ধানমন্ডিতে দুর্ধর্ষ চুরি, আড়াই কোটি টাকার সোনা নিয়ে পালাল চোর

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সীমান্ত সম্ভারে সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) ও সাদ্দাম হোসেন (৩১)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) হতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও মুরাদনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে চুরি হওয়া সর্বমোট ৫০ ভরি আট আনা সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি দুপুর ১টার ‍দিকে বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি শোরুমে চুরি হয়। ওই শোরুমের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা চোররা শোরুমের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে ১৫৯ ভরি সোনার গহনা নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা।

ডিবি জানায়, গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পাওয়া ছবির সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ গত ৯ জানুয়ারি থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম আসার পথে মো. রুবেল নামে একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পরবর্তীতে কুমিল্লার দেবীদ্বার বাজারসংলগ্ন নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সফিক ওরফে সোহেলকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানা এলাকার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা চুরি হওয়া সোনার গয়না এবং ২১ ভরি ১০ আনা চুরি হওয়া সোনার গয়নার গলিত দানা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে সাদ্দাম হোসেন নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের থেকে ৫০ ভরি আট আনা সোনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক মূল্য ৭০ লাখ টাকা।

ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্র শনাক্ত করা হয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় ডিবি।

 

সবা:স:জু- ৭৫৭/২৫

শাহবাগে চিকিৎসকদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: 

মাসিক বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ও বিসিপিএস’র অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। ট্রেইনি চিকিৎসকদের দাবি ৯ম গ্রেড বা মাসিক ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। এর আগে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সময় বেধে দেন চিকিৎসকরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় সারাদেশে আবারও কর্মবিরতিতে নেমেছেন এই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে ঢাকার বিএসএমএমইউয়ের বটতলায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির (ডিএমজেএস) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

অধিকার আদায়ে ২০২২ সাল থেকেই রাজপথে আন্দোলন করে আসছেন দাবি করে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, কোনও বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে আশ্বাস না পেলে তারা সেখান থেকে যাবেন না। দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনে অবস্থান নিয়ে ট্রেইনি চিকিৎসক মাহমুদুল বাসার বলেন, আমাদের এখন ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়, তাও ঠিকমতো দেওয়া হয় না। এই টাকা দিয়ে কীভাবে চলা সম্ভব! সবকিছু বিবেচনা করে সর্বনিম্ন হলেও আমাদের ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে দেখা করেছি। সবাই ভাতা বাড়ানোর দাবিকে যৌক্তিক বলে মত দেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় নথি যথার্থ ধাপ পার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে নথিভুক্ত হয়ে পড়ে আছে। বারবার আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, সরকার যদি আমাদের সঙ্গে বসতে চায় তাহলে সেই দরজা খোলা। আর যদি বসতে না চায় তাহলে সমাধান হবে রাস্তায়।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, আজ দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসকরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছেন। আমরা কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। চিকিৎসদের এই অবস্থানের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

 

সবা:স:জু- ৪৮০/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম