তারিখ লোড হচ্ছে...

উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের শোডাউন

স্টাফ রিপোর্টার:

গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।

উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সচিবালয়ে শোডাউন করেছেন এই ক্যাডারের কর্মকর্তারা। কয়েকশ কর্মকর্তা দল বেঁধে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্লা এর নেতৃত্ব দেন।

দুপুর পৌনে ১টায় নিজ দপ্তরে আসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। এরপর তার দপ্তরে অবস্থান নেওয়া কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিজের মিনি কনফারেন্স রুমে বৈঠকে বসেন।

বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, “জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করার আগে চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। এই আলোচনার পরে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে আর ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ থাকবে না।”

এর আগে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানের কাছে লিখিত দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, “জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে অনেকের মতামত আছে, তারা মতামত দিচ্ছেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাবনা দিয়েছেন, আমরা এটা কমিশনে জমা দেব।”

গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।

বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।

 

সবা:স:জু- ৪৮৪/২৪

বরিশালে অফিস সহকারির পাঁচ তলা ভবন, ব্যাংকে জমা কোটি টাকা

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নেছারাবাদ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারি অামিনুল ইসলামের বরিশালে পাঁচতলা বাড়ি ও তার ব্যাংকের বেতন হিসাবে কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) বরাবর এই অফিস সহকারির অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ তদন্তে গেলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।

বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের পিছনে আমতলা মোড় সংলগ্ন ওসমান সড়কের বিলাসবহুল পাঁচতলা ভবন তালুকদার ভিলার মালিক তিনি, ২০১১-২০১৬সাল পর্যন্ত সোনালি ব্যাংকে তার পরিচালিত হিসাব নম্বর ১০০০১১১৫৫ এ এক কোটি ছয় হাজার সাত শত একাশি টাকা জমা।

অত্র অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক প্রশাসন খান মোঃ রেজাউল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা গেছে, একই কার্যালয়ের সহকারি পঃপঃ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এই অফিস সহকারির সহায়তায় জাল স্মারকের মাধ্যমে জাল প্রজ্ঞাপন তৈরী করে নেছারাবাদ উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করায় তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

দীর্ঘ ২২ বছর ধরে একই অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলালের ব্যাপারে সোহাগদল এফডব্লিউসি’র স্যাকমো মাহফুজা বলেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কোন খরচ দেওয়া হয়না। ২০১১ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত আমাদের বেতনের একটা অংশ আমিনুল ইসলাম আত্নস্যাত করেছিল যা সোনালী ব্যাংকের তৎকালিন ম্যানেজার তার বেতন হিসাবে অত্যাধিক টাকা লেনদেন  দেখে তদন্তে আসলে বেরিয়ে আসে। সে ঘটনায় দুলাল দোষ স্বীকার করে আমাদের টাকা ফেরত দিয়েছিল। শ্রান্তী ভাতার টাকা তুলে তাকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়।

সুটিয়াকাঠী এফডব্লিউসি’র  এফডব্লিউভি শিরিন সুলতানা বলেন, আমাদের যত ভাউচার বিল রয়েছে তার সব বিলের শতকরা ত্রিশ ভাগ দুলালকে দিয়ে আসি একাউন্সসহ অন্যান্য অফিসারদের যেটা দেওয়া দরকার সে দেয়।

মাঠকর্মীদের টাকা আত্নস্যাতের বিষয়ে তৎকালিন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অাবু বকর অাকন বলেন, ওই সময় দুলাল কর্মীদের বেতনের টাকার খুচরা অংশ আত্নস্যাৎ করেছিল যা সে স্বীকার করে রিফান্ড করায় প্রাথমিক ভাবে তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম দুলাল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চাকরির বাহিরে কোন ব্যবসা নেই উল্লেখ করে ব্যাংক হিসাবের লেনদেন তার নয় এবং বরিশালের আমতলা মোড় সংলগ্ন ওসমান সড়কের বিলাসবহুল ভবন তালুকদার ভিলার মালিক হওয়া সত্বেও তিনি সে ব্যপারে বলা জাবেনা বলে জানান।

২৪ মে ২০২২ তারিখ দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) এর বরাত দিয়ে এফপি, পিরোজপুর মোঃ শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমিনুল ইসলাম দুলালকে ৩০মে ২০২২ উপস্থিত থাকতে বলা হয়। দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে স্বাক্ষদানকারী ব্যক্তিরা স্বাক্ষও প্রদান করেন বলে জানা গেছে কিন্তু আজো আলোর মুখ দেখতে পায়নি সে তদন্ত প্রতিবেদন। এ বিষয়ে দুলালের সাথে বারবার যোগাযোগ করার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এমনকি ক্ষুদে বার্তার জবাব দেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম