দুদকের ৪ মামলার আসামি ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুদকের চার মামলার আসামি সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান আগামী ১৪ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে ব্রিফ করার জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি বিরোধী সমন্বয় কমিটির ড. মো. জোবাইর আলম।

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৪ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার সফর করবেন এবং দুপুরে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করবেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে ব্রিফ করার জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করেছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সিএএবির প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান।

এনসিপি কেন নির্বাচনের দাবি তুলছে না, প্রশ্ন প্রিন্সেরএনসিপি কেন নির্বাচনের দাবি তুলছে না, প্রশ্ন প্রিন্সের
হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চারটি দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক (যার নং (ক)৮২/২০২৫, (খ)৮৩/২০২৫, (গ)৮৪/২০২৫, (ঘ)৮৫/২০২৫)। এসব মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, সাবেক যুগ্ম সচিব জনেদ্রনাথ সরকার, বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, এরোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আনাম ও এরোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক লুৎফুল্লাহ মাজেদ।

চিঠিতে বলা হয়, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং মহিবুল হকের সাথে হাবিবুর রহমানের গভীর সম্পর্ক ইতিমধ্যে জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে। দুর্নীতির মামলা আসামি কীভাবে প্রধান উপদেষ্টার মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে প্রেজেন্টেশন দিতে পারে? এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয় চিঠিতে।

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

চেক প্রতারণার অভিযোগের মামলায় অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুস্তাফা রেজা নূর এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে আগামী ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তোফাজ্জল হোসেন নামক একজন বেসরকারি চাকরিজীবী আলেশা মার্ট থেকে একটি মোটরসাইকেল কেনেন। কিন্তু সেটি যথাসময়ে না দেওয়ায় এক লাখ ৬৩ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ৭ সেপ্টেম্বর আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে আবদুল্লাহ আল আমুন নামের একজন গ্রাহক আদালতে মামলা করেন। মামলায় দাবি করা হয়, আলেশা মার্ট থেকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য গত জুন মাসে তিনি ক্রয়াদেশ দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য না পাওয়ায় তিনি অভিযোগ করেন। পরে আলেশা মার্টের পক্ষ থেকে চার লাখ টাকার দুটি চেক আবদুল্লাহ আল মামুন বরাবর ইস্যু করা হয়। তবে চেকের বিপরীতে ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা না থাকায় তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে তিনি বাদী হয়ে মামলা করেন।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম