রোজা রাখার ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা

স্টাফ রিপোর্টার:

রমজান মাসে রোজা রাখার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বের পাশাপাশি অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে শরীরকে খাবার থেকে বিরতি দেওয়া হয়। যা আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই পবিত্র মাসে রোজা রাখলে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয় উভয় অর্জন করা যায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

রোজা রাখার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের উৎপাদন হ্রাস করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা অসুস্থতা এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজা অন্ত্রের আস্তরণকে শক্তিশালী করে। এটি অটোফ্যাজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকারক এবং ক্ষতিগ্রস্ত উপাদান থেকে কোষকে পরিষ্কার করে।

ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

রোজা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রোজার সময় শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজের ওপর নির্ভর করলে শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত হয়। গবেষণা অনুসারে, রমজান মাসে রোজা রাখার ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।

ওজন কমায়

ওজন কমানোর জন্য রোজা একটি দুর্দান্ত উপায়। সাহরি ও ইফতারে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে এই মাসে ওজন কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে রমজান মাস ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়েও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রলোভন এড়াতে হবে।

হৃদরোগের জন্য ভালো

রোজা রাখলে তা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, যা প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে। তবে যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে তাদের রোজা শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে

রোজা রাখার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে একটি হলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উন্নতি। রমজান মাসে মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর (BDNF) উৎপাদন বেশ বৃদ্ধি পায়। BDNF হলো একটি প্রোটিন যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করে। এটি স্মৃতিশক্তি, শেখা এবং মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে।

প্রতিদিন ১১১ মিনিট হাঁটলে আয়ু বাড়বে ১১ বছর!

স্টাফ রিপোর্টার:

হাঁটাহাঁটি শরীরচর্চার অন্যতম অংশ। প্রতিদিন হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী- এটা সবারই জানা। বিশেষজ্ঞরাও এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এবার এই কথাতেই সিলমোহর দিলেন গবেষকরা। সারাদিনে সকালে ও বিকেলে ভাগ করে মোট ১১১ মিনিট অর্থাৎ প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা হাঁটতে হবে। তবেই প্রকৃত উপকার মিলবে।

সকালে বা বিকেলে যেকোনো সময়ই হাঁটতে বের হন। এটি স্বাস্থ্য সচেতনদের অন্যতম হাতিয়ার। জেন-জি প্রজন্মের অনেকেই এখন এই রুটিনে চলছেন। তবে শুধু হাটলেই হবে না। একে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাঁধতে হবে। অর্থাত্ অস্ট্রেলিয়ার করা এই গবেষণায় বলা হয়, হেঁটে আয়ু বাড়াতে গেলে হাঁটতে হবে সময় ধরে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণা শেষে গবেষকরা জানান, প্রতিদিন অন্তত ১১১ মিনিট হাটলে ১১ বছর আয়ু বেড়ে যেতে পারে।

বিখ্যাত বিজ্ঞানপত্রিকা ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’-এ কুইন্সল্যান্ডের গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির গবেষণাপত্রে সম্প্রতি এটি প্রকাশিত হয়। বিগত ১০ বছর ধরে ৩৬ হাজার চল্লিশোর্ধ্ব মার্কিন নাগরিকের উপর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের করা স্টাডিতে এই তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, গড়ে ১১১ মিনিট যারা প্রতিদিন হাঁটেন তারা, হাঁটাহাঁটি না-করা ব্যক্তিদের তুলনায় বেঁচে থাকার সময়সীমা প্রায় ১১ বছর বেশি। হাঁটায় কায়িক পরিশ্রম হয়। যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রফেসর লেনার্ট ভিরম্যান জানান, যারা সুস্থ থেকেও হাঁটাহাঁটি করেন না, তারা ভয়াবহ রোগের তুলনায় কোনও অংশে কম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না। যারা কমপক্ষে ১১১ মিনিট হাঁটেন তাদের আয়ু অন্যদের চেয়ে প্রায় ১১ বছর বেশি থাকে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস জানান, নিয়ম করে ১১১ মিনিট দ্রুত হাঁটা খুবই ভালো অভ্যাস। এটি শরীর ও মন ভালো রাখে। কারণ টানা জোরে হাঁটলে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে বিটা-এন্ডরফিন নামে একটি প্রোটিনের ক্ষরণ হয়। এই রাসায়নিকটিকে হ্যাপি হরমোন বলা হয়। যা স্ট্রেস কমায়। ব্যথার উপশম করে। শরীর-মন চাঙ্গা করে। স্ট্রেস কমায়।

গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন ২৫০০ স্টেপ ও ২৭০০ স্টেপ যারা হাঁটেন, তাদের হৃদরোগে মৃত্যুর আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে কমপক্ষে যথাক্রমে ৮% ও ১১% কম থাকে। প্রতিদিন ৭০০০ স্টেপ ও ৯০০০ স্টেপ হাঁটলে সেই আশঙ্কা যথাক্রমে ৫১% ও ৬০% কমে যায়। প্রতি ১০০০ স্টেপ বা ১০ মিনিট করে অতিরিক্ত হাঁটলে ক্রমাগত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়। তাই ১১১ মিনিট হাঁটার নিয়ম করলে ১১ বছর আয়ু বেড়ে যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন