যেখানে জন্ম সেখানেই ফিরে গেছেন হাসিনা: মিয়া গোলাম পরওয়ার

স্টাফ রিপোর্টার: 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ফ্যাসিস্ট ও স্যাডিস্ট সমস্ত হত্যা,খুন ও গুমের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা।তার নির্যাতনের রক্তের ছোপ, অশ্রুসিক্ত মায়ের কান্না এখনো শুকায় নাই।অথচ যেখানকার মাল সেখানে ফিরে গিয়েছে। সেখান থেকে সন্ত্রাসের নতুন ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকের এই মানবাধিকার দিবসে বলতে চাই, সেই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে পিলখানার হত্যাকান্ড, হেফাজতের হত্যাকান্ড এবং বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের বিনা অপরাধে সাজানো মামলা, সাজানো সাক্ষী, সাজানো বিচারক দিয়ে নির্মমভাবে জুডিশিয়্যাল খুন করা হয়েছে। তারপর ২০২৪ এর গণঅভ্যুথানে ২ হাজার ছাত্র-জনতাকে খুন করা হয়েছে। ৪০ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে। এই নিশংস খুনের বিচার বাংলাদেশে না হলে, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন ব্যর্থ হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনকে প্রশ্ন রাখতে চাই, এই ১৬ বছরে কালো যুগে যত হত্যা,গুম হয়েছে তার কি বিচার করেছে। তাদের এখতিয়ার থাকলেও তারা বিচার করেনি কারণ তারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল।  নতুন করে বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য আগামী নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনী কৌশলে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে বিদায় দিতে হবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ডাকে সাড়া দিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর জাতীয় ঐক্যের প্রমাণ দিয়েছি। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ সমাজে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। এদের থেকে প্রশাসনকে পরিছন্ন না করলে আগামী নির্বাচন হতে পারে না।

 

সবা:স:জু- ৩০১/২৪

পলের গণসংযোগে নিপুণের নেতৃত্বে বাবু বাহিনীর বাধা

স্টাফ রিপোর্টার॥
শুক্রবার ১৭ অক্টোবর নিজ এলাকায় আসরের নামাজ পড়ে গণসংযোগ করতে যান রেজাউল কবির পল। পাশাপাশি এলাকায় থাকেন নিপুণ রায়ের অন্যতম সহচর মোজাদ্দেদ বাবু।
ঢাকা ৩ আসনের বিএনপির আরেক প্রতিপক্ষ নিপুণ রায়। গত ৫ আগস্টের পরে নিপুণ রায় এবং বাবু চেয়ারম্যান সহ শুভাঢ্যা, ইকুরিয়া, তেঘুরিয়া সহ অন্যান্য এলাকায় আওয়ামীলীগের নানা জায়গায় দখল নেয়। বিশাল টাকার দেনদরবারে অনেক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদেরকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করে। শুধু তাই নয়,
নিজ এলাকায় রেজাউল কবির পলের জনসভায় এই নিপুণ প্যানেলের লোকজন সংঘাতের সৃষ্টি করে। একই এলাকা হওয়া সত্বেও একই সময়ে নিপুণ রায়ের আদেশে বাবু চেয়ারম্যান একটি ঝটিকা মিছিলের আয়োজন করে।
স্থানীয় জনতার স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাগমে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়। এর আগেও স্থানীয় প্রশাসন কয়েকবার নিপুণ প্যানেলের লোকজনকে সাবধান করে।

রেজাউল কবির পল ছাত্রনেতা থেকে উঠে আসা একজন বিএনপির রাজনৈতিক কর্মী। জেল- জুলুম সহ্য করে মৃত্যু মুখ থেকে ফিরে আসা একজন শান্তি প্রিয় নেতা। জিনজিরা সহ কেরানীগঞ্জবাসি পলের পক্ষে গণ সমর্থন দিয়ে এই গণ সংযোগ শুরু করেন।
পল বলেন, নিজ এলাকায় নামাজ, জানাজা আর প্রচারণা করতে এমন কিছু ঘটবে তা অত্যন্ত দু:খজনক।
তিনি সহিংস রাজনীতির পথ পরিহারের আহবান জানান। পল বলেন, দল যদি তাকে নির্বাচন করতে অনুমতি দেয় তাহলে তিনি চাঁদাবাজি, মাদক কারবারি এবং সন্ত্রাস মুক্ত এলাকা উপহার দিবেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া এবং জনাব তারেক রহমানের মতো আপোষ হীন রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
ভোটের মাঠে স্বচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্বাস করেন তিনি।
নিজ এলাকায় আসরের নামাজ পড়ে রেজাউল কবির পলের গণসংযোগে যোগ দেয় কেরানীগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ। তিনি সকলের ভালবাসা এবং দোয়া কামনা করেন।
নিপুণ -বাবুর বাধা উপেক্ষা করে পলের পক্ষে গণসংযোগ করতে লক্ষ লোকের জনসমাগম ঘটে কেরানীগঞ্জ এলাকায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম