তারিখ লোড হচ্ছে...

ময়মনসিংহের যে অচেনা পথে শিলং পালান শামীম ওসমান

স্টাফ রিপোর্টারঃ 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূল প্রায় সব নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান, এটি পুরনো কথা। অনেক নেতা দেশ ছেড়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো খবর আসে কারও বিদেশযাত্রার কথা। কেউবা আটক হচ্ছেন বিমানবন্দর কিংবা সীমান্তে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত রাজনীতিক শামীম ওসমান অভ্যুত্থানের পরপরই নিরাপদে ওপারে পৌঁছাতে পারেন।

তার পালানোর যাত্রাপথের কথা ইতিমধ্যে এসেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তিনি বেনাপোল কিংবা আগরতলা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়েছেন- এত দিন এমনটাই জানতাম আমরা।

কিন্তু ঢাকাটাইমসের অনুসন্ধান বলছে, তিনি এই দুই অতিপরিচিত পথ এড়িয়ে বেছে নেন কম গুরুত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত। ওই সূত্র শামীম ওসমানের যাত্রাপথের বিবরণ জানিয়েছে ।

সূত্রমতে, পালানোর সময় শামীম ওসমান একা ছিলেন। কারণ ছাত্র-জনতার দখলে উত্তুঙ্গ নারায়ণগঞ্জ। দুপুরের পর রাইফেলস ক্লাব থেকে চুপিসারে তিনি আশ্রয় নেন চাষাঢ়ার এক বাড়িতে। সেখান থেকেই রাতে বের হন ময়মনসিংহের সীমান্তের উদ্দেশে।

অবশ্য এই সীমান্ত দিয়েই ওপারে যান তার স্ত্রী সালমা লিপি ও ছেলে অয়ন। তবে আলাদা।

আমরা সূত্রের বর্ণনামতো ময়মনসিংহ থেকে কালুয়াঘাট সীমান্তে পৌঁছার রাস্তাটির ভিডিও চিত্র ধারণ করি ময়মনসিংহ অঞ্চলের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে। শামীম ওসমানের সেই সীমান্ত যাত্রা আমরা গল্পের ঢঙে তুলে ধরছি পাঠকদের জন্য।

ময়মনসিংহের গ্রামীণ পাকা সড়ক ধরে ছুটছে শামীম ওসমানের গাড়ি। দ্রুতই পৌঁছাতে হবে সীমান্তে। ভয়ার্ত চোখে বারবার পেছনে তাকাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের প্রতাপশালী মানুষটি, কেউ অনুসরণ করছে না তো। বাড়ির কথা মনে পড়ে। জনতা আগুন দিয়েছে তার সুরম্য ডুপ্লেক্স বাড়িতে। তবে দাদা আর নানার বাড়িতে বড় কোনো হামলা হয়নি। এখন বাপ-দাদার দোয়ায় নিরাপদে সীমান্তে যেতে পারলে বাঁচেন।

এ পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি পথে। স্ত্রী সালমা আর ছেলে অয়ন তার সঙ্গে নেই। তারা যাচ্ছে আলাদা। তারাও নিশ্চয়ই নিরাপদ আছে। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে সীমান্তের ওপারে শিলংয়ে দেখা হবে তাদের সঙ্গে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা।

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার অজ্ঞাত এক বাড়ি থেকে বোরকা পরে যখন রওনা হন, তখন রাতের আঁধার নেমেছে চরাচরে। ৫ আগস্ট সকালেও নিজের রাজনৈতিক আস্তানা রাইফেল ক্লাবে ছিলেন দলবল নিয়ে। অভ্যুত্থান ঘটে যাওয়ার পর সেখানে থেকে বেরিয়ে চাষাঢ়ার ওই বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। তাতে অল্পের জন্য রক্ষা পান। তার বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই রাইফেল ক্লাবে হামলা করে জনতা।

ওই বাড়িতে অবস্থানকালেই জানতে পারেন তার চাষাঢ়ার বাড়ি, ভাই সেলিম ওসমানের বাড়িতে জনতা ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে পারবেন কি না ভয়ে ছিলেন। এর আগে যতবার পালিয়েছেন, সরকারি বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিলেই হতো। এবার সব জায়গায় জনতার চোখ। তাদের রোষানল ছড়িয়ে আছে পথে পথে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে বেরোতে অনেক বেগ হতে হয় শামীম ওসমানকে। দু-তিনজন বিশ্বস্তজন আর একজন সীমান্ত দালালের সঙ্গে কথা বলে ময়মনসিংহের পথটা বেছে নেন ‘খেলা হবে’র বীরপুঙ্গব। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের এই স্থলবন্দরটি অনেকটা অপরিচিত। তবে অনেক টাকা দিতে হয়েছে দালালকে। তবে নিরাপদে সীমান্তের কাছাকাছি আসতে পেরেছেন। আর কিছুদূর গেলেই পৌছে যাবেন কাঙ্খিত গন্তব্যে। এরপর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের শিলং।

একটু মনমরা হন শামীম ওসমান। কী থেকে কী হয়ে গেল! দিন সাত-দশেক আগেও আন্দোলনের বেয়াড়া ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া করেছেন অস্ত্র হাতে। ৩০ জুলাই এমনই শক্তির মহড়ার সময় মাথায় আঘাত পান। ব্যথাটা আছে এখনো। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের বেঠকে ছিলেন। পরদিন বিপুল অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ ছিল দলের। কিন্তু আর সাহস করেননি। রাজপথে বের হননি সেদিন।

সাইনবোর্ড থেকে রামপুরার রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ, তাই নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা বাইপাস হয়ে গাজীপুর, এরপর ময়মনসিংহ। সেখান থেকে সীমান্তে আসার মাঝপথে ছেড়ে দেন গাড়ি। স্থানীয় সিএনজি আর ব্যাটারি রিকশায় যাচ্ছেন বর্ডারের দিকে।

মিষ্টভাষী ও বাকপটু শামীম ওসমান চুপচাপ। যদিও জাতীয় নেতা নন, তবে দেশের প্রায় সবাই তাকে চেনে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার হিসেবে। মুখ বোরকায় ঢাকা বলে চালক চিনতে পারছেন না। তার গলার স্বর চিনে ফেলতে পারে বলে সারা পথ নীরব তিনি।

রাত আরও বাড়ে। মনটা ছটফট করে। পথ ফুরোতে চায় না। কাঠ-বাঁশের সাঁকো পেরোতে পেরোতে মনকে সান্ত্বনা দেন, আর বেশি দূর নয়। মনে পড়ে এভাবে আরও দুবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। ২০০১ এবং ২০০৭ সালে। প্রথমবারও বোরকায় ঢাকা ছিল মুখ।

খেলা হবে- তার প্রিয় কথাটি মনের ভেতর ঘাঁই দেয়। তার মুখ থেকে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মুখ হয়ে ‘খেলা হবে’ পেরিয়ে যায় দেশের গন্ডি। কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতারও প্রিয় স্লোগান হয়ে ওঠে- খেলা হবে। আসাম, মেঘালয় আর কলকাতায় তার নাম জানে অনেকে- ভাবতে একটু ভালো লাগে শামীম ওসমানের।

ভাবতে ভাবতে হালুয়াঘাটের বিভিন্ন গ্রাম পেরিয়ে একসময় পৌঁছে যান সীমান্তে। খেলা হবে শামীম ওসমান খেলার মাঠ ছেড়ে পা রাখেন সীমান্তের ওপারে। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। মেঘালয়ে শিলংয়ে গিয়ে মিলিত হন স্ত্রী আর ছেলের সঙ্গে। তাদের নিয়ে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। সেখান থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

অভ্যুত্থানের ঠিক এক মাস পর ৬ সেপ্টেম্বর শামীম ওসমানের দেখা মেলে দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে। মাথায় তখনো আঘাতের চিহ্ন। নিজের এবং দলের প্রধান শেখ হাসিনার জন্য, যিনি দিল্লিতে সরকারের আশ্রিত, মিলাদ পড়ান নারায়ণগঞ্জের মিষ্টভাষী গডফাদার।

এরপর পাড়ি জমান দুবাই। সেখানে তার নিজের বাড়ি। রটে যায় ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনা উঠবেন তার ওই বাড়িতে। তবে সেটি আর ঘটেনি এখনো।

 

সবা:স:জু- ৫৭৯/২৪

দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন পাসপোর্ট ও বিআরটিএ

           স্টাফ রিপোর্টার:

 গত এক বছরে খানা জরিপ করে দেশের সেবা খাতের আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জরিপে পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। জরিপে সর্বোচ্চ ঘুষ লেনদেনের দিক থেকে বিচারিক সেবা, ভূমি ও ব্যাংকিং খাতের নাম প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে টিআইবির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব প্রতিবেদন আকারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। দেশের ১৭টি সেবা খাতের ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য খাতের মধ্যে এমএফএস, ওয়াসা ও অনলাইন শপিংয়েও জরিপ চালায় সংস্থাটি।

টিআইবির প্রতিবেদনে পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সবসময়ে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির খানা জরিপে একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিমাণ ঘুষ গ্রহণের দিক থেকে বিচারিক সেবা, ভূমি ও ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ গড় ঘুষ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ (এপ্রিল) পর্যন্ত সেবা খাতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুষের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এই সময়ে সার্বিকভাবে দুর্নীতির শিকার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ঘুষের শিকার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার বা খানা।

এ ছাড়া সেবা পেতে পরিবার বা খানা প্রতি সর্বনি¤œ ৫ হাজার ৬৮০ ঘুষ দিতে হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবায় এই খাতে একটি সেবা পেতে গড়ে গুনতে হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা, প্রতিটি ভূমি সেবার জন্য গড়ে গুনতে হয়েছে ১৭ হাজার ৪৭১ ও ব্যাংকিং খাতে ৭ হাজার ৩৬৩ টাকা। সেবা পেতে ৭০ শতাংশ ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতির শিকার হয়েছে। আর ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুষের শিকার হয়েছে। সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।

২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ। এই পরিমাণ অর্থ দেশের মানুষ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছে। এই সময়ে ভূমি সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছে ২ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা, বিচারিক সেবা পেতে ২ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেবা পেতে ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ও পাসপোর্টে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচারিক সেবা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতি ও ঘুষের উচ্চ হার অব্যাহত, যা সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা; অন্যদিকে ভূমি সেবা, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিআরটিএর মতো সেবায় উচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষ বিদ্যমান, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।

প্রতিবেদনে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও ঘুষ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ, ভূমি, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিচারিক প্রক্রিয়ার নাম উঠে এসেছে।

এই সময়ে বিআরটিএতে সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৮৬ শতাংশ, আর প্রতিষ্ঠানটিতে ঘুষ দিতে হয়েছে ৭১ শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে। পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৮৬ শতাংশ সেবাগ্রহীতা, ঘুষ দিতে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৮ শতাংশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ, আর ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ সেবা গ্রহীতাদের ঘুষ দিতে হয়েছে। বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ, ঘুষের শিকার ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া ভূমিসেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতি শিকার ৫১ শতাংশ, ঘুষ দিতে হয়েছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ।

টিআইবির খানা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৭ খাতে সেবা নিতে গিয়ে গড়ে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি শিকার হয়েছেন এবং ঘুষ দেওয়ার হার গড়ে ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ।

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ। স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত সেবায় এই হার ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে ৪১ শতাংশ, গ্যাস খাতে ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহায়তায় ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ।

সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেবায় দুর্নীতি শিকার ২৬ শতাংশ, বিদ্যুৎ খাতে ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ, কৃষি খাতে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ, কর ও শুল্কে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ, বিমায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ব্যাংকিং খাতে ৯ শতাংশ।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণে কাজ করা এনজিওগুলোতে দুর্নীতির শিকার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, যেমন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), ওয়াসা, এবং অনলাইন শপিংয়ে এই হার ১১ দশমিক ১ শতাংশ।

সেবা খাতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ জরিপে ফলাফলের ভিত্তিতে টিআইবি সরকারের কাছে ৯ দফা সুপারিশ করেছে। সেবাগ্রহণ প্রক্রিয়া ডিজিটাইলজডসহ সরকারি কর্মকর্তা–কর্মাচারীদের আচরণ সম্পদ বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৮ বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।

সবা:স:জু- ১৬৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম