মাথাহীন ‘তরুণীর’ দেহ পোড়াচ্ছিলেন যুবক

স্টাফ রিপোর্টার: 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গর্তে ঢুকিয়ে একজনকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার দেহের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তবে দেহের সঙ্গে কোনো মাথা ছিল না। হাতে চুড়ি থাকায় দেহটি তরুণীর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ফারহান রনি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভুইয়ার ছেলে। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভুইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি পাতা পুড়তে দিয়েছেন। তার কথা বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে মারধরের হুমকি দেন।

এতে সন্দেহ ঘনীভূত হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গিয়ে ওই গর্তে গিয়ে মরদেহ পুড়তে দেখেন। পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।

আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর ইসলাম জানান, একজনকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার দেহের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তিনি পুরুষ নাকি মহিলা তা বোঝা যাচ্ছে না।

সবা:স:জু- ৫১৪/২৪

তুই আমার সাথে প্রফেসরগিরি দেখাস, ফাজিল কোথাকার

স্টাফ রিপোর্টার:

‘তুই প্রফেসরগিরি দেখাস আমার সাথে? ফাজিল কোথাকার, তুই আমাকে বেয়াদব বললি কেন? তুই বেয়াদব বলার কে?’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগের সিনিয়র এক শিক্ষককে এভাবেই ধমক দিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে একই বিভাগের আওয়ামী পন্থি জুনিয়র শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকারকে।

গত ২৬ নভেম্বর ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতির কক্ষে বিভাগটির সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকার। এ সময় একাধিকবার ওই শিক্ষকের দিকে এগিয়ে এসে তাকে ধমকাতে দেখা যায়।

জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান ওশানোগ্রাফি বিভাগে পরিদর্শনে আসেন। তবে উপ-উপাচার্যের আসার আগমুহূর্তে সাইদুল ইসলামের বিভাগে দেরিতে আসার কারণ জিজ্ঞেস করতেই তিনি অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওশানোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন বলেন, গত ২৬ নভেম্বর ওশানোগ্রাফি বিভাগে চবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান স্যার ডিজিটে আসার আগমুহূর্তে বিভাগে দেরিতে আসার কারণ জিজ্ঞেস করতেই সাইদুল ইসলাম আমার সঙ্গে গালিগালাজ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এ ছাড়া আমাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি-ধমকি দেন তিনি। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ভিসি ও প্রো-ভিসিদের নিয়েও তিনি কটূক্তি করেন।

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম বলেন, গত ২৬ নভেম্বর অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার কারণ হলো, তিনি আমাকে আগে বেয়াদব বলেছেন। তুই-তোকারি করে কথা বলেছেন। তারপর আমি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এজন্য ওশানোগ্রাফি বিভাগ থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতি নমনীয় হওয়ায় তিনি ক্যাম্পাসে আসেন।

 

সবা:স:জু- ৫৩৩/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম