স্ত্রী তালাক দেয়ায় অশালীন ছবি ছারছেন স্বামী সাগর

স্টাফ রিপোর্টার॥

স্ত্রী-সন্তানের কথা গোপন করেই পর নারী আশক্ত ও মাদকাশক্ত হয়ে পরেছেন স্বামী সাগর হোসেন (৪০)। প্রতিদিনই স্ত্রীর উপর র্নিযাতন করতো এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত, এমনকি র্নিযাতন সয্য করতে না পেরে লিপি আত্বহত্যার পথও বেচে নেয় সেদিন তার ভাই ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহায়তায় বোনকে বাচাতে পেরেছে।
‌শেষ পর্যন্ত সাগরকে তালাক দিয়েছেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তার ন’গ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছেন সাগর । ঘটনাটি রাজধানীর উত্তরখান এলাকার কাচকুরা এলাকার বেতুলী এলাকায়।
সাগর এ এলাকার জলিল বেপারীর ছেলে। এ নিয়ে ৩০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী ওই নারী সাগর হোসেনের বিরুদ্ধে প’র্নোগ্রাফি আইনে থানায় একটি মামলা করার জন্য ডিএমপির কদমতলী থানায় একডি সাধারন ডায়েরী করেছেন।জানাযায় সাগর ও লিপির বিয়ে হয় ২০০৫ সালে তাদের সংসারে ২ টি সন্তান রয়েছে কিন্তু সাগর মাদকাশক্ত ও পরনারীকে নিয়ে মজে থাকাই তার পেশা হয়ে দাড়িয়েছে এ কারনে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে সে কারনে লিপি গত মাসে সামাজিকভা্বে ২ পক্ষ উপস্থিত থেকে তাদের তালাক সম্পন্ন হয়, কিন্তু কিছুদিন পার হতে না হতেই সাগর পাগলামি শুরু করে দেয় ভূয়া ফেইসবুক আইডি খোলে সাবেক স্ত্রী লিপিকে বদনাম করার চেষ্টা করছে অশ্লীল কথা বার্তা ছেলেদের সাথে বলে সে সকল কথার্বাতার স্কীন র্সট দিয়ে তা লিপির আত্বীয় সজ্বনদের কাছে পাটিয়ে তাকে বদনাম করছে।

কয়েকদিন যাবত মুঠোফোনে প্রায়ই বিরক্ত করছে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট সাগর তার স্ত্রীর কয়েকটি ন’গ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেন। এ নিয়ে ১০-৮-২০২২ জিডি করেন ভুক্তভোগী নারী।

স্ত্রী সংসারে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। এসব ছবি নিয়ে সাগর তার স্ত্রীকে ‘জিম্মি’ করে রাখার চেষ্টা করতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়েই দেন। সাগরের মুঠোফোন জব্দ করা হলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন ভোক্তভুগি নারী লিপি।

 

সমকামিতায় রাজি না হওয়ায় বৃদ্ধকে পেটালো পুলিশ সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার: 

নৌ পুলিশের সাবেক কনস্টেবল এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে সমকামিতায় রাজি না হওয়ায় মো. ফজলুল হক (৫৮) নামের এক বৃদ্ধকে গুরুতরভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

নৌ পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অভিযুক্ত কনস্টেবল এমদাদুল হক আগে নৌপুলিশ কর্মরত ছিল, বর্তমানে তিনি প্রেষণে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সংযুক্ত আছেন।

উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ বলছে, অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অফিসে যাওয়ার সময় রাজধানীর আব্দুল্লাপুর এলাকায় অভিযুক্ত পু্লিশ সদস্য ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করে, এবং মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।

বৃদ্ধের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত সেখান থেকে চলে যায়। পরে পরিবারের সহায়তায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীর বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বাবা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।  হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখনো শরীরে জঘম ও ব্যথা রয়েছে।

ভুক্তভোগীর বড় ছেলে এই ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন: দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা এই পু্লিশ সদস্যের হয়রানির শিকার। তার কারণে আমাদের পরিবারও ধ্বংসের পথে।

জানা যায়, রাজধানীর উত্তরখানের ট্রান্সমিটার গলির একটি মেসে প্রায় ৯ মাস আগে ভুক্তোভুগী ফজলুল হক ও নৌ পুলিশের কনস্টেবল এমদাদুল হক একই সঙ্গে থাকতেন।

ভুক্তভোগী ফজলুল হক বলেন, উত্তরখানের মেসে একসাথে অবস্থান করায় এমদাদুল আমার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং জোরপূর্বক আমাকে সমকামিতায় জড়াতে বাধ্য করে। তার কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মেস ছেড়ে দেই। কিন্তু তিনি মাঝে মাঝেই ফোন দিয়ে বিরক্তের পাশাপাশি হত্যার হুমকিসহ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত। এছাড়াও ধারাবাহিকভাবে মানসিক নির্যাতন করত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌ পুলিশের সদস্য এমদাদুল হক বলেন, সমকামিতার বিষয়টি সামনে এনে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে এমনটা করা হচ্ছে। আমরা একই গ্রামের পাশাপাশি বাসিন্দা। কিছু টাকার ধার দেনা নিয়ে আমাদের সমস্যা ছিল। সেটা পারিবারিকভাকে মিটিয়ে ফেলব।

তবে গতকাল ভুক্তভোগীকে পেটানোর ঘটনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিবুল্লাহ জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশিক্ষণ, আইন ও গণমাধ্যম) সাথী শর্মা বলেন, নৌপুলিশের কোনো সদস্যদের এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সবা:স:জু-২৪৫/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম