গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার!

স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারি চাকুরিবিধি অনুযায়ী যেখানে তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই সেখানে দিব্যি পাঁচ বছর কাটিয়ে দি”েছন শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। সারা দেশে গণপূর্তের যেখানে কোনো প্রকল্প নেই সেখানে সংসদে একের পর এক প্রকল্পের উপরি কামাইয়ের লোভ সংবরণ করতে পারছেন না মোয়াজ্জেম হোসেন। আর এখানে তার অধীনেই ঠিকাদারী কাজ করেন তার আপন ভাই মনোয়ার হোসেন। যে কাজগুলো সবচে’ লোভনীয় অথবা যা না করেই বিল তোলা যায় তেমন কাজগুলোই করা”েছন তার ভাইকে দিয়ে।

জাতীয় সংসদের স্পিকারের পিএস কামাল বিল্লাহ ও চিফ হুইপের পিএস জিলানীকে ম্যানেজ করেই টিকে রইছেন তিনি। এখন তিনি ধরেছেন গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর পিএস হুমায়ুনকে। বিসিএস ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা ও অযোগ্যতার কারনে প্রমোশন না হওয়া এই হুমায়ুনের বাড়ির পাশেই না-কি মোয়াজ্জেমের বাড়ি। আর তিনিই নিচ্ছেন তাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব।

২৪তম বিসিএস এর প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন শেরেবাংলানগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালে। সে সময়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে বদলি করা হয়। তার ¯’লাভিষিক্ত হয়েই নিজ ভাইকে নিয়ে আসেন ঠিকাদারীতে। সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিনের সঙ্গে মিলে ভাই ও শ্যালকদের ঠিকাদারীদের কাজে লাগিয়ে প্রায় এক শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনিয়মের কারনে সেই রোকন উদ্দিনের চাকরি চলে গেলেও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও চিফ হুইপের দপ্তরের সাপোর্ট পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠা মোয়াজ্জেম তার উপর¯’ ও অধীন কোনো কর্মকর্তাকেই পাত্তা দিচ্ছছেন না। ইচ্ছেমতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সংসদে কর্মরত দু’একজন সাংবাকিদকে ম্যানেজ করেই তার দুর্নীতি ধামাচাপা দিচ্ছেন। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে নিয়মিত ‘নানা কিছু সাপ্লাই’ দিয়ে ম্যানেজ মাষ্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বদলি হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন এই মোয়াজ্জেম। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিস্ট কিছু অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

অবৈধভাবে জি কে শামীমকে ১০ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করার বিষয়টি আবারও তদেেন্ত উঠে এসেছে। তাঁর লুটপাটের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে। সে পর্যন্ত দেখার বিষয় গণপূর্ত মন্ত্রীর পিএস হুমায়ুন তাকে রক্ষা করতে পারেন কি-না?  এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে বার বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ফেডারেশন কাপে মোহামেডান–আবাহনীর ‘বাঁচা–মরা’র লড়াই আজ

খেলা ডেস্কঃ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এ মুহূর্তে শীর্ষে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু ফেডারেশন কাপে সাদা–কালোদের অবস্থা কিছুটা নড়বড়ে। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হেরে যাওয়া আলফাজ আহমেদের দলকে আজই নামতে হচ্ছে বাঁচা–মরার লড়াইয়ে। প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ম্যাচটা হেরে গেলে গতবারের রানার্সআপদের সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়টা হয়ে পড়বে ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’র ওপর নির্ভরশীল। লিগে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা মোহামেডান নিশ্চয়ই চাইবে না ফেডারেশন কাপের লড়াই থেকে ছিটকে পড়তে।

মোহামেডান–আবাহনীর লড়াইয়ে দুই বছর ধরেই আধিপত্য মোহামেডানেরই। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে লিগে সর্বশেষ আবাহনী জিতেছিল মোহামেডানের বিপক্ষে। এরপর লিগ ও ফেডারেশন কাপ মিলিয়ে আবাহনী ৬ ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে জয়হীন। মোহামেডান জিতেছে ৩ ম্যাচ, বাকি ৩ ম্যাচ ড্র। প্রিমিয়ার লিগে কিছুদিন আগেই আবাহনীকে হারিয়েছে মোহামেডান।

তবে আজ কুমিল্লার ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটির আগে অতীত পরিসংখ্যান নিয়ে মাথা ঘামাতেই চাচ্ছেন না মোহামেডান কোচ আলফাজ, ‘প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হেরে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। এখন আবাহনীর বিপক্ষে না জিততে পারলে ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে ওঠাটাই কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের কাছে বাঁচা–মরার লড়াই। আমরা জয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতেও চাই না।’

এ মৌসুমে বিদেশিহীন আবাহনী। যদিও ডিসেম্বরে কুমিল্লাতেই মোহামেডানের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বিদেশি ছাড়াই আবাহনী হেরে গেলেও দারুণ লড়েছিল। আলফাজ সে কারণেই দুই দলের সাম্প্রতিক লড়াইয়ে মোহামেডানের এগিয়ে থাকা নিয়ে ভাবতে চান না, ‘আবাহনী–মোহামেডান ম্যাচে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’

আবাহনী কোচ মারুফুল হকও ম্যাচটা জিততে চান। মোহামেডানের চেয়ে গ্রুপে একটি ম্যাচ কম খেলেছে আবাহনী। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে একটি ম্যাচেই জিতেছে আকাশি–নীল শিবির। মোহামেডানকে হারাতে পারলে সেমি ফাইনালের পথে বড় বাধাই দূর হবে। মারুফুলের কথা, ‘মোহামেডানকে হারাতে চাই আমরা। সে সামর্থ্য আমাদের আছে। যদিও মোহামেডান যথেষ্ট শক্তিশালী দল, তবুও ম্যাচটা জিতে আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যেতে চাই।’

আবাহনীর বিপক্ষে এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে মোহামেডান বড় এক সুসংবাদই পাচ্ছে। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন মালির স্ট্রাইকার সোলেমান দিয়াবাতে।

 

সবা:স:জু- ৬৭৭/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়