সফলতার জন্য যে ৫ দক্ষতা থাকা জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার:

সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু সফট স্কিল অর্জন করতে হবে। সেগুলো ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করতে পারলেই আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে যেতে পারবেন, হয়ে উঠতে পারবেন অনুকরণীয়। জীবনের ধাপে ধাপে আপনাকে আটকে পড়তে হবে না। এগুলো কেবল আপনার ক্যারিয়ারই সমৃদ্ধ করবে না, বরং আপনাকে একজন আত্মবিশ্বাসী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করবে। এই দক্ষতাগুলো একদিনে অর্জিত হবে না, বরং সেজন্য ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা EQ হলো নিজের এবং অন্যদের আবেগ চিনতে, বুঝতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারার ক্ষমতা। এটিই আপনাকে দ্বন্দ্বের সময় স্থির থাকতে এবং কথোপকথনে সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে। মন দিয়ে অন্যের কথা শোনা এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতি মানসিক আস্থা তৈরি করে। তাই এই দক্ষতা থাকা খুব জরুরি।

কমিউনিকেশন

কমিউনিকেশন মানে কেবল কথা বলা নয়, এটি সম্পর্ক তৈরির শিল্প। স্পষ্টভাবে কথা বলা, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সঠিক রাখা এবং সঠিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারা এর মধ্যে অন্যতম। কথা বলার মতো শোনাও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের কথা বলতে বাধা দেওয়া, কথার মধ্যে অত্যধিক জটিল শব্দ ব্যবহার করা ইত্যাদি দুর্বল কমিউনিকেশন স্কিলের লক্ষণ।

ক্রিটিক্যাল থিংকিং

ক্রিটিক্যাল থিংকিং হলো পরিস্থিতি, তথ্য এবং ধারণা স্পষ্টতা এবং যুক্তি দিয়ে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা। এটি আপনাকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে থামতে, প্রশ্ন করতে এবং বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। অন্ধভাবে দাবি গ্রহণ করা বা তাৎক্ষণিক রায় দেওয়া বেশিরভাগ সময়েই ফলপ্রসূ হয় না।

নেগোসিয়েশন

এটি এমন একটি দক্ষতা যা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি। বেতন বৃদ্ধি চাওয়া থেকে শুরু করে মতবিরোধ নিষ্পত্তি পর্যন্ত নানাভাবে এর প্রয়োজন হয়। তাই এই দক্ষতা থাকা জরুরি। সবকিছু কেবল আপনার ইচ্ছা বা মনের মতো হবে না, বরং পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার যেন অবমূল্যায়ণ না হয় সেজন্য নেগোসিয়েশন জানা জরুরি।

টাইম ম্যানেজমেন্ট

সময় আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, এবং এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানা একটি বড় দক্ষতা। কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়, কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হয় তা জানা জরুরি। এই দক্ষতা না থাকলে আপনার কোনো কাজই ঠিক সময়ে ঠিকভাবে হবে না। তখন নানাদিক থেকে চাপ তৈরি হবে। এর প্রভাব পড়বে ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনেও। অপরদিকে টাইম ম্যানেজমেন্ট জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই এগিয়ে যেতে পারবেন।

বেতন বাড়েনি, ভাড়া বেড়েছে বারবার: হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো

এ এম এম আহসানঃ—

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে বাড়ি ভাড়ার লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি সাধারণ ভাড়াটিয়াদের জীবনে চেপে বসেছে এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো লিখিত চুক্তি বা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাড়িওয়ালারা বছরে একাধিকবার ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের পরিবারগুলো পড়ছে দারুণ বিপাকে।

একজন সরকারি চাকরিজীবী জানিয়েছেন, “একই বাড়িতে আছি তিন বছর। শুরুতে ভাড়া ছিল ১০ হাজার টাকা। এখন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজারে। বেতনে তেমন কোনো পরিবর্তন না আসায় সংসারের খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”

শুধু ভাড়াই নয়, অভিযোগ আছে, বহু বাড়িওয়ালা অবৈধভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছেন। এসব অনিয়মের বোঝা এসে পড়ছে ভাড়াটিয়াদের কাঁধে—অতিরিক্ত বিল, অনিরাপদ সংযোগ, এবং কোনোরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই বসবাস করতে হচ্ছে বহু পরিবারকে।

অথচ ১৯৯১ সালের বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, কোনো বাড়ির ভাড়া নির্ধারণ এবং পরিবর্তন করতে হলে মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে লিখিত চুক্তি থাকতে হবে। বাস্তবে এই আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে। বরং হঠাৎ করে ভাড়া বাড়িয়ে ভাড়াটিয়াকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রে।

ঢাকা-ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, গড়ে একজন কর্মজীবী নাগরিক তার আয়ের ৫০-৬০ শতাংশ ব্যয় করে কেবল ভাড়ার পেছনে। বাকি অর্থে সন্তানদের পড়াশোনা, চিকিৎসা, খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা মেটানো হয়ে পড়ে দুঃসাধ্য।

নগর উন্নয়ন বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কার্যকর ভাড়ানিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মালিক-ভাড়াটিয়া সম্পর্কের স্বচ্ছতা, চুক্তিভিত্তিক বাসাভাড়া, এবং স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় হস্তক্ষেপ অপরিহার্য।

এই অনিয়ন্ত্রিত ভাড়াবৃদ্ধি বন্ধ না হলে, শহুরে নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি