সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার: সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম, পিপিএম পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব তৌছিফ আহমদে স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নিম্নবর্ণিত ১০৩ জন কর্মকর্তার অনুকূলে প্রদানকৃত বাংলাদেশ পুলিশ পদক-২০১৮ এর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)/বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)/রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)/রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো।

পদক প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

জনপ্রশাসন সচিব পদে আসছে যাদের নাম

অনলাইন ডেস্ক॥প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ হলো জনপ্রশাসন সচিবের পদ। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে ফাঁকা রয়েছে এই পদটি। গুরুত্বপূর্ণ এমন পদ ফাঁকা থাকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। জানা গেছে, নানা জটিলতায় সরকার এই পদে কাউকে নিয়োগ দিতে পারছে না। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেক্ষেত্রে এই নতুন জনপ্রশাসন সচিব পদে অধিষ্ঠ হতে বেশ কিছু আমলাদের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর নাম আলোচিত হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে অবসরে যাওয়া সিনিয়র সচিব মো. শামসুল আলমের নামও। এদের বাইরেও কেউ গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আসতে পারেন।

কেন এতদিন ফাঁকা রয়েছে জনপ্রশাসন সচিবের পদ?

একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর পছন্দের কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে ক্রমাগত চাপ, অন্যদিকে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য কর্মকর্তাকে নিয়োগের চ্যালেঞ্জ সরকারের সামনে। এসব চ্যালেঞ্জ উতরে জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকার পারছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিবের দায়িত্ব চালিয়ে আসা মো. মোখলেস উর রহমানকে গত ২১ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) হিসেবে বদলি করা হয়। নানা বিতর্কের মুখে তাকে এ পদ থেকে সরানো হয়।

এরপর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামান সচিবের রুটিন দায়িত্ব চালিয়ে আসছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন সচিবের পদ খালি হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পছন্দের কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে তদবিরে নামে। কাকে রেখে কাকে নিয়োগ দেবে, একদলের সুপারিশ রাখলে আবার আরেক দল মনঃক্ষুণ্ন হয় কি না- এমন দ্বিধায় পড়ে যায় সরকার।

এছাড়া জনপ্রশাসনের সব সচিব নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার চাইছে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও দক্ষ কাউকে নিয়োগ দিতে। কারণ এর আগে তড়িঘড়ি করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, বিতর্কের মুখে তাদের সরিয়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন ভুল আর করতে চায় না সরকার। তাই এ ক্ষেত্রে একটু সময় নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে সরকারের শীর্ষ মহল।

সচিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই। আমরা কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান