তারিখ লোড হচ্ছে...

জনগণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ এনসিপির

ডেস্ক রিপোর্টঃ                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 জাতীয় জুলাই সনদে ২৫ রাজনৈতিক দল সই করলেও বিরত রয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব থেকে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সনদ সই অনুষ্ঠানে দলটির কোনো নেতা অংশ নেননি।

জাতীয় শ্রমিক শক্তির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে গতকাল এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐকমত্যের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে জুলাই সনদে সই করছে। কিছু দলের বৈঠক মানে জাতীয় ঐক্য নয়। জাতীয় ঐক্য হলো যেখানে শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবে; অধিকারের জন্য লড়বে।

সই অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশ নেবে না জানিয়ে দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল ফেসবুকে লিখেছেন, যেহেতু এ সই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আইনি ভিত্তি অর্জন হবে না, সেহেতু এটি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। আমরা বহুবার আইনি ভিত্তির কথা বলেছি। তাই আইনি ভিত্তির আগে এ ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো আরেকটি একপক্ষীয় দলিলে রূপান্তর হবে।

তিনি আরও লেখেন, তবে ঐকমত্য কমিশন যেহেতু সময় বৃদ্ধি করেছে, সেহেতু আমরা ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে আমাদের অবস্থান তুলে ধরব। দাবি পূরণ হলে পরে সই করবে এনসিপি।

অবশ্য এনসিপির এ অবস্থান বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে তুলে ধরেছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, আইনি ভিত্তি ও আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে সই করলে সেটি হবে মূল্যহীন।

তাঁর এ বক্তব্যের পর এনসিপিকে রাজি করাতে বৃহস্পতিবার দিনভর সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তৎপরতা চালায়। রাতেও এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা আলোচনা করেন। নাহিদের বাসায় গিয়ে সরকারের তরফে বোঝানোর চেষ্টা করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সইয়ের বিষয়ে এনসিপি নমনীয় হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব এসএমএসে সমকালকে জানান, তারা সনদ সই অনুষ্ঠানে যাবেন না। যেহেতু পরেও সনদ সইয়ের সুযোগ রয়েছে, সেহেতু সংস্কারের পরবর্তী কার্যক্রমে এনসিপি যুক্ত হবে।

এদিকে গতকাল পঞ্চগড়ে এক অনুষ্ঠানে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দায়সারা ভাব দেখা দিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য নামকাওয়াস্তে জুলাই সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে যেতে পারলেই হলো। এতে সংস্কার হোক, না হোক; সনদের আইনি ভিত্তি থাকুক, না থাকুক; পরবর্তী নির্বাচিত সরকার তা বাস্তবায়ন করুক, না করুক; কোনো মতে সই করে দায় সারল।
তিনি আরও বলেন, সরকার দায়সারা ভাব দেখিয়েছে। এ জন্য আমরা সনদ সই অনুষ্ঠানে অংশ নিইনি

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না

ডেস্ক রিপোর্টঃ সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় সংস্কার জোট। শনিবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর (অব.) আমীন আহমেদ আফসারীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লে. জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম, জনতার দল বাংলাদেশের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আ আমিন, জনতার পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সবাই মিলে ফ্যাসিস্টদের বিদায় করে দেশের পরিবর্তন করেছি। তাই এখানে কোনো বিভাজন করা ঠিক হবে না। তাই আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। আমরা বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেখেছি। ভবিষ্যতেও যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা সুশাসনের নামে অতীতের কাজগুলো করবে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনবে দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজরা। তবে নির্বাচনকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব, সেই জায়গায় পৌঁছাতে না পারলে পরিবর্তন আসবে না।

তারা আরও বলেন, নির্বাচন কখনো গণতন্ত্র দিতে পারবে না, যদি আমরা সচেতন না হই। আমরা প্রজা নাকি নাগরিক, সেটি আগে ঠিক করতে হবে। একটি দল নির্বাচনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু সংস্কারবিহীন নির্বাচন আমরা চাই না। সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা ফ্যাসিস্টদের আমলের চেয়েও ভয়াবহ। আগে টাকা দিতে হতো একজনকে। এখন টাকা দিতে হয় অনেকজনকে। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। জুলাই আন্দোলন যে উদ্দেশে হয়েছিল, তার সবকিছু উল্টো হচ্ছে। দেশ গভীর সংকটময় মুহূর্ত পার করছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম