টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার:

নড়াইলে ঋণের টাকা তুলে না দেওয়ার কারণে স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৫) গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে ভ্যানচালক স্বামী মাজারুল বিশ্বাস। আহত অবস্থায় রেহেনা বেগম কে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮মার্চ) দুপুরের দিকে নড়াইলের সীমান্তবর্তী মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

হাসপাতালে আহতের স্বজন ইয়াসিন মুনসী জানান, স্থানীয় সমিতির কাছে ১ লাখ টাকা ঋণ থাকা অবস্থায় ও রেহেনার স্বামী মাজারুল বিশ্বাস আবারও তাকে সমিতি থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ এনে দিতে চাপ দেয়। এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাজারুল রেহেনা বেগম কে চেয়ার থেকে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেন। এরপর পায়ে চেপে ধরে গলায় ছুরি চালান। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে আসলে মাজারুল পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা আহত অবস্থায় রেহেনা বেগম কে উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে আসে।

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে সহকারী সার্জন ডা. সোহেলী জামান বলেন, রেহেনা বেগম কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আশঙ্কা মুক্ত আছেন।

শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওলি মিয়া বুধবার(১৯মার্চ) সকালে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

ভেজাল অস্বাস্থ্যকর খাদ্য তৈরির কারখানা মিরপুরের মর্নিং বেকারী!

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর কাফরুল থানার মিরপুর ১৩ নম্বর বাইশটেকিতে মর্নিং বেকারীতে তৈরির হচ্ছে অস্বাস্হ্যকর বিভিন্ন ধরনে খাবার। সেই খাবার খেয়ে অসুস্হ হয়ে পড়ছে শিশুসহ নানা বয়সের লোকজন। অভিযোগে জানা গেছে, ওই কারখানার সঠিক কোন সরকারি কাগজ পত্র নাই। বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে মনিং বেকারীটি। স্হানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, অস্বাস্হ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করে বাজারজাত করেছে। এই সব খাবারের উপরে নির্ভর করে বেশির ভাগ শিশু। তাই খাদ্যর উপরে করা নজরদারি রাখছে সরকার।
কিন্ত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোন নিয়ম, পরিবেশ, খাদ্যর মান পরিপূর্ণ ভাবে সম্পূর্ন না করেই বাজার জাত করছে পন্য।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,
পন্যর মোরগের গায়ে মেয়াদ উৎপাদনের তারিখ নেই, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার নেই, হলমার্ক সিল নেই। ট্রেডলাইসেন্স দেখতে চাইলে না রাজ।
পরিবেশ ছারপত্র দেখতে চাইলে সেখানেও নাটক করে।
আয়কর প্রত্যায়ন পত্র কাগজ দেখতে চাইলে বিভিন্ন বাহানা।
বেকারীর মালিক তোফাজ্জল কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে বি এস টি আই এর অনুমোদন একটু দেখান, সেখানেও নানা রকম বাহানা।
সর্বশেষ তারা ফায়ারের একটা ফটোকপি বাহিরে ঝুলিয়ে রাখা হয় সেটা দেখায়।
যখন মূল বেকারীর ভিতরে প্রবেশ করি গুনগত মান দেখার জন্য, তখন দেখা যায়, বর্জ্য আবরজনা,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বেকারীর পন্য তৈরীতে ভোজ্য তৈল হিসেবে ব্যবহার করা হয় বাজারের ভেজাল জাতীয় নোংরা অবস্থায় রাখা ডালডা। পরিত্যক্ত অবস্থায় আটা যা একসাথে সিস্ধ করে রেখে দেয়, তাতে পোকা মাছি পরতে দেখা যায়। স্বাস্থ্যবিধের তথ্য অনুযায়ী
এই অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খেলে জনগন অসুস্থ হয়ে যাবে।বেকারীর কতৃপক্ষ কে জিজ্ঞাসা বাদ করলে তারা সাংবাদিক কে আক্রমণ করতে চায়। এবং হেনস্থা করে। বলে আপনারা তথ্য নিচ্ছেন বলেই, আপনাদের তথ্য পেয়ে মোবাইল কোর্ট এসে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম