৩৯৮ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি যাচ্ছেন প্রথম ফ্লাইট

স্টাফ রিপোর্টার:

সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা হলো প্রথম হজফ্লাইট। প্রথম এই ফ্লাইটে ৩৯৮ জন হজযাত্রী রয়েছেন।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশি হজযাত্রী বহনকারী প্রথম ফ্লাইট (এসভি-৩৮০৩) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন হজ ফ্লাইট-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন। এরপর উপদেষ্টা হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি হজযাত্রীদের সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান।

প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে চার হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুটি ফ্লাইট মদিনায় প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

এ বছর তিনটি এয়ারলাইন্স ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে এ দেশের হজযাত্রী পরিবহন করবে। বাংলাদেশ বিমান ১১৮টি প্রাক্‌-হজ ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন ও ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে।

আগামী ৩১ মে প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। আর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি মাধ্যমে এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন।

রমজানজুড়ে ৩ আমলে মিলবে ক্ষমা

স্টাফ রিপোর্টার: আসছে পবিত্র রমজান মাস। আর এ মাস মহান আল্লাহর রহমত পাবার মাস। তার কাছ থেকে ক্ষমা পাবার মাস। এ মাসের প্রতিটি ভাল কাজই নেক আমলে পরিণত হয়। কারণ কুরআন নাজিলের মাস বান্দাহকে গোনাহমুক্ত রাখতে মহান আল্লাহ তাআলা শয়তানকে বন্দি করে রাখেন। এ পবিত্র মাসে গোনাহ মাফের বিশেষ ৩টি আমল রয়েছে।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিগত জীবনের গোনাহ মাফের বিশেষ ৩টি আমলের কথা ঘোষণা করেছেন। তাহলো-

১. যথাযথভাবে রোজা রাখা

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে সিয়াম বা রোজা পালন করবে আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি)

২. তারাবিহ নামাজ পড়া

হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন; আর আমি তোমাদের উপর কিয়ামুল লাইল তথা তারাবিহ নামাজকে সুন্নাত করেছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে ক্বিয়ামুল লাইল (তারাবিহ-তাহাজ্জুদ) আদায় করবে আল্লাহ তাআলা তার বিগত জীবনের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি)

৩. লাইলাতুল কদরের ইবাদত

হাজার মাসের শ্রেষ্ঠ রজনী ‘লাইলাতুল কদর’। এ রাতের ইবাদত ও আমল বান্দার গোনাহ মুক্তির জন্য অনন্য। এ রাতেই মহান আল্লাহ নাজিল করেছেন কুরআনুল কারিম। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সাওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার নিয়তে রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে (রাত জেগে) ইবাদত করবে, তার বিগত জীবনের সব গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

লাইলাতুল কদরে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বিশেষ দোয়া করতে বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি-
اَللَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّتُحِبُّ الْعَفْو فَاعْفُ عَنِّىْ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফুআন্নি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন।’

শুধু রমজান মাসের রোজা পালন, তারাবিহ নামাজ আদায় এবং লাইলাতুল কদরের ইবাদতেই গোনাহ থেকে মুক্তি মিলবে না বরং দুইটি শর্তে লাগবে। তাহলো-
– ঈমান থাকতে হবে।
– সাওয়াবের পরিশুদ্ধ নিয়তও থাকতে হবে।

যদি এ দুইটি শর্ত ঠিক থাকে তবে উল্লেখিত ৩টি আমলে বিগত জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তি পাবে রোজাদার মুমিন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা রেখে হাদিসে উল্লেখিত বিশেষ এ তিনটি আমল যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম