অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে চলছে জার্মান আওয়ামীলীগ নেতা বাদলের জাভান হোটেলের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুর টংগীতে চার তারকা হোটেল নামেই বেশ পরিচিত ‘জাভান হোটেল’হোটেলটির মালিক শেখ বাদল আহাম্মদ,তিনি জার্মান বাদল নামেই বেশ পরিচিত,বর্তমান তিনি জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। শুধু তাই নয়,হোটেলটির মালিক শেখ বাদল পরিচয় দিতেন,তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহের মানুষ ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের খুব কাছের বন্ধু!!
অন্য দিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গেও ছিল শেখ বাদলের গভীর সম্পর্ক।বেশিরভাগ সয়মই থাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে।সেই শোভাতেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দাবী করতেন শেখ বাদল।নিজের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা ঠিক রাখতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুলনা-৩ আসনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে বাচাই পর্বে বাদ পড়েন তিনি। এই সব পদ পদবী ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতার দাপটে চলতো শেখ বাদলের হোটেল ব্যবসার নামে অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা।

তবে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো:সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।এ ছাড়াও দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা। দেশ ছাড়তে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক ও হয়েছেন অনেক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা।

এরপর,ড. মুহাম্মদ ইউনূ‌সের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় দেশের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া সহ আইনের আওতায় আনা হচ্ছে দেশের বড় বড় অপরাধীদের।সেই আতংকেই কয়েকদিন বন্ধ ছিলো জাভান হোটেলের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসার কার্যক্রম।

তবে এখন আবার নতুন করে কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে চলছে জাভান হোটেলের সকল অবৈধ কার্যক্রম। বর্তমান নেই,শেখ বাদলের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছত্রছায়া ও দলীয় ক্ষমতা তাহলে কে দিচ্ছে অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসার শেল্টার?
অন্য দিকে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা!

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়,আবার শুরু হয়েছে হোটেলটির সকল অবৈধ কার্যক্রম।মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা,আরো দেখা যায়,সন্ধ্যা হলেই শুরু হয়ে যায় মদপান ও জুয়ার আসর,সেই সাথে নিত্যদিন থাকছে স্কুল,কলেজ,পড়ুয়া ৮০/৯০ জন তরুণী মেয়ে,তাদের দিয়েই চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। আরো দেখা যায়, তরুণ,তরুণীরা মদ সেবন করে বাংলা ও হিন্দি গানের তালে তালে ডিজে পার্টি নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য সেই অশ্লীল নৃত্য দেখে তরুণরা ডিজে পার্টির মঞ্চে উঠে ১০০/৫০০/১০০০ টাকার নোটের বান্ডিল ছিটিয়ে দিচ্ছে। আরো রয়েছে,আলাদা করে জুয়া খেলার ব্যবস্থা।জুয়ার আসরে দেখা যায়,লক্ষ লক্ষ টাকা উড়ানোর খেলা।নষ্ট হতে যাচ্ছে এলাকার যুবসমাজ ও স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা। এখানে ভাড়ার বিনিময়ে পাওয়া যায় সিঙ্গেল রুমসহ সুন্দরী মেয়ে এবং দেশি-বিদেশি ব্রান্ডের মদ ।যদিও এর আগে একবার পুলিশ ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদের বোতল। ২/৪ দিন যেতে,না যেতেই আবার নতুন শুরু হয় মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা।

সাম্প্রতিক দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা কবলিত কারনে সারাদেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আতংক। তবুও থেমে নেই এই জাভান হোটেলের মদ,জুয়া,ও দেহ ব্যবসা।

দেখা যায়,চার তারকা আদলে দশ তলা বিশিষ্ট সৌন্দর্যময় এই হোটেল রয়েছে চার ধরনের আবাসন যেমন,ডিলাক্স,সুপিরিয়র, সুইট রুম,ফ্যামিলি সুইট রুম।এই হোটেলটিতে রয়েছে মোট ৬৬ টি রুম তাছাড়াও রয়েছে বিশাল একটি কনফারেন্স হল,একটি বিজনেস সেন্টার,স্পা ও ডান্স,ডেলটা ক্যাফে,বিউটি সেলুন,কানকোন র‍্যায়েল রেস্টুরেন্টে,ওভার ফ্রেস ক্লাব, সুইমিং পুলসহ নানান ধরনের বিনোদন। তবে বিনোদনের নামে চলছে অনৈতিক ব্যবসা,আরো জানা যায়, ‘জাভান হোটেল’এর মালিক শেখ বাদল আহমেদ ওরফে জার্মান বাদল এর জার্মানেও রয়েছে জাভান হোটেলের মত অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে,বাংলাদেশের কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ভালো চাকরির প্রণবল দেখিয়ে জার্মান নিয়ে বাধ্য করে দেহ ব্যবসা করতে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে শেখ বাদলের বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে হোটেল মালিক শেখ বাদল আহম্মেদ কে একাধিক বার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

এই বিষয়ে,স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা হলে,তারা জানান,এভাবে যদি জাভান হোটেল চলতে থাকে তাহলে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।সর্বশেষ স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ এই অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা চলা জাভান হোটেলটি বন্ধের দাবী জানায়।

এই বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ দক্ষিণের সাথে যোগাযোগ করা জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধরে ছাত্রদল নেতা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধরে পাভেল মিয়া (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জেরে বিএনপির এক নেতা ও তার অনুসারীদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত পাভেল কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক। তিনি পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাতে শুভ নামের পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার সঙ্গে কাঞ্চন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে শুভর পক্ষ নিয়ে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে তর্কে জড়ান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বায়জীদ। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পরস্পরকে কাঞ্চন পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে আসতে বলে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মো. বায়জীদ, তার অনুসারী জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আমিনুল ইসলামকে খুঁজতে পৌরসভার সামনে আসেন।

এ সময় পৌর কার্যালয় এলাকায় একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন পাভেল মিয়া। তখন একা পেয়ে দলবল নিয়ে পাভেলকে মারধর করেন বায়জীদ। পরে স্থানীয় লোকজন পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পাভেলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে রাতে পাভেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারী ও এলাকার লোকজন বায়জীদ, জাহাঙ্গীর ও শুভর বাড়িঘরে হামলা চালান এবং তিনটি টিনের ঘরে আগুন দেন। পরে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নিহত পাভেলের বড় ভাই পৌরসভা বিএনপির নেতা শাহিন মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আমি নিজে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। আজ বুধবার সকালে দলের নেতাদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলেছিলাম। কিন্তু বায়জীদ আমাকে উপেক্ষা করে দলবল নিয়ে আমিনুলকে খুঁজতে পৌরসভার সামনে আসেন। সেখানে তারা পাভেলকে একা পেয়ে হত্যা করেন।’

এ বিষয়ে জানতে বায়জীদ ও শুভর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি। পাভেল নিহতের পর থেকে তাদের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতাদের হামলায় ছাত্রদল নেতা পাভেল নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ঘরসহ তিনটি ঘরে আগুন দিয়েছেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রাত থেকেই এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 

সবা:স:জু- ৪৯২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন