ছাত্রদল নেত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার:

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরীন উর্মিকে ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ওই নেত্রীর ফেসবুকের ইনবক্সে এই হুমকি দিয়ে একাধিক মেসেজ পাঠানো হয়। পাশাপাশি তার ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিও করা হয়েছে। এ ছাত্রদলের এই নেত্রী ওইদিন রাতেই রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

জিডিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। জিডিতে উর্মি তার ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন।

ছাত্রদল নেত্রী উর্মি বলেন, নারীরা সব সময়ই অনলাইনে-অফলাইনে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারটি অত্যন্ত জঘন্য ও সীমা ছাড়িয়েছে।

ছাত্রলীগ আমার ওপর যে নিমর্মতা চালিয়েছে, সেটিকে জাস্টিফাই করে এবং সেই ঘটনাকে আরও নোংরা করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতরা সবাই এনসিপি ও তাদের প্ল্যাটফর্মের।

তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্যের সঙ্গে তারা একমত না-ই হতে পারে। তাদের ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক সমালোচনা রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করা উচিত। রাজনৈতিক চর্চায় আমরা এ ধরনের আচরণ কামনা করি না। এতে মানুষ রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা হারাবে, সম্মান হারাবে; মানুষ রাজনীতি বিমুখ হয়ে যাবে।’

জানা গেছে, এনসিপির কেন্দ্রীয় ও বরিশাল মহানগর নেতাদের সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কিত ঘটনার সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেন উর্মি। এই পোস্ট দেওয়ার পরই ফেসবুকের কমেন্ট ও ইনবক্সে তাকে ব্যক্তিগতভাবে ক্রমাগত আক্রমণ করা হয়। ঘটনার তার পোস্টের কমেন্টে ‘সজীব সরকার’ ও ‘মোহন হোসেন রিজওয়ান’ নামের দুটি আইডি থেকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করার পাশাপাশি ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।

উর্মির দাবি, সজীব সরদার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনসিপি নেতা ও মোহন হোসেন রিজনও এনসিপির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন উর্মি। তাছাড়া জিডিতে রাফি আহমেদ, শহীদুল ইসলাম শহীদ ও মইনুল ইসলামের নাম জিডিতে উল্লেখ রয়েছে। এদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম শহীদ ও মইনুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

এদিকে উর্মির দাবি, তার পোস্টের পরই ইনবক্সে নানা রকম হুমকি আসতে থাকে। পাশাপাশি এনসিপি নেতাদের সমালোচনা করে আগের পোস্টটি সরিয়ে নিতে বলা হয়।

এরমধ্যে রাফি আহমেদ নামের একটি প্রোফাইল থেকে ইনবক্সে ‘রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে টানা তিন দিন ধর্ষণের পর নগ্ন ডেডবডি ৩০০ ফিট রাস্তায় ফেলে রাখার’ হুমকি দেওয়া হয়। এই হুমকির স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে ফেসবুকে আবারও একটি পোস্ট দেন ছাত্রদলের এই নেতা।

ঢাকা দক্ষিণে কদমতলী স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায় ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে
কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের
সদস্য সচিব মতিউর রহমান পাটোয়ারী ( দিলু) নেত্রীত্বে কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগে বাবার কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে গাড়িবহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী এবং তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশান আরা রত্না সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দদের আহত এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে নির্মম ভাবে হত্যার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদার এর দিকনির্দেশনায়,
কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সংগ্রামী সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিন,যুগ্ম সম্পাদক হাসান আলী, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পলাশ, কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নাসির মাহমুদ, সদস্য সচিব মতিউর রহমান পাটোয়ারী (দিলু), অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক রাজন মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক হিরন বেপারী, থানার সদস্য সঞ্জয়, ৫২ নং ওয়ার্ড সদস্য সচিব কাউসার আহমেদ, ৫৩ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক জুবায়ের আলম সুমন, সদস্য সচিব আল-আমীন হীরা, ৫৮ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন, ৫৯ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক রাসেল, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ৬০ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, সদস্য সচিব মকবুল হোসেন, ৬১ নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক নিজাম হাওলাদার, সদস্য সচিব সায়েম হোসেন সহ যুগ্ম আহ্বায়ক বৃন্দ।
স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী তোলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম