তারিখ লোড হচ্ছে...

কানাডায় মায়ের কাছে যাওয়া হলো না রাকিবের

মোহাম্মদ সেকান্দর তুহিন হাটহাজারীঃ
এক মাস পরেই কানাডায় পাড়ি জমানোর কথা ছিল মোস্তফা মাসুদ রাকিবের। সব কিছু গোছগাছও শেষ পর্যায়ে। কিন্তু শুক্রবারের দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিল। নানার বাড়ি থেকে কানাডায় যেতে না পারলেও চলে গেলেন পারিবারিক কবরস্থানে। তার বাড়ি শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিকারপুর মুছা মেম্বারের বাড়িতে। বাবা মোতাহের হোসেন খাঁন প্রকাশ আব্দুল হালিম। শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে মামা ওয়াহিদুল আলম জিসানের সাথে যুগিরহাট কোচিং সেন্টার আর এন্ড জে থেকে মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে মামা জিসানসহ দুর্ঘটনায় নিহত হন। পরিবারের দুইজনকে হারিয়ে পরিবারের অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্থ বলে জানান নিহত জিসানের বড় ভাই মোঃ এমরান। জিসান উপজেলার চিকনদন্ডী আজিজ মেম্বার বাড়ির মোঃ জানে আলমের ছেলে। জিসান কোচিং সোন্টারে শিক্ষকতার পাশাপাশি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরী করতেন।

জামায়াত নেতা হত্যার অভিযোগের আসামি জহির গ্রেফ্তার

জামায়াত নেতা হত্যার অভিযোগের আসামি জহির গ্রেফ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামায়াত নেতা কাউছার আহম্মদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জহিরকে (৪২) গ্রেফ্তার করেছে র‍্যাব।বুধবার (৯ জুলাই) রাতে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুরে তাকে ঢাকার লালবাগ থানার বিজিবি মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত জহির লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকার মনসুর আহমেদের ছেলে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিহত কাউছারদের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ৫ জুন দুপুরে রাজিবপুর এলকায় বাদীর বাড়ির সামনে অভিযুক্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যায়। তখন তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের সামনে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এতে ভয়ে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে সন্ধ্যায় কাউছারের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৮ জুন নিহতের স্ত্রী শিল্পি আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, জহির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১০ জুন কাউছার হত্যা মামলায় ৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি বাবুলকে (৫০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত কাউসার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম