ফকিরবাজার আল মদিনা নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা’র হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান

বুড়িচং প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজার এলাকায় অবস্থিত আল মদিনা নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা’র হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে ৪র্থ বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত ( ৪ জানুয়ারি ২০২৫) শনিবার রাতে মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব মুফতি আবু নাছের জিহাদী।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাজী মোঃ মোস্তফা কামাল এর সার্বিক সহযোগিতায় ও হাফেজ আলী আজগর আল-ক্বাদেরীর পরিচালনায় মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন আলহাজ্ব হযরত মাওঃ মুফতী জহিরুল ইসলাম ফরিদী,ঢাকা ।বিশেষ অতিথি হিসেবে ওয়াজ করেন, হাফেজ মাওলানা রায়হান বিন জিহাদী আশেকী।বিশেষ বক্তা ছিলেন,মুফতি কাজী আবদুর রশিদ জামী, মুফতি কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাশারী আল-ক্বাদেরী, মাওঃ গোলাম মোহাম্মদ কাউছার সুন্নী আল-ক্বাদেরী শাহপুরী।আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ও গীতিকবি আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, প্রচার সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম সুমন সহ স্থানীয় সুন্নি ওলামায়ে কেরাম এবং এলাকায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।উক্ত মাহফিলে ৭ জন হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান বক্তা আলহাজ্ব হযরত মাওঃ মুফতী জহিরুল ইসলাম ফরিদী।

মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্র্বতী সরকারের পতনের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার॥
তাবলীগ জামায়াতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যদি স্বঘোষিত আমির মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের এ দেশে আসতে দেওয়া হয়, তাহলে এই অন্তর্র্বতী সরকারকেই দেশ ছেড়ে পালাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাবলীগ জামায়াতের একপক্ষের নেতারা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে তারা এই হুঁশিয়ারি দেন। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্বঘোষিত আমির সাদ ও তার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই সেটি হতে দেব না। তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে আমরা ব্যর্থ করে দেব। তিনি বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে বলব, আপনারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আপনাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্রজনতার আন্দোলনে অনেক ওলামায়ে কেরাম শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা শাপলা চত্বরে জীবন দিয়েছি। আওয়ামী জালিম সরকারের অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিশিষ্ট এই ইসলামি ব্যক্তিত্ব আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আজকের সম্মেলন থেকে ওলামায় কেরামের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা দেওয়া হবে, সরকারকে সেই নির্দেশনা মানতে হবে। এর বাইরে কারও সিদ্ধান্ত তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না। এ সময় মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর মধুপুর) বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। আমি বলব- কিসের পরামর্শ, এই সম্মেলন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সরকারকে এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। ভিন্ন কোনো চিন্তা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব। সরকারকেও আলেমদের সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো পূর্ববর্তী সরকারের মতোই তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যদি বেয়াদবকে বাংলাদেশে আসতে দেয়, তাহলে সরকারকেও পালিয়ে যেতে হবে।
সবা:স:মা-২৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম