রংপুর সদর উপজেলা চন্দনপাট উন্নয়ন কার্যক্রম ফ্যাসীবাদ হাসিনার উন্নয়নকেও হার মানিয়েছে

জুয়েল রংপুরঃ

বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমান চার লক্ষ বিরাশি হাজার চার’শ আটাশ টাকা (৪,৮২,৪২৮/টাকা) অর্থ বছর ২৪-২৫ চলতি। কাবিটা/কাবিখা প্রকল্পের উন্নয়নের চিত্র। (উল্লেখ্য এমন আরও ১৩/১৪টি প্রকল্প রয়েছে চন্দপাট ইউনিয়নে)।

রংপুর সদর উপজেলা চন্দনপাট ইউপির ঈশ্বরপুর মৌজার ইলিয়াসের বাড়ি হইতে আয়নালের মোড় হয়ে জোর জুম্মা পর্যন্ত রাস্তা সংস্করণ।

প্রকল্পের কোন সাইনবোর্ড নেই, সাধারণের বোধগম্য নয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্দেশনা অনুযায়ী এই রাস্তায় মাটি ভরাট করনের উচ্চতা ছিল ৮/১০ ইঞ্চি। ভিডিও চিত্রই দৃশ্যমান, তিন থেকে চার ইঞ্চি সহজেই অনুমেয়। উপস্থিত শ্রমিকরা বলে, দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম(মেম্বার)  আমাদের এভাবেই কাজ করতে বলেছে। ৫০০-৬০০ ফিট রাস্তায় মাটি ফেলা হয়েছে  মাত্র ১১ ট্রলি।

সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নে ১৪টি প্রকল্পে প্রায় আর্ধ কোটির অধিক ব্যায় বরাদ্দ দেখানো হয়েছে কাবিটা/কাবিখার আওত্বায়। দু-চারটি প্রকল্প দৃশ্যমান হলের বাকি সবিই কাগজে কলমে#

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম, তবে দাম কমেছে দেশি মুরগির

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম, কমেছে দেশি মুরগির

রংপুর জেলা সংবাদদাতাঃ রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বেশ কিছু সবজির দাম। তবে দাম কমেছে দেশি মুরগির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম।মঙ্গলবার (১ জুলাই) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে কিছু সবজির দাম বেড়েছে।

প্রতিকেজি টমেটো ১১০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, ঝিংগা ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলার দাম কমে ২০-২৫ টাকা হালি, চিচিঙ্গা দাম বেড়ে ২৫-৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা, গাজর আগের মতোই ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সজনে ১২০-১৫০ টাকা, চিকন বেগুন আগের মতো ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, করলার দাম বেড়ে ৪০-৫০ টাকা থেকে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ২৫-৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৫০ টাকা, কচুমুখী ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০টাকা, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকা, পেঁয়াজ আগের মতো ৫০-৫৫ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা ও বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহীন মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এখন বাজারে যে সবজির আমদানি কম তার দাম একটু বাড়তি।

এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গুটি স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৭০-৭৫ টাকা, জিরাশাইল, ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৫৮০ টাকা থেকে কমে ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টার্মিনাল বাজারের মুরগি বিক্রেতা আতিকুর রহমান বলেন, দেশি মুরগির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দাম কমলেও পাকিস্তানি মুরগির দাম গত তিন সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম গত সপ্তাহের মতো ৩৮-৪০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, চিনি ১১৫-১২০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকার ভেদে রুইমাছ ২৮০-৩৫০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাস ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা ও সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম