রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে পুলিশের নাকের ডগায় হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল এ চলছে দেহ ও মাদক ব্যবসা!

 

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে।
হোটেল ব্যবসার নামে চলেছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু সময় পুলিশ এসে হোটেল গুলো বন্ধ করলেও ২/১ দিন যেতে না যেতেই তারা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, এখানে রয়েছে কয়েক ধরনের রমরমা ব্যবসা যদি কেউ এখানে মাদক সেবন করতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা অফার, যেমন মেয়ে সাথে বসে মাদক সেবন করতে চাইলে দিবে হবে আলাদা ফ্রি যেমন একটি ইয়াবা ট্যাবলেট এর মূল্য দিতে হয় ১২শত থেকে ২ হাজার টাকা।আর মেয়ের সাথে আলদা রুম শেয়ার করতে হলে আরো দিতে হবে ৩/৪ হাজার এভাবেই তারা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে রয়েছে একটি বিশাল চক্র! এই চক্রের সদস্যগন বিভিন্ন সময় মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এ উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীর যাওয়া আশা এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা প্রায়ই এখানে এসে রুম ভাড়া নিচ্ছে এভাবেই যুবসমাজ ধ্বংস করছে এই হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকের একটি বিশাল অসাধু চক্র।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে কিছু দোকানদার ও বাসের টিকিট কাউন্টারের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আমরা এখানে ব্যবসা করতে আসি আর এদের অসামাজিক কার্যকলাপ ও হট্টগোল লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যে মনে হয় ব্যবসা ছেড়ে এখান থেকে চলে যাই। তারা আরো জানায়, স্হায়ীয় প্রশাসন এই হোটেল থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নিচ্ছেন তাই তারা কোন কোন সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন।

এই বিষয়ে এক ভুক্তভোগী রংপুরের আফজাল হোসেন নামের এক যুবক দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে জানান,আমি ঢাকায় একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম আমার কোন পরিচিত লোকের বাসা নেই বলে আমি আব্দুল্লাহপুরের হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে একটি রুম ভাড়া নেই, তবে রুমে ঢুকার সাথে সাথে একজন এসে বললেন, আপনার কি মেয়ে ও কোন মাদক লাগবে লাগলে বলেন লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি, আমি তাকে বললাম আমার কোন কিছুর দরকার নেই।
কিছু সময় পর একটি মেয়ে ও একটি ছেলে এসে রুমে নক দিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো তখন মেয়েটা আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলো আর ছেলে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে লাগলো, তারপর আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে না হলে এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দিবো আর যদি ইজ্জত বাঁচাতে চাও তাহলে ৫০ হাজার টাকা দেও। তারপর ভুক্তভোগী আফজাল বলেন আমি ইজ্জত সম্মানের ভয়ে বাড়ী থেকে বিকাশে টাকা এনে তাদের কে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারপর হোটেল থেকে ছাড়া পাই।

এই বিষয়ে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এর ম্যানেজার জাকিরের সাথে কথার বলার চিষ্টা করলেও তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে জাকির বলেন, সাংবাদিক পুলিশ পকেটে রেখেই আমরা ব্যবসা করি।

এই বিষয়ে, ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদন্নোতি কীর্তিতে বিসিএস ক্যাডারে ক্ষোভ!

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত, স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের আর্শীবাদপুষ্ট বিসিএস কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদন্নোতি প্রদান করায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসএসবি কমিটির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিসিএস কর্মকর্তারা। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমান দেশ পরিচালনা করছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির আওয়ামী লীগ সরকার। যে কারণে প্রশাসনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির কর্মকর্তাদের গুনুত্বপূর্ণ পদে পদন্নোতি পাওয়ার কথা। কিন্তু ইদানীং ঘটছে তার উল্টোটি। দেখা যাচ্ছে যে সব কর্মকর্তা সরকারের ভাবমুর্তি উজ্জল করা করার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছেন তাদের বাদ দিয়ে যে সব কর্মকর্তা জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক পারপাস সার্ভ করছে তাদেরকে লোভনীয় পদে পদন্নোতি দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিসিদের রিপোর্টও আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে, গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিসিদের নেতিবাচক রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও ওই সব কর্মকর্তাদের পদন্নোতি দেওয়া হেেয়ছে। গত বৃহস্প্রতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসএসবি কমিটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এরকম ২৫ জন কর্মকর্তাকে পদন্নোতি দানের সারসংক্ষেপ তৈরী করে প্রধানন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করে। গত রবিবার সেটির জিও করে প্রাণিনম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে একটি বিশেষ সুত্রে জানাগেছে।

এই পদনোœতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে মো. শাহজামান খান তুহিন নামে প্রাণিসম্পদ ক্যাডারের একজন বিসিএস কর্মকর্তা রয়েছেন। যিনি বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্য্লয়ে ২ ছাত্রলীগ নেতা ( রনজিত ও কামাল) হত্যা মামলার ১৩ নং আসামী ছিলেন । মো. শাহজামাল খান তুহিন ১৯৯০-৯১ শিক্ষা বর্ষে ছাত্রদলের প্যানেলে বাকসুর সদস্য নির্বচিত হন। ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষা বর্ষে ছাত্রদলের প্যানেলে বাকসুর সংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই পদন্নোতির তালিকায় তার শীর্ষে রয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এসএসবি কমিটির এ ধরনের কর্মকান্ডে বিসিএস ক্যাডারের স্বাধীনতার স্বপক্ষের কর্মকর্তারা যারপর নাই বিস্মিত হয়েছেন। তাদের প্রশ্ন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ধরনের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নেয় কিভাবে ?

এ ক্ষেত্রে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এবং তারা অনতিবিলম্বে শাহাজামান খান তুহিনসহ এই ২৫ জন কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বাধীনতার বিপক্ষের কর্মকর্তাদের পদন্নোতির জিও স্থগিত করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিসিএস কর্মকর্তাদের পদন্নোতি বিবেচনা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি