ঢাকা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে শতভাগ জিপিএ ৫

এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে আজ। এবার বিজ্ঞান বিভাগে শতভাগ জিপিএ ৫ এসেছে। সব বিভাগ মিলিয়ে পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কলেজ ঢাকা কলেজ ধরে রেখেছে তার ইতিহাস। এবারও প্রতিষ্ঠানটিতে এইচএসসিতে পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকা কলেজে পাসের হার বেড়েছে।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এবার ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসিতে অংশ নেয় ১ হাজার ১৬৭ জন। যেখানে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ১৬২ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৪৭ জন।

এবছর ঢাকা কলেজরে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯১৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে কৃতকার্য ৯১৫ আর অনুপস্থিত রয়েছে ২ জন, অকৃতকার্য হয়েছেন ১ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১৫ পরীক্ষার্থী।

বাণিজ্য বিভাগ থেকে ১২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১২৪ জনই আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৮ জন পরীক্ষার্থী।

মানবিক বিভাগ থেকে ১২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১২১ জন আর অনুপস্থিত রয়েছে ২ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৮ জন পরীক্ষার্থী।

ফলাফলের বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন, এ অভাবনীয় সাফল্যের অংশীদার কলেজ শিক্ষক, ছাত্র অবিভাবক সবাই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনলাইন ক্লাস এক যুগন্তকারী পদক্ষেপ, যার কারণে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। সাফল্যের যে ধারাবাহিকতা সেটা অব্যহত থাকবে। আগামীতে শতভাগ পাসের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

১১ জন শিক্ষার্থীর ১৮ জন শিক্ষক ৪ জন ফেল

মারুফ হোসেন-

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪ এসএসসি পরীক্ষায় ১১ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।তার মধ্যে ৭ জন পাশ করে ৪ জন ফেল।
এ নিয়ে হরিপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাসেম এর সাথে কথা বললে প্রতিনিধিকে বলেন তিনি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন আশায় এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে পারবে না। তাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদ আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত ক্লাস না করার কারণে তারা অকৃতকার্য হয়েছে। তাছাড়া একজন ছাত্র পরীক্ষা দেয়নি।মোট ১০ জন পরীক্ষা দিয়েছে।তার মধ্যে ৭ জন পাশ করেছে।মোট শিক্ষক কতজন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন জেনারেলে ১২ জন এবং টেকনিক্যালে ৬ জন।মোট ১৮ জন। এছাড়া টেকনিক্যালে ৬ জন শিক্ষকও জেনারেল ক্লাস নেয়।তারপর ও ১৮ জন শিক্ষক মিলে ১০ জন শিক্ষার্থীকে পাশ করাতে পারেনি এই দায়বার শিক্ষক নিতে নারাজ।

গ্রামের সুশীল সমাজ থেকে জানা যায় শিক্ষকদের মধ্যে অবহেলা থাকায় রেজাল্ট এর খারাপ অবস্থা । শিক্ষক- শিক্ষিকারা তাদের পারিবারিক আলাপ আলোচনা নিয়ে হয়তো ব্যাস্ত তাই রেজাল্ট খারাপ করেছে।আর ১৮ জন শিক্ষক ১১ জন শিক্ষার্থীদের পাশ করাতে পারেনি এটা দুঃখজনক। হয়তো শিক্ষিকারা উঁকুন টুকুন খোলায় ব্যাস্ত আর শিক্ষকরা পারিবারিক টেনশনে মগ্ন থাকে।আর না হলে রেজাল্ট খারাপ হয় কেনো?

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মান্নান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আসলে এটা দুঃখজনক। শিক্ষকরা যদি এ ব্যাপারে সচেতন না হয় তা হলে শিক্ষার মান ধ্বংস হয়ে যাবে। তাছাড়া এর জন্য তো স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দায়িত্ব নিতে হবে। এখানে আমার কিছুই করার নেই। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এর দায়বার নিতে হবে।তারা বাকী শিক্ষকদের মনিটরিং করবে।রেজাল্ট খারাপ করলে কমিটির কাছে শিক্ষকরা দায়বদ্ধ থাকবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম