্রজন্মকে তুলে দিতে পারলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা জাতিকে উপহার দিতে পারব।

সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরেছে ৪১৭ প্রাণ

সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরেছে ৪১৭ প্রাণ

ডেস্ক রিপোর্ট:

সেপ্টেম্বরে দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ৬৩ জন ও শিশু ৪৭ জন। শনিবার (৪ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন বা ১৩.৪২ শতাংশ। গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬১টি সংঘটিত হয়েছে জাতীয় মহাসড়কে। আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে ১৩৯টি, গ্রামীণ সড়কে ৫৭টি এবং শহরের সড়কে ৮৯টি।

দুর্ঘটনার ধরনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি, ১৭১টি। পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ছিল ১১৯টি, মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ছিল ৯২টি এবং যানবাহনের পেছনে আঘাত করার ঘটনা ছিল ৫৮টি।

সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২৮টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ১৬টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানী ঢাকায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বেশ কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছে:

* ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও ত্রুটিপূর্ণ সড়ক।

* বেপরোয়া গতি।

* চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা।

* মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল।

* দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ায় সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে কেন বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে ওসাকা এক্সপো–২০২৫: কৃত্রিম দ্বীপে এ যেন এক টুকরা ফিলিস্তিন জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বশির মোল্লার হাতে নাশকতার নীলনকশা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আসিফ নজরুল রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ, ট্রাফিক কনস্টেবল কারাগারে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো মায়ের বিয়ের বেনারসি শাড়িতে জয়া আহসান পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত ৪-৫টা আসনও পাবে না: আবু হেনা রাজ্জাকী