চট্টগ্রাম বন সংরক্ষকের সরকারি বাসভবনে গভীর রাতে রহস্যময়ী নারীর অবস্থান নিয়ে তোলগড়

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ বন বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের নন্দকানন বন পাহাড়স্থ সরকারি বাসভবনে একজন রহস্যময়ী নারীর গভীর রাতে আনাগোনার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের ছাত্র জীবন থেকে নারীলিপ্সুতার বিভিন্ন অভিযোগ সরেজমিন অনুসন্ধান কালে এ প্রতিবেদকের গোচরীভূত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চট্টগ্রাম বন সংরক্ষকের সরকারি বাসভবনে কর্মরত বনকর্মী জানান গত ৫ আগস্ট এর পর থেকে সপ্তাহে প্রায় ২/৩ দিন মধ্যবয়সী একজন সুন্দরী মহিলা রাত ১০ টার পর এই বাংলোতে আসেন এবং ভোর ৫টার দিকে তিনি লাল রঙ্গের একটি প্রাইভেট কার নিয়ে বেরিয়ে যান। গভীর রাতের এই ৬/৭ ঘন্টা সময় ঐ রহস্যময়ী নারী বন সংরক্ষকের বাংলাতে অবস্থান করেন। বাংলাতে বন সংরক্ষক রেজাউল করিম একাই অবস্থান করেন। তার পরিবার ঢাকাতেই বসবাস করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ঐ বন কর্মী জানান তাকে সিএফ রেজাউল করিম বলেছেন রাতে আগত ঐ মহিলা নাকি নারী সমন্বয়কারী। তাকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনবিভাগের সার্বিক খবরাখবর উপরের নির্দেশে দিতে হয়। এ বিষয়টি সমগ্র চট্টগ্রাম বন সার্কেলে কর্মরতদের এখন মুখরোচক আলোচনায় পরিণত হয়েছে। সবাই রহস্যময়ী এই নারীকে মোল্লা রেজাউল করিমের গার্লফ্রেন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। গভীর রাতে বাংলোতে ৬-৭ ঘন্টা অবস্থানকালে সেখানে অবৈধ যৌন সম্পর্ক ছাড়া আর কিছু হতে পারে না বলেও অনেকের অভিমত।
প্রাপ্ত তথ্য মতে এই বন সংরক্ষকের বিরুদ্ধে আরো কিছু নারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানিতে থিসিস করার সময় সৈয়দা আশরাফুন্নেসা নামী ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করে তাকে প্রেগন্যান্ট ও পরবর্তীতে এ্যবায়শন করান তিনি। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে আশরাফন্নেসার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। প্রতারিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তাকে খুঁজতে কয়েক দফা তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা থানাধীন বাগমারা গ্রামে গিয়ে তার অভিভাবকদের জানালেও কোন ফল হয়নি। উপরোন্ত মোল্লা রেজাউল তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় সে আর বেশি দূর এগোতে পারেনি। প্রতারিত আশরাফুন্নেসা বর্তমানে রাজধানী ঢাকার একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল। তিনি এ পর্যন্ত কাউকে বিয়েও করেননি। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সৈয়দা আশরাফুন্নেসা জানান মোল্লা একটা নারীলিপ্সু ও প্রতারক শুধু আমার সাথে নয় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার সমাজসেবা অফিসার হিসেবে চাকরি করা কালীন ঐ অফিসের সুন্দরী করনিককেও ব্ল্যাকমেইল করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে প্রতিটি কর্মস্থলেই তার বিরুদ্ধে এহেন নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ পাওয়া যাবে। এ সকল বিষয়ে মোল্লার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন পলি ও জানেন। জানলেও তার করার কিছু নেই। কারণ বান্না ও তানহা নামের ২টি ছেলের মা তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই শুরু হয় দৈহিক নির্যাতন। প্রতারিত আশরাফুন্নেসা চট্টগ্রাম বাংলোতে নিশিরাতে গাড়ি নিয়ে সুন্দরী মহিলার আনাগোনার বিষয়টি ও জানেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন লম্পট কোনদিনও ভালো হয় না। আল্লাহ পাক তার বিচার করবেন।

ছাত্রলীগ নেত্রী ও যুবলীগ নেতার প্রতারণা-জালিয়াতির শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার:
এক নারী ছাত্রলীগ নেত্রী ও যুবলীগ নেতার প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, নির্যাতন এবং দুর্নীতির শিকার হয়ে নিজের জীবন পেশা ও আত্মমর্যাদা বিপর্যস্ত হওয়ার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেশের নাক, কান, গলা রোগের বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. সালেহ উদ্দিন সাঈদ। আজ বেলা ১২ টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ এক রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ডা. সালেহ উদ্দিন মহাখালীস্থ জাতীয় ক‍্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নাক, কান ও গলা রোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব‍্য ও জালিয়াতির প্রমাণাদি স্লাইড প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। এসময় বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জনাব ইকতেদার আহমেদ এবং ঘটনার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হিসেবে একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ডা. সালেহ উদ্দিন সাঈদ বলেন, ১৯৮৮ সালের ৩ জুন অত্যন্ত ধুরুন্ধর অর্থ লিপ্সু হাসিনা মমতাজ নামক এক নারীর সাথে আমার বিয়ে হয়। ওই নারী কাবিন নামায় তার প্রকৃত নাম গোপন করে লিখেছিলেন মমতাজ বেগম। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল এটা ছিল এক গভীর চক্রান্ত ও প্রতারণার কৌশল। বিয়ের বহুদিন পর তার আসল চরিত্র ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, ২০০৩ সালে আমি ঢাকায় আমার ফ্ল্যাট বাসা ( ফ্লাট ২ বি, হাউস নং ২৮, রোড নং ১৫, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা ১২০৯) বন্ধক রেখে ব্যাংক লোন এবং নানাভাবে ধার দেনা করে চট্টগ্রামের ১৬, আগ্রাবাদে ‘দাল্লা মেডিকেল সেন্টার’ নামে আমার নিজস্ব ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠিত করি। আমি যেহেতু বিএনপি’র রাজনীতি সমর্থন করি তাই, ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান, তৎকালিন খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এমপি উপস্থিত থেকে সেই মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধন করেছিলেন। আমি একা ঋণ ও ধার দেনা করে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও সেখানে আমার সাবেক স্ত্রী এবং তার ভাইকেও অংশীদারীত্ব দান করি। পরবর্তীতে তাদের ভাই-বোনের যৌথ প্রতারণা, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং একজন বিদেশী নাগরিকের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়ার পর ২০১১ সালে আমি উক্ত নারীর সাথে আইনগতভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করি। যার ফলশ্রুতিতে তারা দুজনে মিলে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে অন‍্যায়ভাবে আমার প্রতিষ্ঠানটি দখল করে নেয়। আমি নগদ এবং চেকের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দাল্লা মেডিকেল সেন্টারের সকল যন্ত্রপাতি ক্রয় করি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৬ সালে জোরপূর্বক আমার প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে তারা সেটার নামকরণ করে সানওয়ে মেডিকেল সেন্টার। পুর্বের সব যন্ত্রপাতি ও ফার্নিচার ঠিকঠাক থাকলেও জালিয়াতি করে শুধু প্রতিষ্ঠানটির ও শেয়ার হোল্ডারদের নাম পরিবর্তন করে ফেলা হয়।
ভুক্তভোগী সালেহ উদ্দিন আরও বলেন, আমি এবং আমার সাবেক স্ত্রীর যৌথ নামে একাউন্টের (স্ট্যন্ডার্ট চাটার্ট ব্যাংক) একটি চেক জালিয়াতির মামলায় শুধু আমাকে ফাঁসাতেই দুই জনের নামে পরিচালিত একাউন্ট এর বিপরীতে শুধু আমার নামেই মামলা দায়ের করে ফাঁসানো হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এই একাউন্ট খোলা হলেও ২০০১ সাল থেকে আমার ও হাসিনা মমতাজের দুই জনের যৌথনামে হিসাব ও লেনদেন পরিচালনা হয়ে আসছিলো। অথচ অবাক করা তথ্য হচ্ছে এখানে দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকার চেক ডিজ অনার মামলা উদ্দেশ্যমূলকভাবে শুধু আমার নামেই দেয়া হয়েছে। দুই জনের নামের ব্যাংক একাউন্টের মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শুধু সাজা হয়েছে আমার একার।
হাসিনা মমতাজ চক্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নাম-প্রভাব খাটিয়ে সরকারী সম্পত্তি জবর দখল করেছে মর্মে অভিযোগ উত্থাপন করে সালেহ উদ্দিন বলেন, ১৬ আগ্রাবাদ বানিজ্যিক এলাকায় মেসার্স এস.জে.এন্ড.জি ফজলে এলাহী এই ভবনটি সরকারি সম্পত্তি যা পাকিস্তানিদের পরিত্যাক্ত ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ছিলো। ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই ভবনটি হাসিনা মমতাজ ও ফরিদ আহমেদ গংরা লীজ নিয়ে ভাড়া দিয়ে চালালেও এখন তারা দলীল মুলে সরকারি এই সম্পত্তি নিজেদের মায়ের নামে কেনা বলে দাবি করছে। যদিও দীর্ঘ দিন তারা নিয়মিত মাসিক ভাড়া পরিশোধ করেই ভবনটি ব্যবহার করেছে। ১৯৭০ সালের ৩ জুলাই তারিখের একটি ভুয়া জাল দলিল তৈরি করে অন্যায়ভাবে এখন তারা এর মালিকানা দাবি করছে। এমনকি গণপুর্ত বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ভবন এবং জমির ভুয়া নামজারি করিয়ে খতিয়ানও তৈরি করে নিয়েছে তারা। নতুন করে ভবনের নাম দিয়েছে ফাতেমা হাইটস। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনও তাদের তদন্তও শুরু করেছে বলে তিনি জানান।
সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় এই চক্র তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা ও আন্দোলনরত ছাত্রদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে তাকে ডিবি কর্তৃক গ্রেফতার করিয়ে নির্যাতন চালান বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ কতিপয় প্রতারক চক্রের মুখোশ উন্মোচন করতে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই চক্রটি পতিত আওয়ামী লীগের সহযোগী হয়ে নানাভাবে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও নির্যাতনের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিকে নির্যাতন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জেল জুলুম করে আমাকে আমার পেশাগত কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আমি এর বিচার ও প্রতিকার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আইনগত বিষয়াদি তুলে ধরে বক্তব‍্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জনাব ইকতেদার আহমেদ। তিনি দোষী এই চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির দাবি জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান