স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শেখ জামাল আটক

স্টাফ রিপোর্টার:

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় পদধারী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংবাদিক নেতা সাংবাদিক শেখ জামালকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের ঘটনায় আলাদা দুটি হত্যা মামলা সহ শেখ জামালের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার হত্যাকারীদের দোসর হিসেবে লিপ্ত থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে জানা গেছে।

গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজারস্থ গ্রীনওয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তারা বাসার দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দীর্ঘ সময় তল্লাশির পর তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

শেখ জামাল একাই থাকতেন ভাড়ার বাসাটিতে। সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের পক্ষে এবং অন্তর্বর্তী সরকার তথা ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানি মূলক নানা পোস্ট দিয়ে আসছিলেন।

এটিএম আজহারের আপিলের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার:

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের প্রথম দিনের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে।

পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়।

আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম