কূট-কৌশলে ফায়দা হাসিল করতে দুষ্কৃতিকারীদের নাটকীয় মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসি একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিবহন সংস্থা। দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই বিআরটিসিও একটা দীর্ঘ সময় ধরে ভুগছিলো লোকসান নামক পুষ্টিহীনতায়। কিন্তু ২০২১ সালে মোঃ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পাল্টে যায় সংস্থাটির সার্বিক চিত্র। লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

কিন্তু বিগত সরকারের আমলে লুটেপুটে খাওয়া দুষ্কৃতিকারীদের তা মোটেও সহ্য হচ্ছে না। তাই বিআরটিসি ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের সুনাম ক্ষুন্ন করতে তথাকথিত কিছু গণমাধ্যমের সহায়তায় একদল দুষ্কৃতিকারী বহিরাগত লোক ভাড়া করে সাজানো হয়েছে একটি নাটকীয় মানববন্ধন।

অজস্র ভুল বানানের সমারোহে “ছাত্র জনতা ও বিআরটিসি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ” নামক ব্যানারে ১৬ অক্টোবর বিআরটিসি ভবনের সামনে একটি নাটকীয় মানববন্ধন করে কথিত কিছু দুষ্কৃতিকারী সদস্য। কিন্তু পরে জানা যায় তারা বহিরাগত এবং একটি সিন্ডিকেটের সদস্য। তাদের কার্যবিধি দেখে সন্দেহ হলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে স্থানীয় সচেতন লোকদের সহায়তায় একজনকে আটক করে নিরাপত্তা কর্মীরা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। জানা যায়, বিআরটিসির বাস চুক্তিতে নিতে চান একটি শক্তিশালী প্রতারক চক্র। চুক্তির নামে বাসগুলো লুটেপুটে খাওয়াই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান কোনো অপচক্রের হাতে বাস তুলে দিতে রাজি হননি। ব্যস এখানেই ষড়যন্ত্রের শুরু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কথিত ওই মানববন্ধন যে সম্পূর্ণ সাজানো ও কুচক্রের অংশ তা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। কারণ তাদের দাবি ছিলো বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের পদত্যাগ। বছরের পর বছর ধরে যে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। আর নতুন একজন এসে যখন সেই প্রতিষ্ঠানকে অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখান। তাকে অপসারণের দাবি যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ তা বুঝতে আর রকেট সাইন্টিস্ট হতে হবে না।’

মাঝবয়সী আরেকজন স্টাফ বলেন, ওই কথিত মানববন্ধনে বিআরটিসির কোনো স্টাফ ছিলো না। থাকলে আমি সবাইকে চিনতাম। এমনকি ব্যানারের লেখা, শব্দচয়ন, তাদের শারীরিক ভাষা, আন্দোলন ও দাবির ধরন, ভিন্ন ভিন্ন স্লোগান দেখে বোঝা-ই যায় এটি কোনো ভুক্তভোগী গোষ্ঠী নয়।’

এ ঘটনায় বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলামের মতামত জানতে একাধিকবার কথা বলি আমরা। তিনি বলেন, “বিআরটিসি এখন আর সরকার ও জনগণের জন্য কোনো বোঝা নয়। আমরা এটিকে একটি জনকল্যাণমুখী সংস্থায় রুপদান করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু যারা কথিত এই মানববন্ধন করেছে। তারা একটি বড় সুবিধা হাসিল করতে চায়। বিআরটিসিকে নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেনো। আমাদের সুনাম ও উন্নয়নের ধারাকে কেউই থামাতে পারবে না।”

এবিষয়ে বিআরটিসি মিডিয়া মুখপাত্র (কারিগরি পরিচালক) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার-পিএসসি বলেন, ‘ওইদিন যারা ব্যানার নিয়ে কথিত মানববন্ধন করেছে, তাদের কেউই আমাদের প্রতিষ্ঠানের লোক নয়। এমনকি ছাত্র জনতা বলা হলেও সেখানে কোনো ছাত্রই ছিলোনা। মূলত বহিরাগত একদল দুষ্কৃতিকারী গোষ্ঠী আমাদের প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতেই এসব পাঁয়তারা করছে। আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তথ্য বলছে, বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতা নিজস্ব আয় হতে প্রতিমাসের ১ তারিখে পরিশোধ করা হচ্ছে। যা ইতোপূর্বে কখনো নিয়মিত পরিশোধ হতো না। ৩ মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের অর্থ অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পূর্বের বকেয়া বেতনের টাকা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করেছেন।

বিআরটিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১৪,৭৯৪ জন ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬,৯৬২ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি ও ডিএমটিসিএল এর মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহন সেবা চলমান রয়েছে।

বর্ণিত সময়ের মধ্যে ভারী মেরামত করা গাড়ীর সংখ্যা প্রায় ৪০০। বহরে থাকা সচল গাড়ীর সংখ্যা ১১৯৮ টি এবং আরও নতুন কিছু গাড়ি বিআরটিসির বহরে শিগগিরই যুক্ত হবে বলে জানা যায়। বর্তমানে ১৯১টি এসি বাসে আনলিমিটেড ডরভর সুবিধা চালু করা হয়েছে। বিআরটিসি তার জনকল্যাণকর কাজের জন্য জনসাধারণ, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। যার স্বীকৃতিস্বরুপ ২০২১-২২ অর্থ বছরে এপিএ বাস্তবায়নের প্রথম স্থান অর্জন, মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তি এবং সেবা সহজিকরণ ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য জনপ্রশাসন পদক প্রদান সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে জাতীয় কমিটিতে উপস্থাপিত হয়েছে এবং উদ্যোগসমুহ গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণকর কাজ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসি কর্তৃক নিয়মিত ত্রৈমাসিক সমাচার ও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয।

যুগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে নতুন মাত্রা আনয়নের লক্ষ্যে অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তি এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য সিমুলেটর সংযোজন করা হয়েছে। বর্তমানের প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক প্রধান কার্যালয় হতে মনিটরিং করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের সম্পদ রক্ষার্থে অগ্নি নির্বাপক প্রশিক্ষণ এর কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করেন।

এছাড়া সার্বিক তথ্য ও প্রতিষ্ঠানটির স্টাফদের বক্তব্য অনুযায়ী চেয়ারম্যানের যুগোপযোগী ও বহুমুখী সিদ্ধান্তের ফলে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক গতি সঞ্চারিত হয়েছে। বর্তমানে ২ টি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ২৬ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিআরটিসি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

একটি প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে দেশ, জনগণ ও স্টাফদের সার্বিক কল্যান নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই করছেন মোঃ তাজুল ইসলাম। অথচ এই গুণী মানুষটির পদত্যাগের দাবিতে গুটিকয়েক অসাধু ব্যক্তি এবং বহিরাগত একশ্রেণির দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা নিঃসন্দেহে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই বিআরটিসির সুনাম ও সেবা অক্ষুন্ন রাখতে অভিযুক্ত কথিত আন্দোলনকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।

রংধনু‘র রফিকসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামের মা ঝর্ণা বেগমের আহাজারি

স্কুল শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় জসু মেম্বারকে প্রধান আসামি করে রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, শফিক, আলাল, সেলিম, নাপিত দুলালসহ ৩১ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নিহতের পিতা বিল্লাত হোসেন বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, তাঁর ভাই মিজানুর রহমান ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা নাওড়া এলাকার সাবেক মেম্বার মোশারফ ভূঁইয়ার বাড়ি জবরদখল করতে যায়। এ সময় দ্বীন ইসলাম ও মোশারফ মেম্বারের লোকজন তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে রফিকের নির্দেশে জসু মেম্বার শটগান দিয়ে গুলি ছোড়েন। গুলি দ্বীন ইসলামের পেটে ও বুকে বিদ্ধ হয়। দ্বীন ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে জসু মেম্বারের কাছ থেকে মিজান শটগান ছিনিয়ে নিয়ে দ্বীন ইসলামের বুকে গুলি করেন।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দ্বীন ইসলামের স্বপ্ন উড়ে গেল মিজানের গুলিতে :

‘আমার চানডার কি দোষ আছিল গো! আমার পুতে (ছেলে) কইত, মা আমি বড় অইয়া মানুষ অইমু। তোমগো দুঃখ শেষ করমু। বাবার আর কষ্ট কইরা মাছ বেচবার লাগব না। আমার পুতের আশা খান খান কইরা দিল মিজানে। রফিকের নির্দেশে মিজান নিজে গুলি কইরা আমরার পোলাডারে মাইরা ফালাইছে।’ বুক চাপড়ে ডুকরে কাঁদছিলেন আর কথাগুলো বলছিলেন নাওড়ায় নিহত সদ্য এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামের মা ঝর্ণা বেগম।
কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া মধ্যপাড়া হাজিবাড়ি মসজিদের পেছনের বাড়িটি বিল্লাত হোসেনের। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটির ভেতরে নারী-পুরুষের জটলা। নিহত দ্বীন ইসলামের মা ঝর্ণা বেগম, বোন শিলা আক্তারের বুকফাটা কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তাদের পাশে থাকা নারীরাও অভিশাপ দিচ্ছিল। খানিক পর ঘরে প্রবেশ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান দ্বীন ইসলামের বাবা বিল্লাত হোসেন। পরে কয়েকজন তাঁর মুখে পানির ঝাপটা দিলে জ্ঞান ফিরে আসে তাঁর। এর পরই হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। বিল্লাত হোসেন বলেন, ‘আমার পোলায় তো কোনো দোষ করে নাই। আমার পোলারে ক্যান মিজানে গুলি করল? পোলাডায় কইত, বাবা আমাগো অভাবের দিন শেষ অইব। আমি লেহাপড়া কইরা বড় অমু। আর লেহাপড়া করতে না পারলে বিদেশ যামুগা।
পোলাডায় লেহাপড়ার ফাহে (ফাঁকে) ফাহে কাম করত। আমি কইতাম, বাবা তোর কাম করার দরকার নাইগা। লেহাপড়া কর। আমার কতা হুনত না। কইত, তুমি একলা কষ্ট করবা ক্যান, বাবা! আমার হেই সোনার টুকরারে আমি এহন কই পামু?’

দ্বীন ইসলামের বোন শিলা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইডা শান্তশিষ্ট আছিল। কেউর লগে কাইজা-ঝগড়া করত না। বাবার পাশাপাশি ও কাম করত। আমি আমার জামাইর বাড়ি থেইক্যা বাপের বাড়িত আইলে কইত, মা পিঠা বানাও, আমার বোইনে খাইব। অহন আর কেডা কইব এই কতা। আমার ভাইরে তো ওরা মাইরা ফালাইছে।’

পাশ থেকে মা ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘পুতের স্বপ্ন আছিল লেহাপড়া শিখা (শিখে) পুলিশ অইব। পুতে মেট্রিক পাস করছে। অভাবের লেইগ্যা কইছিলাম ঈদের পর মালয়েশিয়া পাডাইয়া দিমু। কাগজপত্রও করছি। কোনোডাই ওর কপালে জুটল না। মাইয়া দেখছিলাম বিয়া করামু। আমার একটা মাত্র পোলা। চাইছিলাম, বিয়া করাইয়া নায়-নাতকুরের মুখ দেখমু। কিছুই অইল না। আমার বংশে বাত্তি (আলো) দেওয়ার আর কেউ রইল না। আল্লাহ তুমি রফিফ, মিজানের বিচার কইরো।’ ওই বাড়িতে আসা কয়েকজন নারী-পুরুষ বলেন, ‘দ্বীন ইসলাম পোলা হিসেবে ভালা আছিল। লেহাপড়া করত। কাম করত। কারো লগে কোনো সময় কাইজা-ঝগড়া করে নাই। এ রহম একটা পোলারে মাইরা ফালাইছে, এইডার বিচার আল্লায় করব।’

এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, ‘আমরা সাধারণভাবে জীবন যাপন করতে চাই। নাওড়া একটা সুন্দর গ্রাম হয়ে উঠুক, এটা চাই। আমরা রফিক-মিজান হায়েনার কাছ থেকে মুক্তি চাই। ওরা বাঘের চেয়ে হিংস্র। ওরা মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে। নাওড়ায় এ পর্যন্ত কয়েকটা খুন করেছে ওরা। দ্বীন ইসলামের আগে স্বাধীন নামে এক ছেলেকে খুন করেছে রফিক-মিজান গং।’

স্থানীয়রা অভিযোগ করে, ‘রফিক-মিজান বলে বেড়াচ্ছে, একটা খুন ওগো লেইগা বিষয় না। ওগো নাকি টাকা-পয়সার অভাব নাই। তিন কোটি টাকা রাখছে খুন থেকে বাঁচার লাইগা। আর পুলিশ নাকি হেগো পকেটে। আরো বড় বড় মন্ত্রী-এমপি নাকি হেগো লগে আছে। আল্লায় জানে আবার কারে খুন করে।’ স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলে, ‘আমাগো ভরসা আল্লাহ। হের পরে শেখ হাসিনা। তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ দেখেন। তিনি বিচার করব। এই হায়েনাগো বিচার আল্লায় করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাগো বাঁচান।’

এদিকে নাওড়া এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা করা হয়নি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন স্পটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। আমরা অভিযোগও পাইনি। হয়তো লাশ দাফনের পর অভিযোগ আসবে।’
##

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়