তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘোষণা, সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে উপজেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু হ্যান্ডমাইকে চাঁদাবাজির ঘোষণা দেন। এরপরেই অস্ত্রের মুখে দোকানিদের জিম্মি করে টাকাপয়সা লুটপাট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গতকাল শনিবার বিকেলে এমন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে।

এদিকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে রাতেই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

জানা গেছে, বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু (৩৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের নূরু ব্যাপারীর ছেলে। তিনি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও তেলিহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব।

স্থানীয়রা জানান, এমসি বাজারের আধিপত্য বিস্তার করতে শনিবার বিকেলে ওই নেতার নেতৃত্বে কর্মী-সমর্থকরা মুখে লাল কাপড় বেধেঁ অস্ত্রের মহড়া দেন। এ সময় ওই নেতা হ্যান্ডমাইকে চাঁদাবাজির ঘোষণা দেন। এরপরেই অস্ত্রের মুখে দোকানিদের জিম্মি করে টাকাপয়সা লুটপাট করে নেওয়া হয় । এদিকে যুবদল নেতার চাঁদাবাজির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। দ্রুত সময়ে ওই চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন শেখ বলেন, ‘যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে হ্যান্ডমাইকে চাঁদাবাজির ঘোষণা সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টি অবগত হয়। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুকে যুবদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।’

শরীয়তপুরের ডিএমখালী ইউনিয়নে লোমহর্ষক হত্যাকান্ড

আজিজুর রহমান বাবু,শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার অন্তর্গত ডিএমখালী ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামে আজ সকালে শ্যালক শাওনের হাতে আপন দুলাভাই জাফর সরদারের লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় গতরাতে একই বিছানায় শ্যালক ( ৩২) শাওন তাঁর আপন দুলাভাই জাফর সরদারের সাথে খোশগল্পে মসগুল থেকে রাত্রিযাপন করে। পরবর্তীতে গভীর রাতে সুযোগ বুঝে ঘুমন্ত অবস্হায় শিলপাটা দিয়ে দুলাভাই জাফর সরদারের মাথায় উপর্যুপরি আঘাতে রক্তাক্ত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যাকারী জাফরের বিক্ষিপ্ত আঘাতে মাথার খুলি থেতলে মগজ বের হয়ে যায়। স্হানীয় প্রতিবেশীরা ধারণা করছেন পূর্ব শত্রুতার জের এই হত্যা কান্ড ঘটতে পারে।

চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের সংবাদ চাউর হয়ে গেলে হত্যাকারি শাওনকে স্হানীয়রা পাকড়াও করে গাছের সাথে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে তাত্ক্ষণিক ভাবে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব ওবায়দুল হক তার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্হলে হাজির হন। অতঃপর আসামী গ্রেফতার করে সখিপুর থানায় নিয়ে আসেন।

ধৃত আসামি শাওনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে ! মৃত জাফর সরদারের লাশ থানা কম্পাউন্ডে সংরক্ষিত করা আছে। মৃতের আপন বড় ভাই এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য থানা কতৃপক্ষ জেলা হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকাবাসী নির্মম হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত সহ সুবিচার দাবী করছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম