
নিজস্ব প্রতিবেদক
তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম বেশ ভালোভাবেই হাল আমলের তুরাগ থানা রাজনীতিতে একটি আলোচিত নাম। পতিত ফ্যাসিষ্ট আমলের ৪৭ টি মামলা এবং জেল জুলুমের পর আরিফের রাজনীতি এখন বেশ পোক্ত। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করা শিক্ষিত স্বজ্জন?ল আরিফ নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে যখন সামনে এগুতে চাচ্ছেন ঠিক তখনই পরিকল্পিত ভাবে তাকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে কতিপয় কর্মীহীন নেতারা। তাদের হয়ে নগর বিএনপির দুই জন শীর্ষ নেতার ইন্ধনের কথাও শোনা যায়। লক্ষ্য, আরিফ যাতে কোনভাবেই পদে আসতে না পারে।
জানাগেছে, চলতি মাসের ২ তারিখে তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় খালপাড় উত্তরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে, সেই সম্মেলনে সেবকদল নেতা আরিফ প্রায় ৬ শতাধিক লোকের বিশাল একটি মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন। তার মিছিলে এত জনবল দেখে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতারা তা সহ্য করতে পারেনি। এরপরই শুরু হয় আরিফের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার। অভিযোগ আনা হয়, পতিত আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের দলে নিয়ে বহর ভারি করছেন আরিফ। এই অভিযোগ টি এমন সময় আনা হয় যখন তুরাগ থানা সেবক দলের শীর্ষ দুই পদের একটিতে আরিফের থাকা প্রায় নিশ্চিত। থানার আহবায়ক দুলালের শীর্ষ পদে আসাটা নিশ্চিত হলেও, দলের জন্য ত্যাগ, আন্দোলনে হাত ভাঙ্গা মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণসহ সার্বিক বিবেচনায় পরের সদস্য সচিব পদটি আরিফেরই প্রাপ্য। এমন পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায় মুল দল বিএনপির কিছু নেতা অখ্যাত একজন নেতাকে পদ পাইয়ে দিতে সামনে আনে। সেই নেতা ২০১৪ সালের পর বিএনপি ছেড়ে দেয়। গেল ১০ বছর জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে নিজেকে বিএনপি থেকে সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ ছিলেন। ৫ আগষ্টের পর তিনি মোটা অংক বিলিয়ে আবার সরব হন দলে। তুরাগের ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী ফরিদ আহমেদ এর ভাতিজা এ নেতা এখন আরিফের জায়গাটা পেতে চায়। তাকে নিয়ে ক্ষোভ আছে দলেও।
তুরাগ থানা সেবক দলের একটি সূত্র জানায়, আরিফ শিক্ষিত ও স্মার্ট, দক্ষ সংগঠক এবং সংগ্রামী ছেলে। তার পদে আসতে কোন সমস্যাও নাই, কিন্তু তুরাগ থেকে এত বড় মিছিল বের করে আনা আরিফ এস এম জাহাঙ্গীরের ব্লকে রাজনীতি করে এটাতেই যত আপত্তি। নগর বিএনপির সদস্য সচিব আরিফের জায়গায় জাহাঙ্গীরকে পদে আনতে জোর তদবির করছেন। এজন্য সামনে থাকা আরিফকে পেছনে ঠেলার জন্যই এত বির্তক। সূত্রটি আরো জানায়, বাউনিয়াসহ তুরাগের বিএনপি ঘোনা যেত, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন তুরাগে এতটাই ভঙ্গুর ছিলো যে, নেতারাই পদের পরিচয় দিতো না। মুল দল বিএনপিও কোনদিন তার দলের নেতাদের কখনোই এক জায়গায় নিয়ে বসতে পারেনি। এখন আরিফ বড় মিছিল আনছে, এটা তার দোষ হলে, বিএনপি নেতাদের বড় মিছিল কি তাহলে ফুলের মালা পাওয়ার যোগ্য? এখন উত্তরা বিএনপিতে যারা বড় বড় মিছিল আনছে তার ৯৫ শতাংশ পতিত আওয়ামী লীগের সাথেও মিছিলে যেতো। আছে অনেক পদধারি আওয়ামী লীগও।
বড় মিছিলের বিষয়ে সেবক দল নেতা আরিফ বলেন, বড় মিছিল আমি নিতে পারি এটা সত্য, কিন্তু বড় মিছিল কি আর কেহ করে না? তবে পদধারি কোন আওয়ামী লীগারকে আমি দলে ভিড়িয়েছি এটার প্রমান কেহ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো।
এছাড়া তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভার দিন আমার মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া হিরাকে বলা হয়েছে সে ৫২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা। হিরা ২০১০ সালের আগে থেকে আমার সাথে ছাত্রদল করতো তারপর ২০১৮ সালে ৫২ নং ওয়ার্ড যুবদলের প্রতিষ্ঠা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, তুরাগ থানা যুবদলের সদস্য নির্বাচিত হয় এবং ২০২২ সালে ৫২ং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিল।
কিছু নেতার অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি আরো বলেন, আমার ব্যবসা পার্টনার সাকিব কোন রাজনীতি করে না, তাকে বলা হয়েছে আওয়ামী কাউন্সিলর প্রার্থী। সেলিম এবং প্রিন্স নামের ২ জনকে ছাত্র লীগ বলা হয়েছে, তারা আমার সাথে ২০১৬ সাল থেকে ছাত্রদল করতো। খলিল নামে একজন কে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বলা হয়েছে, সে ২০২২ সালে তুরাগ থানা কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পদে আছে।