নরসিংদীতে আবারো পল্লী বিদ্যুতের হরিলুট, মাঠকর্মী আটক !

মোঃ হাসানুজ্জামান:

বিভিন্ন কারণে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক হয়রানি। তার উপরে যদি বিল কারসাজি করে বাড়ানো হয় প্রতিমাসে, তাহলেতো সাধারণ মানুষের বিপদের অন্ত নেই। এগুলো কোনো মনগড়া গল্প নয়। দেশের বিভিন্ন যায়গার মতো কিছুদিন আগেই নরসিংদির শিবপুরে এমন একটি ঘটনা সরাসরি ধরা হয়। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারও হয়। আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার নরসিংদী সদরের পশ্চিম কান্দাপাড়ায় আলম মৃধা নামে এক গ্রাহকের বাড়িতে ঘটেছে বিল কারসাজির ঘটনা।

ওই বাড়িতে মাত্র একটা ফ্রিজ, একটা ফ্যান, ৩ ওয়াটের একটা বাতি চলে। হাবেজা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মহিলা বসবাস করেন সেখানে। তবে উনি বাড়িতে খুব একটা থাকেন না এমনটাই স্বীকার করেন মিটার রিডার নাজমুল ইসলাম। কারণ তার মেয়ে ও ছেলের বাড়িতেই থাকেন অধিকাংশ সময়। তবুও বিদ্যুৎ বিল মাসে ১০০ ইউনিট !

আটককৃত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী নাজমুল ইসলাম স্বীকার করে বলেন, “দুইদিন আগে আমি বিল লেখে নিয়ে গেছি। ওই বাড়িতে দুই দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় ১৭ ইউনিট।”

তার কথা অনুযায়ী এক মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার কথা ২৫৫ ইউনিট। তাহলে কিভাবে মনগড়া মত বিদ্যুৎ ইউনিট লেখা হয় ১০০ ইউনিট।
জনমনে প্রশ্ন, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ তাদের মনগড়া মত মিটারের ইউনিট থেকে অতিরিক্ত বিল বানিয়ে জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

গত (২৩ জুন) ওই বাড়িতে গতমাসের বিদ্যুৎ বিল ৭০ ইউনিট, তার আগের মাসে ১০০ ইউনিট, এই মাসে পুনরায় ১০০ ইউনিট দেখে সন্দেহ হয় সবার। সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ বিল ১৩৫৩ টাকা। আর জরিমানা সহ ১৩৮৮ টাকা। অবশেষে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠকর্মীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হাজির হন অফিসের কর্তারা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ৫০ হাজার। এর মানে নরসিংদী জেলাতে গ্রাহকের পরিমাণ প্রায় ৮ লক্ষ।

নরসিংদী জেলা থেকে দুর্নীতি করে পল্লী বিদ্যুৎ হাতিয়ে নিচ্ছে জনগণের কোটি কোটি টাকা। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা নরসিংদীর জেলার সচেতন মহলের।

এ বিষয়ে জানতে, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম মনোয়ার মোরশেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ক্ষমতাধর হারুন শিকদার

মাহতাবুর রহমান:

গতকাল থেকে শুরু করেছে জুলাই গনঅভ্যুত্থান দিবস, চলবে মাসব্যাপী। গত জুলাই গনঅভ্যুত্থানে মারা গেছে হাজারো ছাত্র জনতা । ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে বিদায় নিতে হয়েছে ফ্যাসিস শেখ হাসিনাকে। কিন্তু এখানে বহাল তবিয়তে থেকে দিব্যি ব্যবস্থা বানিজ্য করতে দেখা যাচ্ছে ফ্যাসিস সরকারের অনেক দোসরকে। ছাত্রজনতার হামলার উপর অভিযোগ একাধিক মামলা থাকা সত্বেও পুলিশ ওদেরকে ধরছেনা, বরং উল্টো দেখা যায় পুলিশের সাথে এদের অনেকের সখ্যতা। তেমনি একজন আমিনুর রহমান হারুন শিকদার। যাকে নিয়ে ইতিমধ্যে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ।
মুন্সিগঞ্জ জেলা গজারিয়া উপজেলার পুরান গ্রামের মৃত সামাদ শিকদারের ছেলে আমিনুর রহমান হারুন শিকদারের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার উপর হামলার অভিযোগে তিনটি মামলা । এছাড়া আছে মানব পাচার অভিযোগেও একাধিক মামলা । কিন্তু পুলিশ তাকে ধরছেনা। অভিযোগ উঠেছে গজারিয়া উপজেলার একাধিক প্রভাবশালী বিএনপির নেতা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে, এলাকায় বহাল তবিয়তে এই হারুন শিকদার। বিগত ফ্যাসিস সরকারের সাড়ে ষোল বছরে সাবেক মন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরার সহোদর পরিচয়ে মালিক হয়েছে হাজারো কোটি টাকার । ছাত্র জনতার উপর হামলার অভিযোগে তার অন্যতম মামলার পার্টনার সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লব ইতিমধ্যে গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে এই হারুন শিকদার।
মুন্সিগঞ্জ আদালত সুত্রে জানা গেছে হারুন শিকদারের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয়েছে চলতি বছরের ২৭ মার্চ। মামলার বাদী গুলিবিদ্ধ রাফসান রোকন উদ্দোলা নামে এক ছাত্র । মুন্সিগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টট ১ নং আমলে আদালতে সি আর মামলা ৩১০/২০২৫। সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান করে মোট আসামির সংখ্যা ১৭০। । ধারা ১৪৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪ দ: বি: তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইন ১৯০৮ এর ৩/৪ ধারা। এই মামলায় ১৪০ নাম্বার এজাহার ভুক্ত আসামি হারুন শিকদার। আদালতের নির্দেশে ১৮ দিন পর মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করে, মামলা নাম্বার ১৭ তাং ১৪/৪/২০২৫
হারুন শিকদারের বিরুদ্ধে একই আদালতে দ্বিতীয় মামলাটির করে মুক্তার হোসেন জনৈক গুলিবিদ্ধ ভ্যান চালক। সিআর মামলা নং ৪৩২/২০২৫। সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামি করে এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ২৩০, এতে ১৩ নাম্বার এজাহার ভুক্ত আসামি হারুন শিকদার। মামলার আর্জিতে বাদীর অভিযোগ হারুন শিকদারের গুলিতে সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে । মামলাটি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ পিবিআইয়ের তদন্তাধীন। হারুন শিকদারের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলার বাদী আরেক গুলিবিদ্ধ মাসুদ রানা নামে জনৈক শ্রমিক । একই আদালতে সি আর মামলা নং ৫৯৭/২০২৫। এই মামলায় প্রধান আসামি সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লব, মোট আসামির সংখ্যার ১৯৯ এতে ৫২ নাম্বার এজাহার ভুক্ত আসামি হারুন শিকদার।
৪ ঠা আগষ্ট ২০২৪ মুন্সিগঞ্জে ছাত্র জনতার উপর ফ্যাসিস বাহিনীর হামলার তিন জন মারা যায় এবং গুলিবিদ্ধ হয়েছে নুন্যতম ৫০ জন। এ-সকল ঘটনার মুন্সিগঞ্জ সদর থানা এবং আদালত মিলে মামলা হয়েছে আটটি। মামলার আসামিরা কেউ জেল হাজতে, বাকীরা সকলে পলাতক কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু হারুন শিকদারের বেলায় ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সড়ক নিরাপত্তা আইন দ্রুত প্রণয়নের দাবি তরুণদের মায়ামিতে লা লিগা যে কারণে বার্সেলোনার ম্যাচ বাতিল করলাে ট্রাইব্যুনাল থেকে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে পাঠানো হলো সাবজেলে খুলনার নদ–নদী থেকে এক বছরে ৫০ লাশ উদ্ধার হাজির করা হলো সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প