ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব মা দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ডিএমপির ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে অদ্য নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন পুলিশ বক্সে আশেপাশের দু:স্থ ও ছিন্নমূল মায়েদের মাঝে প্যাকেট লাঞ্চ বিতরণ । এ উপলক্ষে দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম। এ সময় ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ডেমরা জোন) মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী জোন) তানজিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কার্যক্রমের শুরুতে ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, “সন্তানের জন্য মায়েদের ত্যাগ অপরিসীম। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মায়েরা অধিকাংশ সময় নিজেরা না খেয়ে তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন। ঢাকা মহানগরীতে ছিন্নমূল, দুস্থ ও অসহায় এমন মা আছেন যারা মাসের পর মাস নিজেরা একবেলা ভালো খাবার খেতে পান না। তাই বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সে সকল মায়েদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মায়েদের জন্য একবেলা ভালো খাবারের আয়োজন করেছি। করোনাকালীন অতিমারিতে লাশ দাফন থেকে শুরু করে সকল কাজে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম(বার) এর নেতৃত্ব অনুসরণে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নানা মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সমাজের সামর্থ্যবান লোকেরাও এভাবে অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবিক সমাজ গড়ে তুলবে। এ সময় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে দুই শতাধিক দরিদ্র মায়েদের মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ করা হয়। পরে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে জুরাইন পুলিশ বক্সে একইভাবে দু:স্থ মা, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে আরো ২০০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(যাত্রাবাড়ি) পবিত্র বিশ্বাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(জুরাইন), ইসমাইল হোসেন ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (পোস্তগোলা) মনির আহমেদ।

বিন্দুমাত্র ছাড় নাই, ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন: সেনাপ্রধান

স্টাফ রিপোর্টার: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাইরের শক্তি, রাজনৈতিক শক্তি জড়িত কিনা তা খুঁজে বের করে আনার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত ফটো এক্সিবিশনে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ৫৭ জন চৌকস সেনাকে আমরা হারিয়েছি। আসার সময় ছবিগুলো দেখছিলাম, কিন্তু এই ছবিগুলোর চাক্ষুস সাক্ষী এই আমি। এই বিচারের প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যারা শাস্তি পেয়েছেন, তারা এটার যোগ্য। বাইরের শক্তি, রাজনৈতিক শক্তি এটার সাথে জড়িত কিনা তা খুঁজে বের করে আনবেন। এটাকে যারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করছেন তা কখনো মঙ্গল বয়ে আনবে না।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু সদস্যের দাবি তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শাস্তি পেয়েছেন, অনেকে বলছেন তারা অযাচিত শাস্তি পেয়েছেন।

সেনাপ্রধান বলেন, বিন্দুমাত্র ছাড় নাই, ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। এই দেশের সব কিছু ভেঙে পড়লেও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী টিকে আছে কারণ তাদের মধ্যে ডিসিপ্লিন আছে।

নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, আমার মনে হয় আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।

সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হানাহানি না করে দিন শেষে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। যদি নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড রাখার।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম