বিএনপির সন্ত্রাসীরা আ‘লীগের তাণ্ডবকে হার মানিয়েছে: জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে জামায়াতে ইসলামীর নারী নেত্রীদের ওপর হামলা করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াত।

সোমবার (১০ মার্চ) জামায়তে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতিতে বলেছেন, জামায়াতের নারী নেত্রীদের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসীদের এ ন্যক্কারজনক হামলা ৫ আগস্ট পূর্ব আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের তাণ্ডবকেও হার মানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত রোববার মহেশপুর উপজেলা বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের কুল্লোপাড়া গ্রামের স্থানীয় নারীদের নিয়ে বিশ্ব নারী দিবসের আলোচনা সভা ছিল জামায়াতের। এসময় ওই এলাকার বিএনপির সন্ত্রাসী আল আমিন, ঝুমুর, সাহেব, সোহেল ও আশরাফুল হাতুড়ি, কাঁচি ও বাঁশের লাঠি নিয়ে জামায়াতের নেত্রী হাসিনা খাতুনসহ অন্যান্য নারীদের ওপর হামলা করে এবং গালিগালাজ করে। এসময় সালেহা বেগম নামে একজনকে বাঁশ আঘাত করা হয়। এছাড়া আল আমিন, সাহেব ও সোহেল হাসিনা খাতুনের সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়।

নারী লাঞ্ছনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে জামায়াত। ভারতীয় কূটনীতিকের বক্তব্যেরে নিন্দা পৃথক বিবৃতিতে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গোলাম পরওয়ার। ‘জামায়াতে ইসলামী আইএসআইর বাহক ছিল এবং দলটি (জামায়াত) পাকিস্তানের প্রভাবের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে’- বীণা সিক্রির এ বক্তব্যের নিন্দা করে গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।

‘জামায়াত সংবিধানকে সর্বোচ্চ দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না এবং ছাত্রশিবির অস্ত্র লুট করেছিল ও এসব অস্ত্র এখনো ব্যক্তিগত হাতে রয়েছে’- এ বক্তব্যকে মিথ্যা ও কাল্পনিক বলে আখ্যা দিয়েছে জামায়াত।

 

কোকোকে নিয়ে গর্বিত বড় ভাই তারেক রহমান: “তার মধ্যে ছিল একজন আদর্শ ভাইয়ের সব গুণ

মোঃ বিজয় চৌধুরী:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “একজন বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইয়ের জন্য গর্ববোধ করার মতো যে সব গুণ থাকা উচিত, তার সবকটিই আমি আমার ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মাঝে দেখেছি।”

সোমবার (১৯ মে) রাতে লন্ডনের একটি অভিজাত ভেন্যুতে আয়োজিত ‘আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, “আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, আর কোকো খেলাধুলা ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে দেশের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। সে কখনো সামনে এসে নিজের কাজ প্রচার করেনি, কিন্তু নীরবে-নিভৃতেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছে। তার সেই নিঃস্বার্থ অবদান আজও অনেকেই স্মরণ করেন। কোকো যেমন একজন সৎ, বিনয়ী এবং দায়িত্বশীল মানুষ ছিল, তেমনি তার ভিতরে ছিল এক অসাধারণ দেশপ্রেম।”

তিনি আরও বলেন, “আজ এই অনুষ্ঠানে যারা কোকোকে নিয়ে কথা বলেছেন, তাদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায়—কোকো তার জীবনে কিছু না কিছু ভালো কাজ করে গেছেন, যা মানুষ এখনো মনে রেখেছে। একজন বড় ভাই হিসেবে এই সত্যিই আমার জন্য গর্বের।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরাফাত রহমান কোকোর খেলাধুলা বিষয়ক উদ্যোগ, বিশেষ করে ক্রিকেট ও ফুটবলের উন্নয়নে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, প্রয়াত কোকো নিঃস্বার্থভাবে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে কাজ করেছেন, যা আজও প্রেরণা হয়ে আছে।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তারেক রহমান। সেই সময়ও তিনি ভাইকে স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম