সস্তার যেসব খাবারে ভালো থাকে কিডনি

স্টাফ রিপোর্টার:

কিডনি হলো দেহের ছাঁকনি। এই অঙ্গটির মাধ্যমেই রেচন কার্য সম্পূর্ণ হয়। কিডনি ক্ষতিকারক সব পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়। এটাই এর মূল কাজ। এছাড়া এই অঙ্গটি বিভিন্ন হরমোন তৈরি করে। সেই হরমোন দেহের নানাবিধ কাজে অংশগ্রহণ করে।

আবার ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে কিডনি। তবে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারের মতো অসুখ এবং মানুষের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসের ভুলত্রুটি কিডনিকে সমস্যায় ফেলছে। হচ্ছে কঠিন কিছু অসুখ। এই তালিকায় ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি রয়েছে।

তাই গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটিকে বিভিন্ন অসুখ থেকে বাঁচতে অবশ্যই সস্তার খাবারগুলো পাতে রাখতেই হবে। চলুন তবে জেনে আসি সেই খাবারগুলো সম্পর্কে।

পর্যাপ্ত পানি পান

আমরা গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বাস করি। তাই এপ্রিল পড়তেই ঘরের বাইরে পা দিলে গলদঘর্ম অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করেন, তাহলে গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি কিডনির ক্ষতি হয়। তাই এই সময় পানি পান বাড়ান।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলেই কিডনি নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে। এক্ষেত্রে দিনে অন্ততপক্ষে তিন লিটার পানি পান করুন। পানি জাতীয় ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

মিষ্টি আলু

আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিষ্টি আলু চাষ হয়। বাজারে দামেও সস্তা। সস্তা হলেও এই আলুর কিন্তু অনেক গুণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি আলু খেলে সুগার বাড়ে না। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও চাইলে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। তাই কিডনি সুস্থ থাকে। তবে ইতোমধ্যে যদি আপনি কিডনির সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে মিষ্টি আলু কম পরিমাণে খান।

সবুজ শাক-পাতা

আমাদের শস্য শ্যামলা বাঙলা। এখানে শাকের কোনো অভাব নেই। গ্রামে তো এখনো বাড়ির পাশেই শাক পাওয়া যায়। শহরে সেই সুযোগ না থাকলেও এক পা বেরোলেই শাক কিনতে পারবেন। এই শাকপাতা শরীরের জন্য উপকারী।

বিশেষ করে পালং শাক, ডাটা শাক, কলমি শাকসহ যত ধরনের সবুজ শাক রয়েছে, সেগুলো কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এসব শাকে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা কিডনিকে সুস্থ রাখে। তাই নিয়মিত শাকপাতা থাকুক ডায়েটে।

প্রতিদিন একটা আপেল

প্রতিদিন আপেল খেতে পারেন । আপেল স্বাস্থ্যকর। এতে রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান কিডনি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। ব্লাড সুগার লেভেল এবং কোলেস্টেরলও কমায়। তাই প্রতিদিন একটা আপেল খেতেই পারেন।

আরও যা খেতে পারেন

এছাড়া খেতে পারেন ফ্যাটি ফিশ। সাধারণত বিদেশি সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি থাকে। এই ফ্যাট কিন্তু কিডনি সুস্থ রাখে। বাজারে নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে টুনা, সার্ডিন, স্যামলন খেতে পারেন।

এছাড়া বিদেশি বেরি জাতীয় ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনির জন্য উপকারী। তাই এই ফলও খাওয়া যায়। তবে এ সব খাবারের দাম বড্ড বেশি। তাই পকেট সায় দিলে তবেই এদিকে হাত বাড়ান। নইলে সস্তার শাকপাতা, মিষ্টি আলু আর পানিতেই ভরসা রাখুন।

৪০ এর পর নারীকে খেতে হবে যেসব খাবার

স্টাফ রিপোর্টার:

৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীরা বেশিরভাগ সময়েই ক্লান্ত বোধ করেন, হাড়ে ব্যথা হয়, হঠাৎ ঘুম থেকে ওঠার পর মাঝে মাঝে মাথা ঘোরা অনুভব করেন, অথবা চোখের নিচে কালো দাগ দেখা যায়। অলিম্পিক স্পোর্টস নিউট্রিশনিস্ট রায়ান ফার্নান্দোর মতে, এগুলো কেবল ক্লান্তির লক্ষণ নয় বরং পুষ্টির ঘাটতির ইঙ্গিতও দিতে পারে।

ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে নারীদের রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন যে যদি আপনি উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তাহলে আপনার শরীরে তিনটি মূল পুষ্টির অভাব হতে পারে – আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি১২। বিশেষজ্ঞের মতে, এই তিনটি একটি দলের মতো কাজ করে এবং যখন একটি কম থাকে, তখন অন্যগুলোও লড়াই করে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের কথা জেনে নিন-

আয়রন

যুক্তরাজ্যের NHS (জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা) অনুসারে, শরীরে অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ। আয়রের অভাব আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করতে পারে। শরীরে আয়রনের মাত্রা কম থাকলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, শরীরের ১৮ মিলিগ্রাম আয়রনের প্রয়োজন যা অর্গান মিট, পালং শাক এবং মুষ্টিমেয় বাদামের মতো খাবার থেকে পাওয়া যায়।

ফোলেট

ফোলেট ছাড়া শরীর সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না বা সঠিকভাবে আয়রন শোষণ করতে পারে না। ফোলেটের জন্য প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা প্রয়োজন যা কেবল একটি বিটরুট, একটি কমলালেবু বা এক কাপ রান্না করা ব্রকলি থেকে পাওয়া যেতে পারে।

ভিটামিন বি১২

হার্ভার্ড হেলথের মতে, ভিটামিন বি১২ মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু সুস্থ রাখার জন্য এবং ডিএনএ ও লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য অপরিহার্য। বি১২ হোমোসিস্টিনের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে, যা একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি ডিমেনশিয়া, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অস্টিওপোরোসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞ আরও বলেন যে, ভিটামিন বি১২ ফোলেট আনলক করার জন্য অপরিহার্য যাতে এটিতা শরীর কাজে লাগাতে পারে। দুধ, মাছ বা শক্তিশালী খাবার থেকে ২.৬ এমসিজি ভিটামিন বি১২ পেতে পারেন।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম